ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে হট্টগোল, কয়েক দলের নেতাদের প্রশ্ন

কিসের সংলাপ, কার সাথে সংলাপ?

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

বক্তব্য দিতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হট্টোগোল করে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে বের হয়ে যাওয়া সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বক্তব্য ‘দিতে না দেওয়ার’ অভিযোগ তুলে হট্টোগোল করে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে বের হয়ে যান সিপিবি, গণফোরামের নেতারা। তবে কমিশনের সদস্যদের হস্তক্ষেপে ফের সংলাপে ফিরে যায় এই দলগুলো।

বুধবার (১৮ জুন) বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপাস হলে কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের তৃতীয় দিনের আলোচনায় এই ঘটনা ঘটে। বিএনপি, জামায়াত ইসলামী জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয় এ আলোচনায়। বিকাল পৌনে চারটার দিকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হইচই করে সংলাপ ‘বয়কট করে’ বের হয়ে আসেন। সে সময়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখানে কিসের সংলাপ হচ্ছে, কার সাথে সংলাপ করব। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে। অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন নিরপেক্ষ থাকবে না ততদিনের জন্য আমরা বয়কট করেছি।
হট্টগোল করে আলোচনা থেকে একইভাবে বের হয়ে আসেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ‘বৈষম্য হচ্ছে’ অভিযোগ করে প্রিন্স বলেন, জামায়াত ইসলামীর তিনজনকে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। আরো অনেকে বক্তব্য রাখছেন, অথচ আমেদর কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।
সংলাপ থেকে বেরিয়ে যান বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমও। বের হয়ে যাওয়ার সময় সেলিম বলেন, নিরপেক্ষতার বিতর্কে আমরা সাত থেকে আটটি দল ওয়াক আউটের জন্য দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম। পরে দুটি দল বয়কট করে বের হয়ে যায়। আর আমি ব্যক্তিগত কাজের জন্য সংলাপ থেকে বের হয়ে এসেছি।

বেলা সাড়ে ১১টায় শুরুর পর রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এরপর দুপুরের খাবারের বিরতির পর বেলা ৩টাফ ফের সংলাপ শুরু হয়। বিকাল পৌনের চারটার দিকে দোয়েল মাল্টিপাস হলের ভেতরে তাদের ‘কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না বলে’ দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন সিপিবি ও গণফোরাম নেতারা। ওই সময়ে ভেতরে অন্যান্য দলের রাজনৈতিক নেতারা বসে ছিলেন। সিপিবি ও গণফোরামের দুই নেতা সংলাপস্থলের বাইরে বের হয়ে আসার পর কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার এবং উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ভেতরে ফিরিয়ে নিয়ে যান বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সংলাপ চলবে বলে শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়েছিল। শাহাদাত হোসেন সেলিম সংলাপ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর পর সাড়ে ৪টার দিকে বের হয়ে যান গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি। তবে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের সংলাপ ‘বয়কট’ করেছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে একদিন পর কমিশনের সংলাপে যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে একদিন পরই এদিনের আলোচনায় যোগ দেয় এই দলটি। সংলাপে ফেরার পর হাসিমুখে তাদের স্বাগত জানিয়েছেন অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা। কেউ কেউ তাদের সঙ্গে করমর্দন করেছেন, কেউবা বুকে জড়িয়ে কোলাকুলি করেছেন।

মিলনায়তনের দরজার সামনেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার জামায়াতের প্রতিনিধি দলের নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে শুভেচ্ছা জানান। তারা হাসিমুখে করমর্দন করেন। পরে জামায়াত নেতৃবৃন্দ হেঁটে হেঁটে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও জামায়াতের নায়েবের আমীরের সঙ্গে করমর্দন করেন, শুভেচ্ছা জানান।
মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সদস্য অংশ নেননি। পরে জাময়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা বৈঠকটি ‘বয়কট’ করেছে। গত ৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পরে যে যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হয় তা ‘যথাযথ’ হয়নি বলে মনে করছে জামায়াত।

হাতে হাত রাখলেন সালাহউদ্দিন-তাহের-নাহিদ: হাতে হাত রেখে পরস্পর সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সংশোধন প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চলাকালে বিরতির সময় হাতে হাত রেখে ছবি তোলেন তারা। বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকের বিরতির ফাঁকে এই চিত্র দেখা গেছে। পরে নাহিদ ইসলামকে বুকে টেনে নেন সালাহউদ্দিন আহমদ। এসময় কেমন আছেন নাহিদ? জিজ্ঞেস করেই বুকে টেনে নেন সালাহউদ্দিন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে হট্টগোল, কয়েক দলের নেতাদের প্রশ্ন

কিসের সংলাপ, কার সাথে সংলাপ?

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বক্তব্য ‘দিতে না দেওয়ার’ অভিযোগ তুলে হট্টোগোল করে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে বের হয়ে যান সিপিবি, গণফোরামের নেতারা। তবে কমিশনের সদস্যদের হস্তক্ষেপে ফের সংলাপে ফিরে যায় এই দলগুলো।

বুধবার (১৮ জুন) বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপাস হলে কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের তৃতীয় দিনের আলোচনায় এই ঘটনা ঘটে। বিএনপি, জামায়াত ইসলামী জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয় এ আলোচনায়। বিকাল পৌনে চারটার দিকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হইচই করে সংলাপ ‘বয়কট করে’ বের হয়ে আসেন। সে সময়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখানে কিসের সংলাপ হচ্ছে, কার সাথে সংলাপ করব। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে। অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন নিরপেক্ষ থাকবে না ততদিনের জন্য আমরা বয়কট করেছি।
হট্টগোল করে আলোচনা থেকে একইভাবে বের হয়ে আসেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ‘বৈষম্য হচ্ছে’ অভিযোগ করে প্রিন্স বলেন, জামায়াত ইসলামীর তিনজনকে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। আরো অনেকে বক্তব্য রাখছেন, অথচ আমেদর কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।
সংলাপ থেকে বেরিয়ে যান বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমও। বের হয়ে যাওয়ার সময় সেলিম বলেন, নিরপেক্ষতার বিতর্কে আমরা সাত থেকে আটটি দল ওয়াক আউটের জন্য দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম। পরে দুটি দল বয়কট করে বের হয়ে যায়। আর আমি ব্যক্তিগত কাজের জন্য সংলাপ থেকে বের হয়ে এসেছি।

বেলা সাড়ে ১১টায় শুরুর পর রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এরপর দুপুরের খাবারের বিরতির পর বেলা ৩টাফ ফের সংলাপ শুরু হয়। বিকাল পৌনের চারটার দিকে দোয়েল মাল্টিপাস হলের ভেতরে তাদের ‘কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না বলে’ দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন সিপিবি ও গণফোরাম নেতারা। ওই সময়ে ভেতরে অন্যান্য দলের রাজনৈতিক নেতারা বসে ছিলেন। সিপিবি ও গণফোরামের দুই নেতা সংলাপস্থলের বাইরে বের হয়ে আসার পর কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার এবং উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ভেতরে ফিরিয়ে নিয়ে যান বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সংলাপ চলবে বলে শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়েছিল। শাহাদাত হোসেন সেলিম সংলাপ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর পর সাড়ে ৪টার দিকে বের হয়ে যান গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি। তবে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের সংলাপ ‘বয়কট’ করেছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে একদিন পর কমিশনের সংলাপে যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে একদিন পরই এদিনের আলোচনায় যোগ দেয় এই দলটি। সংলাপে ফেরার পর হাসিমুখে তাদের স্বাগত জানিয়েছেন অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা। কেউ কেউ তাদের সঙ্গে করমর্দন করেছেন, কেউবা বুকে জড়িয়ে কোলাকুলি করেছেন।

মিলনায়তনের দরজার সামনেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার জামায়াতের প্রতিনিধি দলের নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে শুভেচ্ছা জানান। তারা হাসিমুখে করমর্দন করেন। পরে জামায়াত নেতৃবৃন্দ হেঁটে হেঁটে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও জামায়াতের নায়েবের আমীরের সঙ্গে করমর্দন করেন, শুভেচ্ছা জানান।
মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সদস্য অংশ নেননি। পরে জাময়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা বৈঠকটি ‘বয়কট’ করেছে। গত ৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পরে যে যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হয় তা ‘যথাযথ’ হয়নি বলে মনে করছে জামায়াত।

হাতে হাত রাখলেন সালাহউদ্দিন-তাহের-নাহিদ: হাতে হাত রেখে পরস্পর সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সংশোধন প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চলাকালে বিরতির সময় হাতে হাত রেখে ছবি তোলেন তারা। বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকের বিরতির ফাঁকে এই চিত্র দেখা গেছে। পরে নাহিদ ইসলামকে বুকে টেনে নেন সালাহউদ্দিন আহমদ। এসময় কেমন আছেন নাহিদ? জিজ্ঞেস করেই বুকে টেনে নেন সালাহউদ্দিন।