আমরা যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খাই, নিয়মিত ব্যায়াম করি এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাই তাহলে আমাদের মেজাজের ওপর এর প্রভাব স্পষ্ট। তাই নতুন বছরে মেজাজ উন্নত করতে খুব বেশি চিন্তিত না হয়ে বরং কিছু খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই তা সম্ভব।
তা হলোÑ
পালংশাক: আমরা সবাই জানি পালংশাক পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি মেজাজ উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে? সবুজ শাকসবজিতে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য উপাদান রয়েছেÑ যা একসঙ্গে শরীরে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ডোজ হিসাবে কাজ করে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফার্মান্টেড ফুড: আমাদের অন্ত্র এবং আমাদের মনের মধ্যে একটি অন্তর্নিহিত সংযোগ রয়েছে। আসলে অন্ত্রকে দ্বিতীয় মনও বলা হয়ে থাকে। মেজাজ উন্নত করতে ডায়েটে দই এবং কিমচির মতো খাবার যোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। দই, কিউই, কিমচি বা কাঞ্জির মতো খাবারের আইটেমগুলো হলো প্রোবায়োটিক যা অন্ত্রে বিস্ময়করভাবে কাজ করে এবং শেষ পর্যন্ত মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে।
প্রোটিন: প্রোটিন শরীরের একটি বিল্ডিং বøক এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রোটিনে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করতে পারে, পুষ্টিবিদদের মতে যা মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: তুঁত, বøুবেরি এবং স্ট্রবেরির মতো বেরিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও মেজাজ উন্নতের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। মেজাজের পরিবর্তন মোকাবিলা করতে এবং সুখী হরমোন বাড়াতে এ ধরনের ফল নিয়মিত খেতে হবে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবারও রাখতে হবে তালিকায়।