ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধুর বদনা ও আংটি নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মী

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

বাগেরহাট সংবাদদাতা: বাগেরহাটের চিতলমারীতে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় শ্রাবণী হীরা (২২) নামের এক গৃহবধূর বদনা, হাতের স্বর্ণের আংটি ও নাকফুল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে ।

জানা যায়, সময় মত কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় ওই এনজিও’র এক কর্মী পাশ বইয়ে আংটি বাবদ ৮ হাজার ও বদনা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা জমা করেছেন। শনিবার (৮ই নভেম্বর) ওই গৃহবধুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে এনজিওটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি গৃহবধূ খুশি হয়ে তাদের হাতে আংটি, নাকফুল ও বদনা তুলে দিয়েছেন।

এদিকে কান্নাজড়িতকন্ঠে গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা থেকে তিনি ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন। লাভসহ তার ৪৫ হাজার ১২০ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা বাকি থাকতে তাঁর স্বামী রিপন কাজের জন্য এলাকা ছাড়েন। এরপর কয়েকটি কিস্তি খেলাপী হলে গত ২৯ অক্টোবর ১০ টায় ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। অফিসে নিয়ে তাকে ও তার ৩ বছরের কণ্যা শিশুকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে এনজিও কর্মী ও কর্মকর্তারা ফিল্ড থেকে ফিরে বিকেলে জোরপূর্বক শ্রাবণী হীরাকে দিয়ে ২টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্য করে পিতলের একটি বদনা, হাতের আংটি ও নাকফুল নিয়ে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এ সময় তার শিশুটি ক্ষুধার জন্য ছটফট করছিল। ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ বলেন, গৃহবধূ শ্রাবণীর কিস্তি খেলাপী ছিল। তার কাছ থেকে নাকফুল নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখব।

সানা/ওআ/আপ্র/০৯/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধুর বদনা ও আংটি নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মী

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

বাগেরহাট সংবাদদাতা: বাগেরহাটের চিতলমারীতে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় শ্রাবণী হীরা (২২) নামের এক গৃহবধূর বদনা, হাতের স্বর্ণের আংটি ও নাকফুল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে ।

জানা যায়, সময় মত কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় ওই এনজিও’র এক কর্মী পাশ বইয়ে আংটি বাবদ ৮ হাজার ও বদনা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা জমা করেছেন। শনিবার (৮ই নভেম্বর) ওই গৃহবধুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে এনজিওটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি গৃহবধূ খুশি হয়ে তাদের হাতে আংটি, নাকফুল ও বদনা তুলে দিয়েছেন।

এদিকে কান্নাজড়িতকন্ঠে গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা থেকে তিনি ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন। লাভসহ তার ৪৫ হাজার ১২০ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা বাকি থাকতে তাঁর স্বামী রিপন কাজের জন্য এলাকা ছাড়েন। এরপর কয়েকটি কিস্তি খেলাপী হলে গত ২৯ অক্টোবর ১০ টায় ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। অফিসে নিয়ে তাকে ও তার ৩ বছরের কণ্যা শিশুকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে এনজিও কর্মী ও কর্মকর্তারা ফিল্ড থেকে ফিরে বিকেলে জোরপূর্বক শ্রাবণী হীরাকে দিয়ে ২টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্য করে পিতলের একটি বদনা, হাতের আংটি ও নাকফুল নিয়ে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এ সময় তার শিশুটি ক্ষুধার জন্য ছটফট করছিল। ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ বলেন, গৃহবধূ শ্রাবণীর কিস্তি খেলাপী ছিল। তার কাছ থেকে নাকফুল নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখব।

সানা/ওআ/আপ্র/০৯/১১/২০২৫