ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ডা. কাউসার ‘বড় জঙ্গি নেতা’, বলছে সিটিটিসি

  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মির্জা নূর কাউসারকে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট- সিটিটিসি। এই ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান গতকাল সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তার অধীনে বেশ কিছু জঙ্গি রয়েছে। আমরা আরো বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে চিহ্নিত করেছি, যারা জঙ্গি হিসাবে অত্যান্ত সক্রিয়।”
২৮ বছর বয়সী মির্জা নূর কাউসার কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তার গ্রামের বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার উজানচর গ্রামে।
শহরের খরমপট্টি এলাকায় সমবায় মার্কেটের দোতালায় মেডিক্স কোচিং সেন্টার পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন কাউসার। শনিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে একদল লোক তাকে ডেকে নিয়ে যায় বলে পরিবার ও সহকর্মীদের ভাষ্য। এ বিষয়ে তারা কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় অপহরণের লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। ডা. কাউসারের স্ত্রী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তাদের একটি মেয়ে আছে। শহরের খরমপট্টি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তাদের সঙ্গেই থাকেন কাউসারের বাবা আব্দুল হাকিম। গত রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “কেন আমার ছেলেকে অপহরণ করতে পারে বুঝতে পারছি না। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে ছিল না। আমার জানামতে তার কোনো শত্রুও নেই।”
মেডিক্স কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম জানিয়েছিলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ কয়েকজন লোক এসে ডা. মির্জা নূর কাউসারকে তাদের সাথে যেতে বলে। কয়েক মিনিট পর তাকে নিয়ে তারা নিচে নামে। “তারা ডা. কাউসারকে একটি কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দ্রুত চলে যায়। তারপর থেকে কাউসারের আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।” কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ সেদিন বলেছিলেন, কারা মির্জা নূর কাউসারকে নিয়ে গেছে তা জানতে ওই কোচিং সেন্টার থেকে সিসিটিভি ভিডিও নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। তবে পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আ ন ম নৌশাদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে তার কথা হয়েছে। কাউসারকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করার কথা তাকে জানানো হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

কিশোরগঞ্জের ডা. কাউসার ‘বড় জঙ্গি নেতা’, বলছে সিটিটিসি

আপডেট সময় : ০১:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মির্জা নূর কাউসারকে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট- সিটিটিসি। এই ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান গতকাল সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তার অধীনে বেশ কিছু জঙ্গি রয়েছে। আমরা আরো বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে চিহ্নিত করেছি, যারা জঙ্গি হিসাবে অত্যান্ত সক্রিয়।”
২৮ বছর বয়সী মির্জা নূর কাউসার কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তার গ্রামের বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার উজানচর গ্রামে।
শহরের খরমপট্টি এলাকায় সমবায় মার্কেটের দোতালায় মেডিক্স কোচিং সেন্টার পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন কাউসার। শনিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে একদল লোক তাকে ডেকে নিয়ে যায় বলে পরিবার ও সহকর্মীদের ভাষ্য। এ বিষয়ে তারা কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় অপহরণের লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। ডা. কাউসারের স্ত্রী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তাদের একটি মেয়ে আছে। শহরের খরমপট্টি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তাদের সঙ্গেই থাকেন কাউসারের বাবা আব্দুল হাকিম। গত রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “কেন আমার ছেলেকে অপহরণ করতে পারে বুঝতে পারছি না। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে ছিল না। আমার জানামতে তার কোনো শত্রুও নেই।”
মেডিক্স কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম জানিয়েছিলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ কয়েকজন লোক এসে ডা. মির্জা নূর কাউসারকে তাদের সাথে যেতে বলে। কয়েক মিনিট পর তাকে নিয়ে তারা নিচে নামে। “তারা ডা. কাউসারকে একটি কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দ্রুত চলে যায়। তারপর থেকে কাউসারের আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।” কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ সেদিন বলেছিলেন, কারা মির্জা নূর কাউসারকে নিয়ে গেছে তা জানতে ওই কোচিং সেন্টার থেকে সিসিটিভি ভিডিও নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। তবে পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আ ন ম নৌশাদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে তার কথা হয়েছে। কাউসারকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করার কথা তাকে জানানো হয়েছে।