ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃপণতা নয় সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাই হলো চাবিকাঠি

  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

সাইফুল হোসেন : বর্তমান সময়ে অনেকেই অর্থ সঞ্চয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন, তবে তা প্রায়ই ভুলভাবে বোঝা হয়। কিছু মানুষ মনে করেন, অর্থ সঞ্চয় মানে কৃপণতা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অর্থ সঞ্চয় করা এবং সঠিকভাবে অর্থ পরিচালনা করা একে অপরের পরিপূরক। কৃপণতা নয়, বরং মিতব্যয়ী হওয়া এবং সঠিক আর্থিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারেন।
প্রায়ই আমরা শুনতে পাই, ‘যে যত খরচ করতে শিখবে, সে তত আয় করতে শিখবে।’ এই বক্তব্যে কিছু সত্যতা আছে। যারা বড় স্বপ্ন দেখে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য পরিশ্রম করে, তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, সবাই আয় বাড়ানোর কৌশল শিখতে পারে না। অনেকেই কেবল খরচ করতে জানেন, কিন্তু আয় বাড়ানোর পথে পিছিয়ে পড়েন। এদের জন্য মিতব্যয়ী হওয়া এবং আয়ের সঙ্গে খরচের সামঞ্জস্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘আর্থিক সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব’ (২০২১)। অর্থাৎ, আপনি যতই খরচ করুন না কেন, তা যেন আপনার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এতে আপনার আর্থিক জীবন আরও সংগঠিত এবং সুস্থির হবে।
কৃপণতা এবং অপব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য খুবই সূক্ষ্ম। আপনি যদি সঠিকভাবে আয় এবং খরচের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন, তাহলে আপনি কৃপণ না হয়ে মিতব্যয়ী হতে পারবেন। পাশাপাশি, আপনি অপব্যয় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। আয় বাড়িয়ে খরচ করা ভালো, তবে আয় বাড়ানোর আগে খরচ বাড়ানো কখনোই সঠিক নয়।
অর্থনৈতিক ম্যানেজমেন্টের একটি মূলনীতি হলো: আপনার আয় যতটুকু, খরচও ততটুকু সীমিত রাখতে হবে। যদি আপনার আয় হয় ৮০ হাজার টাকা এবং আপনি খরচ করেন ১ লাখ টাকা, তাহলে আপনি আর্থিক সংকটে পড়বেন। এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আপনাকে ঋণের মধ্যে ডুবিয়ে ফেলবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পরিবার সাধ্যের বাইরে খরচ করে, তাদের আর্থিক সংকটের হার ৭০ শতাংশ বেশি (ঐধৎাধৎফ ইঁংরহবংং জবারব,ি ২০২০)। তাই আপনার আয়ের তুলনায় খরচ কমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আয় এবং খরচের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো সঞ্চয়। ন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল এডুকেশন কাউন্সিলের (ঘঊঋঊ) মতে, ‘সঠিকভাবে অর্থ সঞ্চয় করা হলে আর্থিক নিরাপত্তা ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়’ (২০১৯)। আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ সঞ্চয় করা উচিত এবং সেই সঞ্চয় ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করা উচিত। এতে আপনি আপনার আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং ভবিষ্যতে আর্থিক সংকট এড়াতে পারবেন।
অনেক মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘আমি কি আমার ছেলেমেয়েদের জন্য খেলনা কিনতে পারবো না? আমি কি এক কাপ কফি খেতে পারবো না?’ অবশ্যই পারবেন। আমি কখনোই বলছি না যে আপনি জীবনযাপন থেকে সব আনন্দ বাদ দিন। বরং আমি বলছি, আপনার সাধ্যের মধ্যে খরচ করুন। আপনার খরচ যেন আপনার আয় ছাড়িয়ে না যায়। এতে আপনি কৃপণও হবেন না, আবার অপব্যয়ও করবেন না। ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের (ওগঋ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখলে ব্যক্তিগত আয় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়’ (২০২০)। অর্থাৎ সঠিকভাবে পরিকল্পনা করলে এবং খরচের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখলে আপনি অর্থ সঞ্চয় এবং আয় বাড়ানোর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারবেন।

আমি প্রায়ই বলিÑ আপনি যত আয় করবেন, ততই খরচ করতে পারবেন। তবে আয় বাড়ানোর আগে খরচ বাড়ানো কখনোই উচিত নয়। যদি আপনার আয় ৮০ হাজার টাকা এবং আপনি খরচ করেন এক লাখ টাকা, তাহলে ওই অর্থের জোগান কোথা থেকে আসবে? আপনি যদি আয় বাড়িয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করতে পারেন, তখন এক লাখ টাকা খরচ করা কোনো সমস্যা নয়। তবে আয়ের তুলনায় খরচ বেশি হলে আর্থিক সংকট আসতে বাধ্য।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আপনার যদি আজ ৮০ হাজার টাকা আয় হয় এবং আপনি সেই টাকার সবটাই খরচ করেন, তাহলে ভবিষ্যৎ কীভাবে চলবে? আপনার অবসর জীবনে, যখন আপনার আয় কমে যাবে বা থাকবে না, তখন আপনি কী করবেন? ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের গবেষণায় দেখা গেছে, ‘যেসব মানুষ সঞ্চয় না করে ব্যয় করে, তারা অবসর জীবনে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক সংকটে পড়েন’ (২০১৯)। এটি এড়াতে আজ থেকেই আপনার আয়ের একটি অংশ সঞ্চয় করতে শুরু করুন।
ইসলাম ধর্মও কৃপণতা ও অপব্যয়ের বিরুদ্ধে। ইসলাম ধর্ম আমাদের শিক্ষা দেয় মধ্যমপন্থা অনুসরণ করতেÑ কৃপণও না হতে আবার অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও না করতে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ২০২১ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, ‘ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে আর্থিকভাবে শৃঙ্খলিত হতে সাহায্য করে, যা তাদের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে সক্ষম করে’। তাই, আপনি যদি ইসলামের অনুসারী হন, তাহলে আর্থিক শৃঙ্খলার মধ্যে থাকা আপনার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে বলা যায়, কৃপণতা এবং অপব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য খুবই সূক্ষ্ম। আপনি যদি সঠিকভাবে আয় এবং খরচের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন, তাহলে আপনি কৃপণ না হয়ে মিতব্যয়ী হতে পারবেন। পাশাপাশি, আপনি অপব্যয় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। আয় বাড়িয়ে খরচ করা ভালো, তবে আয় বাড়ানোর আগে খরচ বাড়ানো কখনোই সঠিক নয়। আজ থেকেই আপনার আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে একটি সুন্দর এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ তৈরি করুন।
লেখক: দি আর্ট অব পারসোনাল ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট বইয়ের লেখক, কলামিস্ট, ইউটিউবার এবং ফাইন্যান্স ও বিজনেস স্ট্র্যাটেজিস্ট

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃপণতা নয় সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাই হলো চাবিকাঠি

আপডেট সময় : ০৪:৫০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

সাইফুল হোসেন : বর্তমান সময়ে অনেকেই অর্থ সঞ্চয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন, তবে তা প্রায়ই ভুলভাবে বোঝা হয়। কিছু মানুষ মনে করেন, অর্থ সঞ্চয় মানে কৃপণতা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অর্থ সঞ্চয় করা এবং সঠিকভাবে অর্থ পরিচালনা করা একে অপরের পরিপূরক। কৃপণতা নয়, বরং মিতব্যয়ী হওয়া এবং সঠিক আর্থিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারেন।
প্রায়ই আমরা শুনতে পাই, ‘যে যত খরচ করতে শিখবে, সে তত আয় করতে শিখবে।’ এই বক্তব্যে কিছু সত্যতা আছে। যারা বড় স্বপ্ন দেখে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য পরিশ্রম করে, তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, সবাই আয় বাড়ানোর কৌশল শিখতে পারে না। অনেকেই কেবল খরচ করতে জানেন, কিন্তু আয় বাড়ানোর পথে পিছিয়ে পড়েন। এদের জন্য মিতব্যয়ী হওয়া এবং আয়ের সঙ্গে খরচের সামঞ্জস্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘আর্থিক সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব’ (২০২১)। অর্থাৎ, আপনি যতই খরচ করুন না কেন, তা যেন আপনার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এতে আপনার আর্থিক জীবন আরও সংগঠিত এবং সুস্থির হবে।
কৃপণতা এবং অপব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য খুবই সূক্ষ্ম। আপনি যদি সঠিকভাবে আয় এবং খরচের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন, তাহলে আপনি কৃপণ না হয়ে মিতব্যয়ী হতে পারবেন। পাশাপাশি, আপনি অপব্যয় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। আয় বাড়িয়ে খরচ করা ভালো, তবে আয় বাড়ানোর আগে খরচ বাড়ানো কখনোই সঠিক নয়।
অর্থনৈতিক ম্যানেজমেন্টের একটি মূলনীতি হলো: আপনার আয় যতটুকু, খরচও ততটুকু সীমিত রাখতে হবে। যদি আপনার আয় হয় ৮০ হাজার টাকা এবং আপনি খরচ করেন ১ লাখ টাকা, তাহলে আপনি আর্থিক সংকটে পড়বেন। এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আপনাকে ঋণের মধ্যে ডুবিয়ে ফেলবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পরিবার সাধ্যের বাইরে খরচ করে, তাদের আর্থিক সংকটের হার ৭০ শতাংশ বেশি (ঐধৎাধৎফ ইঁংরহবংং জবারব,ি ২০২০)। তাই আপনার আয়ের তুলনায় খরচ কমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আয় এবং খরচের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো সঞ্চয়। ন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল এডুকেশন কাউন্সিলের (ঘঊঋঊ) মতে, ‘সঠিকভাবে অর্থ সঞ্চয় করা হলে আর্থিক নিরাপত্তা ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়’ (২০১৯)। আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ সঞ্চয় করা উচিত এবং সেই সঞ্চয় ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করা উচিত। এতে আপনি আপনার আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং ভবিষ্যতে আর্থিক সংকট এড়াতে পারবেন।
অনেক মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘আমি কি আমার ছেলেমেয়েদের জন্য খেলনা কিনতে পারবো না? আমি কি এক কাপ কফি খেতে পারবো না?’ অবশ্যই পারবেন। আমি কখনোই বলছি না যে আপনি জীবনযাপন থেকে সব আনন্দ বাদ দিন। বরং আমি বলছি, আপনার সাধ্যের মধ্যে খরচ করুন। আপনার খরচ যেন আপনার আয় ছাড়িয়ে না যায়। এতে আপনি কৃপণও হবেন না, আবার অপব্যয়ও করবেন না। ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের (ওগঋ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখলে ব্যক্তিগত আয় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়’ (২০২০)। অর্থাৎ সঠিকভাবে পরিকল্পনা করলে এবং খরচের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখলে আপনি অর্থ সঞ্চয় এবং আয় বাড়ানোর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারবেন।

আমি প্রায়ই বলিÑ আপনি যত আয় করবেন, ততই খরচ করতে পারবেন। তবে আয় বাড়ানোর আগে খরচ বাড়ানো কখনোই উচিত নয়। যদি আপনার আয় ৮০ হাজার টাকা এবং আপনি খরচ করেন এক লাখ টাকা, তাহলে ওই অর্থের জোগান কোথা থেকে আসবে? আপনি যদি আয় বাড়িয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করতে পারেন, তখন এক লাখ টাকা খরচ করা কোনো সমস্যা নয়। তবে আয়ের তুলনায় খরচ বেশি হলে আর্থিক সংকট আসতে বাধ্য।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আপনার যদি আজ ৮০ হাজার টাকা আয় হয় এবং আপনি সেই টাকার সবটাই খরচ করেন, তাহলে ভবিষ্যৎ কীভাবে চলবে? আপনার অবসর জীবনে, যখন আপনার আয় কমে যাবে বা থাকবে না, তখন আপনি কী করবেন? ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের গবেষণায় দেখা গেছে, ‘যেসব মানুষ সঞ্চয় না করে ব্যয় করে, তারা অবসর জীবনে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক সংকটে পড়েন’ (২০১৯)। এটি এড়াতে আজ থেকেই আপনার আয়ের একটি অংশ সঞ্চয় করতে শুরু করুন।
ইসলাম ধর্মও কৃপণতা ও অপব্যয়ের বিরুদ্ধে। ইসলাম ধর্ম আমাদের শিক্ষা দেয় মধ্যমপন্থা অনুসরণ করতেÑ কৃপণও না হতে আবার অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও না করতে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ২০২১ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, ‘ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে আর্থিকভাবে শৃঙ্খলিত হতে সাহায্য করে, যা তাদের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে সক্ষম করে’। তাই, আপনি যদি ইসলামের অনুসারী হন, তাহলে আর্থিক শৃঙ্খলার মধ্যে থাকা আপনার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে বলা যায়, কৃপণতা এবং অপব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য খুবই সূক্ষ্ম। আপনি যদি সঠিকভাবে আয় এবং খরচের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন, তাহলে আপনি কৃপণ না হয়ে মিতব্যয়ী হতে পারবেন। পাশাপাশি, আপনি অপব্যয় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। আয় বাড়িয়ে খরচ করা ভালো, তবে আয় বাড়ানোর আগে খরচ বাড়ানো কখনোই সঠিক নয়। আজ থেকেই আপনার আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে একটি সুন্দর এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ তৈরি করুন।
লেখক: দি আর্ট অব পারসোনাল ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট বইয়ের লেখক, কলামিস্ট, ইউটিউবার এবং ফাইন্যান্স ও বিজনেস স্ট্র্যাটেজিস্ট