আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে নয় শতাধিক বেসামরিক মানুষের মরদেহ উদ্ধারের দাবি করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রধান।
আলজাজিরা জানায়, কিয়েভ অঞ্চলের পুলিশ প্রধান অ্যান্ড্রি নেবিটভ সাংবাদিকদের বলেন, বহু মরদেহ রাস্তায় পড়ে ছিল। কিছু মরদেহের দাফনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকিগুলোও যথাযথভাবে দাফনের কাজ চলছে। নিহতদের ৯০ ভাগের বেশি মানুষ রুশ সেনাদের গুলিতে মারা গেছে।
এর আগে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রুশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কোভা’ ডুবে যাওয়ায় কিয়েভের চারপাশে দফায় দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
তখন রয়টার্স জানিয়েছিল, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, দক্ষিণের শহর খেরসন, পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভ এবং পশ্চিমে ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক শহরে বিস্ফোরণের খবর শোনা গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া, শুক্রবার সকালেই ইউক্রেনের সকল অঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। তারপরই বিকালে রুশ হামলায় হতাহতের খবর জানায় পুলিশ প্রধান অ্যান্ড্রি নেবিটভ। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ‘গণহারে এবং পরিকল্পিতভাবে নিপীড়ন এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘনের’ অভিযোগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বুচা শহরের শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যার অভিযোগ ওঠেছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, রাস্তায় অনেক মৃতদেহ পড়ে ছিল। এ ছাড়া, স্থানীয় একটি গির্জার নিকটে একটি গণকবরও শনাক্ত হয়। সেখান থেকে প্রায় তিন শতাধিক মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর সবার পরনে ছিল বেসামরিক পোশাক।
এ ঘটনা প্রকাশিত হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘নৃশংস’ ও ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে দাবি করেছিলেন। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পুতিনের বিচার হওয়াও উচিত বলে মন্তব্য করেন। যদিও বুচা শহরের ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে রাশিয়া। উল্টো, এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি ক্রেমলিনের।
কিয়েভ থেকে নয় শতাধিক বেসামরিক মানুষের মরদেহ উদ্ধার
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ