ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

কুনিও হোশি হত্যা মামলায় ইছাহাকের খালাসের রায় স্থগিত

  • আপডেট সময় : ০২:০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় জঙ্গি দল জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য ইছাহাক আলীকে দেওয়া খালাসের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক।
হাই কোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম গতকাল রোববার এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ পরে জানান, ইছহাক আলীর খালাসের রায়ের কার্যকারিতা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত। এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেছে আদালত। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ২১ সেপ্টেম্বর কুনিও হোশিকে হত্যা মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় ঘোষণা করে। তাতে জেএমবির চার জঙ্গির মৃত্যুদ- বহাল রাখা হলেও ইছহাক আলীকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ে মৃত্যুদ- বহাল রাখা হয় জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী (৩৩), ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য লিটন মিয়া ওরফে রফিক (৩২), সাখাওয়াত হোসেন (৩০) এবং পলাতক আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লবের (২৪
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর গুলি করে হত্যা করা হয় ৬৬ বছর বয়সি জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে। ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হত্যাকা-ের পাঁচ দিনের মাথায় একই কায়দায় রংপুরে এই জাপানি নাগরিককে হত্যার ওই ঘটনা সে সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোড়ন তোলে। এ মামলার অভিযোগপত্রে আট আসামির নাম থাকলেও তাদের দুজন আগেই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার রায় ঘোষণা করেন। এতে ওই পাঁচ জনের মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছিল। এরপর একই বছরের ৭ মার্চ নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদ- অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স আসে হাই কোর্টে। সেই রায়েই চারজনের মৃত্যুদ- বহাল রেখে একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুনিও হোশি হত্যা মামলায় ইছাহাকের খালাসের রায় স্থগিত

আপডেট সময় : ০২:০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় জঙ্গি দল জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য ইছাহাক আলীকে দেওয়া খালাসের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক।
হাই কোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম গতকাল রোববার এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ পরে জানান, ইছহাক আলীর খালাসের রায়ের কার্যকারিতা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত। এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেছে আদালত। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ২১ সেপ্টেম্বর কুনিও হোশিকে হত্যা মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় ঘোষণা করে। তাতে জেএমবির চার জঙ্গির মৃত্যুদ- বহাল রাখা হলেও ইছহাক আলীকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ে মৃত্যুদ- বহাল রাখা হয় জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী (৩৩), ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য লিটন মিয়া ওরফে রফিক (৩২), সাখাওয়াত হোসেন (৩০) এবং পলাতক আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লবের (২৪
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর গুলি করে হত্যা করা হয় ৬৬ বছর বয়সি জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে। ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হত্যাকা-ের পাঁচ দিনের মাথায় একই কায়দায় রংপুরে এই জাপানি নাগরিককে হত্যার ওই ঘটনা সে সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোড়ন তোলে। এ মামলার অভিযোগপত্রে আট আসামির নাম থাকলেও তাদের দুজন আগেই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার রায় ঘোষণা করেন। এতে ওই পাঁচ জনের মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছিল। এরপর একই বছরের ৭ মার্চ নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদ- অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স আসে হাই কোর্টে। সেই রায়েই চারজনের মৃত্যুদ- বহাল রেখে একজনকে খালাস দেওয়া হয়।