লাইফস্টাইল ডেস্ক ঃ জামদানি মানেই ঐতিহ্য ও আভিজাত্য। নিখুঁত উপায়ে হাতে বোনা হয় ঢাকাই জামদানি। নকশা অনুযায়ী এক মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগে একেকটা শাড়ি বুনতে। এতে স্বাভাবিকভাবেই শাড়ির দাম বেড়ে যায়। কিন্তু আজকাল বাজারে অনেকেই জামদানি বলে বিক্রি করছেন মেশিনে তৈরি শাড়ি। কেবল জামদানির মোটিফ দেখেই অনেকে চড়া দামে কিনে ঠকছেন এসব শাড়ি। এগুলো সিল্ক শাড়িতে জামদানি মোটিফের কাজ করা, কিন্তু আদতে জামদানি শাড়ি নয়। আবার অনেকে ‘কম দামী’ জামদানি বলে বেশ স্বল্প মূল্যেই বিক্রি করছে শাড়ি। কমে পাওয়া যাচ্ছে বলে ক্রেতারা লুফে নিচ্ছেন এসব শাড়ি। এগুলোও প্রকৃত অর্থে জামদানি শাড়ি নয়। জামদানি কর্নার পেইজের অন্যতম স্বত্বাধিকারী রোকেয়া ইয়াসমিন জানালেন আসল ও নকল জামদানির পার্থক্য। জামদানি সাধারণত তিন ধরনের হয়- মসলিন, হাফ সিল্ক এবং ফুল সিল্ক। সুতার কাউন্ট দিয়ে একটি সুতা কতটুকু মোটা বা চিকন তা বোঝানো হয়। মূলত নকশা ও সুতার কাউন্টের উপর নির্ভর করে জামদানির দাম।
১। জামদানি শাড়ি মিহি সুতায় বোনা হয়। হাতে বোনার কারণে সামান্য ফাঁকা থাকে বুননে। মেশিনে বোনা জামদানির বুননে ফাঁকা থাকে না একেবারেই।
২। আসল জামদানি চেনার সবচেয়ে বর উপায় হলো শাড়ি উল্টে দেখা। জামদানি শাড়ির উল্টো দিকে যদি সুতা কাটা দেখেন, তবে বুঝবেন এটা মেশিনে বোনা জামদানি। হাতে বোনা জামদানির পেছনেও একেবারে নিখুঁত ফিনিশিং থাকে।
৩। আসল জামদানির ক্ষেত্রে শাড়ির প্রথম আড়াই হাত অংশে কোনও কাজ থাকে না। অর্থাৎ কোমরে যে অংশ গুঁজতে হয়, সেখানে কাজ থাকে না। মেশিনে বোনা জামদানির কারুকাজ শুরু হয় একেবারে কোমরের অংশ থেকেই।
কীভাবে চিনবেন আসল জামদানি?
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ