ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

কুমিল্লায় গুলিতে নিহত কাউন্সিলরের জানাজায় হাজারো মানুষ

  • আপডেট সময় : ০২:১৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লায় গুলিতে নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নিয়ে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। জেলা শহরের পাথুরিয়াপাড়া ঈদগাহে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে জানাজা শেষে পাথুরিয়াপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ কুমিল্লা মেডকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে পাথুরিয়াপাড়ায় তার বাড়িতে নেওয়া হয়। পরে স্থানীয় শাহ পানুয়া জামে মসজিদ খানকা, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও ঈদগাহ মাঠে রাখা হয়। সেখানে এলাকাবাসী তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পাথুরিয়াপাড়ায় সিমেন্টের দোকান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সোমবার বিকালে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। তাতে ওই দোকানের মালিক ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল ও ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহা নিহত হন। তাছাড়া গুলিবিদ্ধ হন আরও চারজন। জানাজায় অংশ নিতে আসা এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার চেয়েছেন। তিনি বলেন, তা না হলে শিগগিররই তারা তাদের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
যেভাবে হত্যা করা হয় দুই নেতাকে : হামলার পূর্বমুহূর্তে ওই দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন দাবি করে এক নারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হামলাকারীদের গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন পালিয়ে যায়। দোকানিরা দোকানের শাটার নামিয়ে দেয়।
“খুনিরা শত শত গুলি বর্ষণ করে। এলোপাতাড়ি গুলি করে। তারা আমাকেও ধাওয়া করেছিল। আমি দৌড়ে একটি গলির মধ্যে ঢুকে পড়ি।” গুলিতে আহতদের বরাতে নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ মো. রোমান বলেন, “খুনিরা হেলমেট পরা ছিল। তারা এসে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই গুলি করে। পরে ককটেল ফাটিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। “আমার ভাইকে মেঝেতে শুইয়ে মাথায় ও বুকে নয়টি গুলি করে খুনিরা। সে সময় গুলিতে আরও চারজন আহত হন।”
মামলা : এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মামলা করবেন বলে জানান সৈয়দ মো. রোমান। খুনি সম্পর্কে পুলিশ এখনও নির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেনি। জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, খুনি ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। খুব শিগগিরই তাদের ধরা হবে। কী কারণে এ ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতরা যে-ই হোক, দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল সিআইডির ক্রাইম সিন হিসেবে ঘিরে রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু সিটিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে হাতে পাওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীদের সবাই মুখোশ পরা ছিল। তবু তাদের শনাক্ত করতে আরও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “স্থানীয়ভাবে বিরোধ ছিল। সন্ত্রাসীরা ঢুকে গুলি চালিয়েছে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লায় গুলিতে নিহত কাউন্সিলরের জানাজায় হাজারো মানুষ

আপডেট সময় : ০২:১৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লায় গুলিতে নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নিয়ে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। জেলা শহরের পাথুরিয়াপাড়া ঈদগাহে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে জানাজা শেষে পাথুরিয়াপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ কুমিল্লা মেডকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে পাথুরিয়াপাড়ায় তার বাড়িতে নেওয়া হয়। পরে স্থানীয় শাহ পানুয়া জামে মসজিদ খানকা, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও ঈদগাহ মাঠে রাখা হয়। সেখানে এলাকাবাসী তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পাথুরিয়াপাড়ায় সিমেন্টের দোকান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সোমবার বিকালে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। তাতে ওই দোকানের মালিক ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল ও ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহা নিহত হন। তাছাড়া গুলিবিদ্ধ হন আরও চারজন। জানাজায় অংশ নিতে আসা এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার চেয়েছেন। তিনি বলেন, তা না হলে শিগগিররই তারা তাদের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
যেভাবে হত্যা করা হয় দুই নেতাকে : হামলার পূর্বমুহূর্তে ওই দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন দাবি করে এক নারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হামলাকারীদের গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন পালিয়ে যায়। দোকানিরা দোকানের শাটার নামিয়ে দেয়।
“খুনিরা শত শত গুলি বর্ষণ করে। এলোপাতাড়ি গুলি করে। তারা আমাকেও ধাওয়া করেছিল। আমি দৌড়ে একটি গলির মধ্যে ঢুকে পড়ি।” গুলিতে আহতদের বরাতে নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ মো. রোমান বলেন, “খুনিরা হেলমেট পরা ছিল। তারা এসে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই গুলি করে। পরে ককটেল ফাটিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। “আমার ভাইকে মেঝেতে শুইয়ে মাথায় ও বুকে নয়টি গুলি করে খুনিরা। সে সময় গুলিতে আরও চারজন আহত হন।”
মামলা : এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মামলা করবেন বলে জানান সৈয়দ মো. রোমান। খুনি সম্পর্কে পুলিশ এখনও নির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেনি। জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, খুনি ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। খুব শিগগিরই তাদের ধরা হবে। কী কারণে এ ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতরা যে-ই হোক, দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল সিআইডির ক্রাইম সিন হিসেবে ঘিরে রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু সিটিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে হাতে পাওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীদের সবাই মুখোশ পরা ছিল। তবু তাদের শনাক্ত করতে আরও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “স্থানীয়ভাবে বিরোধ ছিল। সন্ত্রাসীরা ঢুকে গুলি চালিয়েছে।”