ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : পুষ্টিবিদরা বলেন, ঈষদুষ্ণ পানি পান করলে পেট পরিষ্কারসহ শরীরের অতিরিক্ত চর্বি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ত্বক থাকে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ গ্লাস, দিনের যেকোনো সময় খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা পরে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব, শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়। নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করলে তারুণ্যকে ধরে রাখা যায়। এছাড়াও ত্বকে জমাট বাধা তেল, ধুলোবালি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেসব শারীরিক সমস্যায় গরম পানি খেলে উপকার পাওয়া যায় সেগুলো হলো- মাইগ্রেন, উচ্চ রক্তচাপ, নি¤œ রক্তচাপ, হাঁটু, গোড়ালিতে ব্যথা, বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, হুটহাট হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি-হ্রাস, মৃগী রোগ, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, কাশি, পেটের সমস্যাসহ আরও অনেক জটিল রোগে গরম পানি বেশ কার্যকর। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে গেলে সবাই অস্বস্তি বোধ করে। মেদ ঝরাতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয়। এর পাশাপাশি প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করবেন। পানিতে লেবুর রস ও মধু দিতে পারেন। এক সপ্তাহেই দেখবেন মেদ কমবে ঝটপট। অন্যদিকে, গরম পানি খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগই থাকে না। পিরিয়ডের সময়ে গরম পানি পান করা শুরু করলে অ্যাবডোমিনাল মাসলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ব্যথা খুব কম সময়ে কমে যায়। যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত হালকা গরম পানি খেতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করলে ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া গরম পানি স্কিন সেলের ক্ষত সারিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে ত্বক টান টান হয়ে ওঠে এবং বলিরেখাও হ্রাস পায়। ফলে বয়সের কোনো ছাপই ত্বকের ওপর পড়তে পারে না। চুল পড়া, অকালপক্কতা, খুশকি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে হালকা গরম পানি। সারাদিন ধরে গরম পানি পান করলে নানা কারণে স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসে। ফলে খুশকির প্রকোপ কমে যায়। এছাড়া, গরম পানি খাওয়া শুরু করলে প্রতিটি হেয়ার সেলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে চুলের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো। যারা মানসিক অবসাদে ভুগছেন তারা হালকা গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন ভালো বোধ করবেন। গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা হলে হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে গোসল করুন। এছাড়া ত্বকের সমস্যায় ভুগলে, গরম পানিতে নিমপাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটা দিয়ে গোসল করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আর দাঁতে ব্যথার সমস্যা থাকলে দিনে অন্তত ৩ বার হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে সুফল মিলবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার নাম বদলে হলো ঢাকা বাণিজ্যমেলা

কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক : পুষ্টিবিদরা বলেন, ঈষদুষ্ণ পানি পান করলে পেট পরিষ্কারসহ শরীরের অতিরিক্ত চর্বি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ত্বক থাকে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ গ্লাস, দিনের যেকোনো সময় খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা পরে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব, শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়। নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করলে তারুণ্যকে ধরে রাখা যায়। এছাড়াও ত্বকে জমাট বাধা তেল, ধুলোবালি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেসব শারীরিক সমস্যায় গরম পানি খেলে উপকার পাওয়া যায় সেগুলো হলো- মাইগ্রেন, উচ্চ রক্তচাপ, নি¤œ রক্তচাপ, হাঁটু, গোড়ালিতে ব্যথা, বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, হুটহাট হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি-হ্রাস, মৃগী রোগ, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, কাশি, পেটের সমস্যাসহ আরও অনেক জটিল রোগে গরম পানি বেশ কার্যকর। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে গেলে সবাই অস্বস্তি বোধ করে। মেদ ঝরাতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয়। এর পাশাপাশি প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করবেন। পানিতে লেবুর রস ও মধু দিতে পারেন। এক সপ্তাহেই দেখবেন মেদ কমবে ঝটপট। অন্যদিকে, গরম পানি খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগই থাকে না। পিরিয়ডের সময়ে গরম পানি পান করা শুরু করলে অ্যাবডোমিনাল মাসলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ব্যথা খুব কম সময়ে কমে যায়। যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত হালকা গরম পানি খেতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করলে ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া গরম পানি স্কিন সেলের ক্ষত সারিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে ত্বক টান টান হয়ে ওঠে এবং বলিরেখাও হ্রাস পায়। ফলে বয়সের কোনো ছাপই ত্বকের ওপর পড়তে পারে না। চুল পড়া, অকালপক্কতা, খুশকি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে হালকা গরম পানি। সারাদিন ধরে গরম পানি পান করলে নানা কারণে স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসে। ফলে খুশকির প্রকোপ কমে যায়। এছাড়া, গরম পানি খাওয়া শুরু করলে প্রতিটি হেয়ার সেলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে চুলের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো। যারা মানসিক অবসাদে ভুগছেন তারা হালকা গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন ভালো বোধ করবেন। গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা হলে হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে গোসল করুন। এছাড়া ত্বকের সমস্যায় ভুগলে, গরম পানিতে নিমপাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটা দিয়ে গোসল করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আর দাঁতে ব্যথার সমস্যা থাকলে দিনে অন্তত ৩ বার হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে সুফল মিলবে।