ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

কি চেয়েছিল আর কি পেলো বাংলাদেশ!

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : এককভাবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) । অনুমোদন দেয়নি আইসিসি। সঙ্গে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সঙ্গে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করতে আবেদন করেছিল। এজন্য আইসিসি সভায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছিল বিসিবি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাড়া পেলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সহ-আয়োজক ভারত। তাতে অখুশি নয় বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে দাবি করলেন প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
রাইজিংবিডিকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে। তবে এখন বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হয়েছি। এটা গৌরবের সঙ্গে লাভজনক।’
২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের ৮ বছরের চক্রে পুরুষদের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে কেবল একটির আয়োজক বাংলাদেশ। ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে যৌথ আয়োজক বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আইসিসির বেশ কিছু শর্ত আছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ভেন্যু। পর্যাপ্ত ভেন্যু ও অনান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজনের জন্য আবেদন করেনি বাংলাদেশ। তবে এককভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের জন্য আবেদন করেছিল। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে পূর্ণ মনোযোগ ছিল। কিন্তু আইসিসি থেকে মেলেনি সাড়া।
এককভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ওয়ানডে সহ-আয়োজক হয়ে বাংলাদেশ বেশি লাভবান হবে বলে জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী, ‘আইসিসি‘র সবচেয়ে লাভজনক ইভেন্ট হচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারত বরাবরই বাণিজ্যিক দিক থেকে এগিয়ে। আমরা সেই সুবিধাই পাবো। বাংলাদেশের বাজারও বিস্তৃত। এর আগে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালসহ আটটি ম্যাচ করেছিলাম। আইসিসির প্রত্যাশার চেয়েও দ্বিগুণ লাভবান হয়েছে। সেটা আর্থিক দিক থেকে আবার প্রচারের দিক থেকেও। এবার আমরা বেশি ম্যাচ পাবো। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ বেশি লাভবান হবে।’
এর আগে ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৪ সালে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ ৮টি ম্যাচ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ম্যাচ হয়েছিল ৩৫টি।
প্রসঙ্গত, ২০২৭ ও ২০৩১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলবে ১৪ দল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কি চেয়েছিল আর কি পেলো বাংলাদেশ!

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : এককভাবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) । অনুমোদন দেয়নি আইসিসি। সঙ্গে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সঙ্গে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করতে আবেদন করেছিল। এজন্য আইসিসি সভায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছিল বিসিবি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাড়া পেলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সহ-আয়োজক ভারত। তাতে অখুশি নয় বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে দাবি করলেন প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
রাইজিংবিডিকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে। তবে এখন বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হয়েছি। এটা গৌরবের সঙ্গে লাভজনক।’
২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের ৮ বছরের চক্রে পুরুষদের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে কেবল একটির আয়োজক বাংলাদেশ। ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে যৌথ আয়োজক বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আইসিসির বেশ কিছু শর্ত আছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ভেন্যু। পর্যাপ্ত ভেন্যু ও অনান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজনের জন্য আবেদন করেনি বাংলাদেশ। তবে এককভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের জন্য আবেদন করেছিল। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে পূর্ণ মনোযোগ ছিল। কিন্তু আইসিসি থেকে মেলেনি সাড়া।
এককভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ওয়ানডে সহ-আয়োজক হয়ে বাংলাদেশ বেশি লাভবান হবে বলে জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী, ‘আইসিসি‘র সবচেয়ে লাভজনক ইভেন্ট হচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারত বরাবরই বাণিজ্যিক দিক থেকে এগিয়ে। আমরা সেই সুবিধাই পাবো। বাংলাদেশের বাজারও বিস্তৃত। এর আগে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালসহ আটটি ম্যাচ করেছিলাম। আইসিসির প্রত্যাশার চেয়েও দ্বিগুণ লাভবান হয়েছে। সেটা আর্থিক দিক থেকে আবার প্রচারের দিক থেকেও। এবার আমরা বেশি ম্যাচ পাবো। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ বেশি লাভবান হবে।’
এর আগে ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৪ সালে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ ৮টি ম্যাচ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ম্যাচ হয়েছিল ৩৫টি।
প্রসঙ্গত, ২০২৭ ও ২০৩১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলবে ১৪ দল।