ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

কৃষিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেবে জাতিসংঘের সংস্থা

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। আগামী অক্টোবরে এফএও বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করবে। সেখানে তারা অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও দাতা সংস্থাকে বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করবে।
এছাড়া এফএও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিনিয়োগ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাবে এবং তারা আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রী সেখানে অংশ নেবেন।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু এসব কথা জানান। সাক্ষাৎ শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষিখাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দরকার। আমরা বারিড পাইপ (ভূগর্ভস্থ লাইন) দিয়ে সেচব্যবস্থার উন্নয়ন করতে চাই। আমরা উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে নতুন উদ্ভাবিত ফসলের জাতের সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছি। পাহাড়ি এলাকায় উচ্চমূল্যের ফসলের চাষ আরও বাড়াতে চাই। এছাড়া কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাত করে ভ্যালু অ্যাড ও রপ্তানি করতে চাই। এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় এফএওর সম্মেলন চলছে। এ উপলক্ষে এফএওর ডিজি বাংলাদেশে এসেছেন। এফএও কৃষি উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। তারা আমাদের কারিগরি সহায়তা দেয়। ডোনারদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো যাতে কমাতে পারি, সেই বিষয়ে বৈশ্বিক যে নিয়ম তা তৈরি করে এফএও। আব্দুর রাজ্জাকের বলেন, আমরা এখন দেশে ৫৭ লাখ টন ভূট্টা উৎপাদন করছি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি আগামীতে, এফএওর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের উপর পড়বে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব দেশে দ্রব্যমূল্যের উপর কিছুটা পড়েছে। তবে আমাদের কাছে এখন খাদ্যশস্যের সর্বোচ্চ মজুদ আছে। ফসলের উৎপাদনও ভালো। এছাড়া ১৫ এপ্রিল থেকেই নতুন চাল আসবে। কাজেই, সবমিলিয়ে আমাদের কোনো মেজর প্রবলেম হবে না। কোনো খাদ্য সংকট, হাহাকার- এ রকম কিছু হবে না।’
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, এফএওর সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম, বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসনসহ এফএওর ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিঃসন্দেহে একটি নিরপেক্ষ সরকার : রিজভী

কৃষিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেবে জাতিসংঘের সংস্থা

আপডেট সময় : ০১:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। আগামী অক্টোবরে এফএও বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করবে। সেখানে তারা অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও দাতা সংস্থাকে বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করবে।
এছাড়া এফএও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিনিয়োগ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাবে এবং তারা আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রী সেখানে অংশ নেবেন।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু এসব কথা জানান। সাক্ষাৎ শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষিখাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দরকার। আমরা বারিড পাইপ (ভূগর্ভস্থ লাইন) দিয়ে সেচব্যবস্থার উন্নয়ন করতে চাই। আমরা উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে নতুন উদ্ভাবিত ফসলের জাতের সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছি। পাহাড়ি এলাকায় উচ্চমূল্যের ফসলের চাষ আরও বাড়াতে চাই। এছাড়া কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাত করে ভ্যালু অ্যাড ও রপ্তানি করতে চাই। এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় এফএওর সম্মেলন চলছে। এ উপলক্ষে এফএওর ডিজি বাংলাদেশে এসেছেন। এফএও কৃষি উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। তারা আমাদের কারিগরি সহায়তা দেয়। ডোনারদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো যাতে কমাতে পারি, সেই বিষয়ে বৈশ্বিক যে নিয়ম তা তৈরি করে এফএও। আব্দুর রাজ্জাকের বলেন, আমরা এখন দেশে ৫৭ লাখ টন ভূট্টা উৎপাদন করছি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি আগামীতে, এফএওর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের উপর পড়বে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব দেশে দ্রব্যমূল্যের উপর কিছুটা পড়েছে। তবে আমাদের কাছে এখন খাদ্যশস্যের সর্বোচ্চ মজুদ আছে। ফসলের উৎপাদনও ভালো। এছাড়া ১৫ এপ্রিল থেকেই নতুন চাল আসবে। কাজেই, সবমিলিয়ে আমাদের কোনো মেজর প্রবলেম হবে না। কোনো খাদ্য সংকট, হাহাকার- এ রকম কিছু হবে না।’
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, এফএওর সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম, বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসনসহ এফএওর ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল।