ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কিশোরী মায়েরা পরিবার-সমাজে অহরহ হয়রানির শিকার

  • আপডেট সময় : ০৪:৪০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক: দেশে ১৯ বছর (প্রাপ্তবয়স্ক) হওয়ার আগেই বাল্যবিয়ের শিকার ৫৬ শতাংশ কিশোরী গর্ভধারণ করছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গর্ভধারণের পরও অপ্রাপ্তবয়স্ক এসব কিশোরী পরিবার ও সমাজে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট গাইনকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিএজিএসবি) অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উঠে আসে।

পিএজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম বলেন, ১০ থেকে ১৯ বছরের কিশোরীদের যেসব গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যা হয়, আমাদের সেগুলো চিহ্নিত করার ব্যবস্থা নেই। দেশে এই বয়সির সংখ্যা এক-পঞ্চমাংশ। তারা প্রজনন ক্ষমতা, গর্ভধারণ, মানসিক স্বাস্থ্য, পুষ্টিহীনতা এবং নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হয়। এসব সমস্যা চিহ্নিত করে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, গত এক বছরে শুধু ঢাকা নয়; ঢাকার বাইরেও ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা এই কার্যক্রম চালিয়েছি।

কখনো কখনো চিকিৎসাও দিয়েছি। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের মাঝেও এই সচেতনতা বাড়াচ্ছি। তবে কিশোরীদের সুরক্ষা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বেগম বলেন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের উন্নতিই পিএজিএসবির মূল লক্ষ্য। এই বয়সিদের চিকিৎসায় দেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বেশকিছু নীতিমালা থাকলেও তেমন বাস্তবায়ন নেই। এগুলো যুগোপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিষয়গুলো আরও গুরুত্ব পাওয়া দরকার। তিনি বলেন, পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট গাইনোকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে। মূল লক্ষ্য হলো দেশের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা। সেবা প্রদানকারীদের দক্ষ করে গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

অন্য চিকিৎসকরা বলেন, প্রসূতি মৃত্যুর প্রধান কারণ রক্তক্ষরণ। আবার দেশে দক্ষ মিডওয়াইফ (প্রশিক্ষিত ধাত্রী) সংকট রয়েছে। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় প্রসূতিকে অন্তত আটবার চেকআপ করানো উচিত। কিন্তু দেশে মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ প্রসূতিকে চিকিৎসক দেখাচ্ছেন এবং তারা মাত্র চারবার চেকআপ করাচ্ছেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় কাউন্টার থেকে চলবে ২১ কোম্পানির গোলাপী বাস

কিশোরী মায়েরা পরিবার-সমাজে অহরহ হয়রানির শিকার

আপডেট সময় : ০৪:৪০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

নারী ও শিশু ডেস্ক: দেশে ১৯ বছর (প্রাপ্তবয়স্ক) হওয়ার আগেই বাল্যবিয়ের শিকার ৫৬ শতাংশ কিশোরী গর্ভধারণ করছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গর্ভধারণের পরও অপ্রাপ্তবয়স্ক এসব কিশোরী পরিবার ও সমাজে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট গাইনকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিএজিএসবি) অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উঠে আসে।

পিএজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম বলেন, ১০ থেকে ১৯ বছরের কিশোরীদের যেসব গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যা হয়, আমাদের সেগুলো চিহ্নিত করার ব্যবস্থা নেই। দেশে এই বয়সির সংখ্যা এক-পঞ্চমাংশ। তারা প্রজনন ক্ষমতা, গর্ভধারণ, মানসিক স্বাস্থ্য, পুষ্টিহীনতা এবং নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হয়। এসব সমস্যা চিহ্নিত করে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, গত এক বছরে শুধু ঢাকা নয়; ঢাকার বাইরেও ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা এই কার্যক্রম চালিয়েছি।

কখনো কখনো চিকিৎসাও দিয়েছি। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের মাঝেও এই সচেতনতা বাড়াচ্ছি। তবে কিশোরীদের সুরক্ষা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বেগম বলেন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের উন্নতিই পিএজিএসবির মূল লক্ষ্য। এই বয়সিদের চিকিৎসায় দেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বেশকিছু নীতিমালা থাকলেও তেমন বাস্তবায়ন নেই। এগুলো যুগোপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিষয়গুলো আরও গুরুত্ব পাওয়া দরকার। তিনি বলেন, পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট গাইনোকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে। মূল লক্ষ্য হলো দেশের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা। সেবা প্রদানকারীদের দক্ষ করে গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

অন্য চিকিৎসকরা বলেন, প্রসূতি মৃত্যুর প্রধান কারণ রক্তক্ষরণ। আবার দেশে দক্ষ মিডওয়াইফ (প্রশিক্ষিত ধাত্রী) সংকট রয়েছে। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় প্রসূতিকে অন্তত আটবার চেকআপ করানো উচিত। কিন্তু দেশে মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ প্রসূতিকে চিকিৎসক দেখাচ্ছেন এবং তারা মাত্র চারবার চেকআপ করাচ্ছেন।