ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

কিশোরীকে ভারতে পাচারের পর হত্যা

  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

যশোর সংবাদদাতা : কিশোরী টুম্পা হত্যাকা-ে নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছেন র‌্যাব সদস্যরা। টিকটকে সেলিব্রেটি বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ভারতে পাচারের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতাররা। গতকাল শনিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৬ খুলনার সিও লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ এসব তথ্য জানান। গ্রেফতাররা হলেন- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাসিন্দা আলী হোসেন (২০), খুলনা সদর থানার বাসিন্দা কুলসুম বেগম (৪৫) ও তার ছেলে আল-আমিন (১৯)। হত্যাকা-ের শিকার তরুণী টুম্পা (১৭) ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা। র‌্যাবের যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, গ্রেফতার কুলসুম বেগমের মেয়ে বৃষ্টি এবং জামাই যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা নবাব ভারতে বসবাস করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের পাচার করে নিয়ে যায় তারা। বৃষ্টি ও নবাবের সহযোগী কুলসুম বেগম ও তার ছেলে আল আমিন। পরিচয়সূত্রে এ চক্রের এক সদস্য ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা টুম্পাকে টিকটকে সেলিব্রেটি বানানো ও বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে দেয়। সে ফাঁদে পা দিয়ে ২০২১ সালে টুম্পা খুলনায় কুলসুমের বাড়ি যায়। পরে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাকে ভারতে পাচার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, টুম্পাকে ভারতে একটি বাসায় আটকে রেখে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করানো হতো। পাশাপাশি তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে টুম্পা দেশে আসার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে নবাব ও বৃষ্টির নির্দেশে ২৬ জানুয়ারি আলী হোসেন টুম্পাকে হত্যা করে। এরপর ভারতে টুম্পার মরদেহ উদ্ধার হলে গুজরাট পুলিশ ফোন করে টুম্পার বাবাকে জানায় যে, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা র‌্যাবের কাছে অভিযোগ দেয়। টুম্পা পাচারের ঘটনায় ঢাকার ডেমরা থানায় মামলা হওয়ায় গ্রেফতারদের সেখানে সোপর্দ করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিয়ম না মেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১৫ গাড়িচালকের নামে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ

কিশোরীকে ভারতে পাচারের পর হত্যা

আপডেট সময় : ১২:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

যশোর সংবাদদাতা : কিশোরী টুম্পা হত্যাকা-ে নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছেন র‌্যাব সদস্যরা। টিকটকে সেলিব্রেটি বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ভারতে পাচারের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতাররা। গতকাল শনিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৬ খুলনার সিও লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ এসব তথ্য জানান। গ্রেফতাররা হলেন- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাসিন্দা আলী হোসেন (২০), খুলনা সদর থানার বাসিন্দা কুলসুম বেগম (৪৫) ও তার ছেলে আল-আমিন (১৯)। হত্যাকা-ের শিকার তরুণী টুম্পা (১৭) ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা। র‌্যাবের যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, গ্রেফতার কুলসুম বেগমের মেয়ে বৃষ্টি এবং জামাই যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা নবাব ভারতে বসবাস করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের পাচার করে নিয়ে যায় তারা। বৃষ্টি ও নবাবের সহযোগী কুলসুম বেগম ও তার ছেলে আল আমিন। পরিচয়সূত্রে এ চক্রের এক সদস্য ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা টুম্পাকে টিকটকে সেলিব্রেটি বানানো ও বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে দেয়। সে ফাঁদে পা দিয়ে ২০২১ সালে টুম্পা খুলনায় কুলসুমের বাড়ি যায়। পরে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাকে ভারতে পাচার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, টুম্পাকে ভারতে একটি বাসায় আটকে রেখে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করানো হতো। পাশাপাশি তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে টুম্পা দেশে আসার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে নবাব ও বৃষ্টির নির্দেশে ২৬ জানুয়ারি আলী হোসেন টুম্পাকে হত্যা করে। এরপর ভারতে টুম্পার মরদেহ উদ্ধার হলে গুজরাট পুলিশ ফোন করে টুম্পার বাবাকে জানায় যে, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা র‌্যাবের কাছে অভিযোগ দেয়। টুম্পা পাচারের ঘটনায় ঢাকার ডেমরা থানায় মামলা হওয়ায় গ্রেফতারদের সেখানে সোপর্দ করা হয়েছে।