ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

কিডনি ভালো রাখার ৮ খাবার

  • আপডেট সময় : ০৪:২৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: কিডনিকে সুস্থ রাখা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার যোগ করলে তা ডিটক্সিফাই হয়, প্রদাহ কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রাখে। কিডনির জন্য উপকারী খাবার হাইড্রেট করে, রক্তচাপে ভারসাম্য বজায় রাখে এবং প্রাকৃতিকভাবে বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়া রোধ করে। তাই এমন খাবার সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খেলে কিডনি ভালো থাকবে-
১. লাল বেল পেপার
কম পটাসিয়াম এবং উচ্চ ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ লাল বেল পেপার প্রদাহ কমায়, কিডনির কোষগুলোকে রক্ষা করে এবং সাধারণ কার্যকারিতায় সহায়তা করে। তাই কিডনি-বান্ধব খাবার খুঁজলে তালিকায় রাখতে পারেন এই সবজি।
২. রসুন
প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ রসুন কিডনির চাপ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, সংক্রমণ দূরে রাখে এবং সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এটি কিডনিকে সুস্থ রাখার একটি দুর্দান্ত উপায়।
৩. পেঁয়াজ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ পেঁয়াজ কিডনি পরিষ্কার, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিকভাবে পটাসিয়াম কম থাকে, যা কিডনি-বান্ধব খাদ্য হিসেবে বেশ উপকারী।
৪. বাঁধাকপি
ফাইবার, ফাইটোকেমিক্যাল এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বাঁধাকপি কিডনিকে ডিটক্সিফাই করে, হজমে সহায়তা করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং কিডনি-সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি কমায়। সেইসঙ্গে এটি সার্বিক সুস্থতায় সাহায্য করে।
৫. ফুলকপি
ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফুলকপি কিডনির কার্যকারিতায় সহায়তা করে। এটি টক্সিন জমা কমায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়। সেইসঙ্গে পটাসিয়াম এবং ফসফরাসও কমায় যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
৬. ব্লুবেরি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ ব্লুবেরি কিডনিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং মূত্রনালীর সুস্থতায় সহায়তা করে। এটি কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৭. আপেল
ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ আপেল রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং কিডনির ডিটক্সিফিকেশন বজায় রাখে, যা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি-সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি হ্রাস করে।
৮. চর্বিযুক্ত মাছ
স্যামনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এ ধরনের মাছ রক্তচাপ কমায়, প্রদাহ কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখে। নিয়মিত চর্বিযুক্ত মাছ খেলে হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনাকে কোনোদিনই বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না: মির্জা ফখরুল

কিডনি ভালো রাখার ৮ খাবার

আপডেট সময় : ০৪:২৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: কিডনিকে সুস্থ রাখা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার যোগ করলে তা ডিটক্সিফাই হয়, প্রদাহ কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রাখে। কিডনির জন্য উপকারী খাবার হাইড্রেট করে, রক্তচাপে ভারসাম্য বজায় রাখে এবং প্রাকৃতিকভাবে বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়া রোধ করে। তাই এমন খাবার সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খেলে কিডনি ভালো থাকবে-
১. লাল বেল পেপার
কম পটাসিয়াম এবং উচ্চ ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ লাল বেল পেপার প্রদাহ কমায়, কিডনির কোষগুলোকে রক্ষা করে এবং সাধারণ কার্যকারিতায় সহায়তা করে। তাই কিডনি-বান্ধব খাবার খুঁজলে তালিকায় রাখতে পারেন এই সবজি।
২. রসুন
প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ রসুন কিডনির চাপ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, সংক্রমণ দূরে রাখে এবং সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এটি কিডনিকে সুস্থ রাখার একটি দুর্দান্ত উপায়।
৩. পেঁয়াজ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ পেঁয়াজ কিডনি পরিষ্কার, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিকভাবে পটাসিয়াম কম থাকে, যা কিডনি-বান্ধব খাদ্য হিসেবে বেশ উপকারী।
৪. বাঁধাকপি
ফাইবার, ফাইটোকেমিক্যাল এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বাঁধাকপি কিডনিকে ডিটক্সিফাই করে, হজমে সহায়তা করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং কিডনি-সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি কমায়। সেইসঙ্গে এটি সার্বিক সুস্থতায় সাহায্য করে।
৫. ফুলকপি
ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফুলকপি কিডনির কার্যকারিতায় সহায়তা করে। এটি টক্সিন জমা কমায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়। সেইসঙ্গে পটাসিয়াম এবং ফসফরাসও কমায় যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
৬. ব্লুবেরি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ ব্লুবেরি কিডনিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং মূত্রনালীর সুস্থতায় সহায়তা করে। এটি কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৭. আপেল
ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ আপেল রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং কিডনির ডিটক্সিফিকেশন বজায় রাখে, যা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি-সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি হ্রাস করে।
৮. চর্বিযুক্ত মাছ
স্যামনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এ ধরনের মাছ রক্তচাপ কমায়, প্রদাহ কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখে। নিয়মিত চর্বিযুক্ত মাছ খেলে হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করে।