ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কিয়েভ পৌঁছালেন জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শকরা

  • আপডেট সময় : ০১:২৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ পৌঁছেছেন জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শকরা। জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কিয়েভে পৌঁছান তারা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার ১৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা কিয়েভে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার সকালে সেখানকার হোটেলে তাদের উপস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছেন সিএনএনের সাংবাদিকরা। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকো সোমবার জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। টুইটারে দেওয়া পোস্টে রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, আমাদের অবশ্যই ইউক্রেন ও ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ফের জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গোলাবর্ষণের অভিযোগ করেছে রাশিয়া। মস্কোর অভিযোগ, গতকাল মঙ্গলবার সেখানে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনের কাছ থেকে জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী। পরে অঞ্চলটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত একটি প্রশাসন বসায় তারা। এনহোদর শহরের রুশ নগর কতৃর্পক্ষের অভিযোগ, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জ্বালানি স্টোরেজ বিল্ডিংয়ের কাছে গোলাবর্ষণ করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এর আগে সম্প্রতি ওভারহেড লাইনে আগুন ধরে যাওয়ায় জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে ইউক্রেনের জাতীয় পাওয়ার গ্রিডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটে। তবে ছয়টি রিঅ্যাক্টরের মধ্যে দুইটির সংযোগ পুনস্থাপিত হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে ইউক্রেন। ইউক্রেনের বিদ্যুতের এক-পঞ্চমাংশ আসে এই জাপোরিজ্জিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। সেখানে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কিয়েভ পৌঁছালেন জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শকরা

আপডেট সময় : ০১:২৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ পৌঁছেছেন জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শকরা। জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কিয়েভে পৌঁছান তারা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার ১৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা কিয়েভে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার সকালে সেখানকার হোটেলে তাদের উপস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছেন সিএনএনের সাংবাদিকরা। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকো সোমবার জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। টুইটারে দেওয়া পোস্টে রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, আমাদের অবশ্যই ইউক্রেন ও ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ফের জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গোলাবর্ষণের অভিযোগ করেছে রাশিয়া। মস্কোর অভিযোগ, গতকাল মঙ্গলবার সেখানে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনের কাছ থেকে জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী। পরে অঞ্চলটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত একটি প্রশাসন বসায় তারা। এনহোদর শহরের রুশ নগর কতৃর্পক্ষের অভিযোগ, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জ্বালানি স্টোরেজ বিল্ডিংয়ের কাছে গোলাবর্ষণ করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এর আগে সম্প্রতি ওভারহেড লাইনে আগুন ধরে যাওয়ায় জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে ইউক্রেনের জাতীয় পাওয়ার গ্রিডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটে। তবে ছয়টি রিঅ্যাক্টরের মধ্যে দুইটির সংযোগ পুনস্থাপিত হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে ইউক্রেন। ইউক্রেনের বিদ্যুতের এক-পঞ্চমাংশ আসে এই জাপোরিজ্জিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। সেখানে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়।