ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কী যাতনা ইভ্যালিতে

  • আপডেট সময় : ০৯:১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

হাবিবুল্লাহ ফাহাদ : মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে! কদিন আগেও। এত এত বিজ্ঞাপন। ইভ্যালির। ক্রিকেটারদের বুকেও ইভ্যালি। মুখেও ইভ্যালি। এই দিচ্ছে, ওই দিচ্ছে। কমে দিচ্ছে। ছাড়ে দিচ্ছে। এখন হাড়ে পাচ্ছেন তো? কতটা সইতে পারে হাড়!
চোখে ধুলো দিয়ে গেল। চোখ মেলে সব ধুলো নিলও মানুষ। চোখ যখন ধুলোতে কচকচ তখন টনক নড়ল। কেউ প্রশ্ন করেননি, ব্যবসা কী? কীভাবে? তখন তো পাচ্ছিলেন কমে। এর চেয়ে আর বড় প্রাপ্তি কী? কতজন ধুলো দিলো চোখে। বারবার ঘুরেফিরে তারা আসে, এই বাংলায়। ডানহাত-বাঁহাতের ভেলকি। কতজন গাছ কিনল সাগরপারে। কেউ হলো পাঁচ তারকা হোটেলের মালিক। সিলভার, গোল্ডেন, প্লাটিনাম। কত শত মূল্যবান ধাতু বাপু! ওসব বলতে গেলেও গা কেমন রোমাঞ্চিত হয়।
সেই গাছ কেনা মানুষ এবার অর্ধেক দামে কিনল মোটরসাইকেল, গাড়ি, টিভি, ফ্রিজ, রান্নার তেল— কত কী! তখন তো অর্ধেক দামে ব্যবসার লোভে চকচকে চোখ। এখন সেখানে শঙ্কা কেন? উদ্বেগই বা কেন? কান্না করবেন, করুন। হ্যাশট্যাগ বাঁচাও ইভ্যালি! কত মায়া কান্না রে বাপু! বলবেন, যার গেছে সেই বোঝে। ‘কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।’ জয়তু কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
বটে। বিষের যাতনা বুঝব কী করে। এই বিষ যে প্রাণনাশিনী, কেউ কি একবারও তা বুঝিনি? বুঝতে চাইনি? এতটাই পিছিয়ে পড়া আমরা? এতটাই বোধ-বুদ্ধি নির্বাসিত আমাদের? হালফিল এই চতুর জামানায় এও কি বিশ্বাস করবে মানুষ? করবে বটে। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু কথাটি তো তবে মিথ্যে হয়ে যায়।
কত চাকচিক্য! কত শান-শওকত! ছদ্মবেশী, প্রতারকদের। দেহাতি মানুষগুলো কতটাই না বোকা। বোকা? না, লোভী? আপনারাই ঠিক করুন।
রাসেলকে কব্জা করেছে আইনের হাত। তো কী? অপরাধের বিচার তো হতেই হবে, তাই না? প্রশ্ন আসলে টাকার কী হবে? যারা দিয়েছেন। পাবেন বলে বেশি কিছু। তাদের দিকটাও তো দেখতে হবে। কম হোক, বেশি হোক তারা তো বিনিয়োগ করেছেন। যদিও অপাত্রে। তারপরও নাগরিক হিসেবে এতটুকু নিরাপত্তা, অর্থের, বিনিয়োগের, রাষ্ট্রের কাছে চাইলে তা কি বাহুল্য হয়? দেখুন না বিষয়টা। যারা আছেন। কর্তারা।
এবার এই পথের অন্য পথিকরা কি সজাগ হবেন না? কী বলছেন? রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
লেখক : কবি, সাংবাদিক

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কী যাতনা ইভ্যালিতে

আপডেট সময় : ০৯:১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাবিবুল্লাহ ফাহাদ : মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে! কদিন আগেও। এত এত বিজ্ঞাপন। ইভ্যালির। ক্রিকেটারদের বুকেও ইভ্যালি। মুখেও ইভ্যালি। এই দিচ্ছে, ওই দিচ্ছে। কমে দিচ্ছে। ছাড়ে দিচ্ছে। এখন হাড়ে পাচ্ছেন তো? কতটা সইতে পারে হাড়!
চোখে ধুলো দিয়ে গেল। চোখ মেলে সব ধুলো নিলও মানুষ। চোখ যখন ধুলোতে কচকচ তখন টনক নড়ল। কেউ প্রশ্ন করেননি, ব্যবসা কী? কীভাবে? তখন তো পাচ্ছিলেন কমে। এর চেয়ে আর বড় প্রাপ্তি কী? কতজন ধুলো দিলো চোখে। বারবার ঘুরেফিরে তারা আসে, এই বাংলায়। ডানহাত-বাঁহাতের ভেলকি। কতজন গাছ কিনল সাগরপারে। কেউ হলো পাঁচ তারকা হোটেলের মালিক। সিলভার, গোল্ডেন, প্লাটিনাম। কত শত মূল্যবান ধাতু বাপু! ওসব বলতে গেলেও গা কেমন রোমাঞ্চিত হয়।
সেই গাছ কেনা মানুষ এবার অর্ধেক দামে কিনল মোটরসাইকেল, গাড়ি, টিভি, ফ্রিজ, রান্নার তেল— কত কী! তখন তো অর্ধেক দামে ব্যবসার লোভে চকচকে চোখ। এখন সেখানে শঙ্কা কেন? উদ্বেগই বা কেন? কান্না করবেন, করুন। হ্যাশট্যাগ বাঁচাও ইভ্যালি! কত মায়া কান্না রে বাপু! বলবেন, যার গেছে সেই বোঝে। ‘কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।’ জয়তু কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
বটে। বিষের যাতনা বুঝব কী করে। এই বিষ যে প্রাণনাশিনী, কেউ কি একবারও তা বুঝিনি? বুঝতে চাইনি? এতটাই পিছিয়ে পড়া আমরা? এতটাই বোধ-বুদ্ধি নির্বাসিত আমাদের? হালফিল এই চতুর জামানায় এও কি বিশ্বাস করবে মানুষ? করবে বটে। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু কথাটি তো তবে মিথ্যে হয়ে যায়।
কত চাকচিক্য! কত শান-শওকত! ছদ্মবেশী, প্রতারকদের। দেহাতি মানুষগুলো কতটাই না বোকা। বোকা? না, লোভী? আপনারাই ঠিক করুন।
রাসেলকে কব্জা করেছে আইনের হাত। তো কী? অপরাধের বিচার তো হতেই হবে, তাই না? প্রশ্ন আসলে টাকার কী হবে? যারা দিয়েছেন। পাবেন বলে বেশি কিছু। তাদের দিকটাও তো দেখতে হবে। কম হোক, বেশি হোক তারা তো বিনিয়োগ করেছেন। যদিও অপাত্রে। তারপরও নাগরিক হিসেবে এতটুকু নিরাপত্তা, অর্থের, বিনিয়োগের, রাষ্ট্রের কাছে চাইলে তা কি বাহুল্য হয়? দেখুন না বিষয়টা। যারা আছেন। কর্তারা।
এবার এই পথের অন্য পথিকরা কি সজাগ হবেন না? কী বলছেন? রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
লেখক : কবি, সাংবাদিক