ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

কৃষিঋণের টার্গেট এবার ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা

  • আপডেট সময় : ০১:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এতে বলা হয়, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। কোভিড মহামারি এবং সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কৃষির গুরুত্ব অধিকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই কৃষি খাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের মাধ্যমে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়া, টেকসই উন্নয়নের নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রথম ও প্রধান তিনটি লক্ষ্য তথা দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধা মুক্তি এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে পল্লী অঞ্চলে কৃষি ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের জন্য ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত অর্থবছরে ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৮১১ জন ঋণগ্রহীতা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন, যার মধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৭,৯৭,০৫২ জন নারী ১০,৮২৯.৩৯ কোটি টাকা
কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। ওই অর্থবছরে ২৪,৯৯,৯৪৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২০,১৮২.৩০ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৪,০৭৩ জন কৃষক ১৯.৫৯ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলে জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং কৃষকদের কাছে কৃষি ঋণ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বেশ কিছু সময়োপযোগী বিষয় সংযোজিত হয়েছে। এ নীতিমালার উল্লেখযোগ্য নতুন সংযোজিত বিষয়গুলো হচ্ছে- ১.প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় হাঁস পালনের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। ২. চিয়া বীজ, ত্বিন ফল, সুগার বিট চাষের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। ৩. ভিয়েতনামী হাইব্রিড নারিকেল, কফি ও সুইট কর্ন চাষের ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। ৪. সামুদ্রিক ক্সশবাল চাষের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। ৫. মৎস্য খাতের আওতায় গলদা চিংড়ি চাষের ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। ৬. সহজে অধিক সংখ্যক কৃষককে কৃষি ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দলবদ্ধভাবে কৃষি ঋণ বিতরণের পদ্ধতি সংযোজন। ৭. একর প্রতি ফসল উৎপাদনের ঋণ নিয়মাচার বৃদ্ধি করা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে ভাইকে জেল থেকে বের করেছি, সেই আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করল…

কৃষিঋণের টার্গেট এবার ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০১:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এতে বলা হয়, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। কোভিড মহামারি এবং সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কৃষির গুরুত্ব অধিকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই কৃষি খাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের মাধ্যমে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়া, টেকসই উন্নয়নের নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রথম ও প্রধান তিনটি লক্ষ্য তথা দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধা মুক্তি এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে পল্লী অঞ্চলে কৃষি ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের জন্য ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত অর্থবছরে ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৮১১ জন ঋণগ্রহীতা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন, যার মধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৭,৯৭,০৫২ জন নারী ১০,৮২৯.৩৯ কোটি টাকা
কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। ওই অর্থবছরে ২৪,৯৯,৯৪৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২০,১৮২.৩০ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৪,০৭৩ জন কৃষক ১৯.৫৯ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলে জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং কৃষকদের কাছে কৃষি ঋণ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বেশ কিছু সময়োপযোগী বিষয় সংযোজিত হয়েছে। এ নীতিমালার উল্লেখযোগ্য নতুন সংযোজিত বিষয়গুলো হচ্ছে- ১.প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় হাঁস পালনের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। ২. চিয়া বীজ, ত্বিন ফল, সুগার বিট চাষের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। ৩. ভিয়েতনামী হাইব্রিড নারিকেল, কফি ও সুইট কর্ন চাষের ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। ৪. সামুদ্রিক ক্সশবাল চাষের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। ৫. মৎস্য খাতের আওতায় গলদা চিংড়ি চাষের ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। ৬. সহজে অধিক সংখ্যক কৃষককে কৃষি ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দলবদ্ধভাবে কৃষি ঋণ বিতরণের পদ্ধতি সংযোজন। ৭. একর প্রতি ফসল উৎপাদনের ঋণ নিয়মাচার বৃদ্ধি করা।