ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ ভাগাভাগি প্রোটিয়াদের

  • আপডেট সময় : ১১:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : কি অসাধারণভাবেই না ঘুরে দাঁড়ালো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম টেস্টে যেখানে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের লজ্জায় পড়তে হয়েছিল, সেখানে দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোই নয় শুধু, অসাধারণভাবে টেস্ট জিতে নিয়ে সিরিজ ড্র করলো প্রোটিয়ারা। প্রথতম টেস্টে এক ইনিংস ও ২৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে প্রথমে ব্যাট করেও জয় পেলো প্রোটিয়ারা। এটা রীতিমত অবিশ্বাস্য। কারণ, এই প্রথম কোনো দল এই মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ম্যাচ জিততে পেরেছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সামনে ৪২৬ রানের কঠিন লক্ষ্য বেধে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিউইরা ব্যাট করতে নেমে কাগিসো রাবাদা, মার্কো জানসেনের গতি এবং কেশভ মাহারাজের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা করতে সমর্থ হয় ২২৭ রান। এরপরই হয়ে যায় অলআউট। ফলে ১৯৮ রানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারলো ডিন এলগাররা। একই সঙ্গে ঘরের মাঠে দর্পচূর্ণ হলো টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। নিজেদের মাটিতে পরপর দু’টি টেস্ট সিরিজ জিততে ব্যর্থ হলো তারা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করেছিল কিউইরা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা পিছিয়ে পড়েও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায়। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২৬ রানের। চতুর্থ দিনের শেষে নিউজিল্যান্ড তাদের শেষ ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৯৪ রান তোলে। ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন ডেভন কনওয়ে। ১ রানে ছিলেন টম ব্লান্ডেল। সেখান থেকেই শুরু করেন কিউইরা। শেষ পর্যন্ত তারা ২২৭ রানে। কনওয়ে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। তিনি আউট হন ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮৮ বলে ৯২ রান করে। ব্লান্ডেল করেছিলেন ৪৪ রান। এছাড়া শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টম ব্লান্ডেল, ড্যারিল মিচেল ২৪, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ১৮, কাইল জেমিসন ১২, টিম সাউদি ১৭ ও নেইল ওয়াগনার অপরাজিত ১০ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসে দখল করেন ৩টি উইকেট। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মারকো জানসেন ও কেশব মহারাজও। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৫৩ রান করে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন রাবাদা। দুই ম্যাচে ৫৮ রান ও ১৪টি উইকেট সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ম্যাট হেনরি।
উল্লেখ্য, ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৬৪ রান তোলে। সারেল এরউই ১০৮ রান করেন। ৪টি উইকেট নেন ওয়াগনার। নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৯৩ রানে। গ্র্যান্ডহোম করেন ১২০ রান। রাবাদা ৫টি ও জানসেন ৪টি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে ৩৫৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। কাইল ভেরেইন ১৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ২২৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ ভাগাভাগি প্রোটিয়াদের

আপডেট সময় : ১১:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : কি অসাধারণভাবেই না ঘুরে দাঁড়ালো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম টেস্টে যেখানে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের লজ্জায় পড়তে হয়েছিল, সেখানে দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোই নয় শুধু, অসাধারণভাবে টেস্ট জিতে নিয়ে সিরিজ ড্র করলো প্রোটিয়ারা। প্রথতম টেস্টে এক ইনিংস ও ২৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে প্রথমে ব্যাট করেও জয় পেলো প্রোটিয়ারা। এটা রীতিমত অবিশ্বাস্য। কারণ, এই প্রথম কোনো দল এই মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ম্যাচ জিততে পেরেছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সামনে ৪২৬ রানের কঠিন লক্ষ্য বেধে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিউইরা ব্যাট করতে নেমে কাগিসো রাবাদা, মার্কো জানসেনের গতি এবং কেশভ মাহারাজের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা করতে সমর্থ হয় ২২৭ রান। এরপরই হয়ে যায় অলআউট। ফলে ১৯৮ রানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারলো ডিন এলগাররা। একই সঙ্গে ঘরের মাঠে দর্পচূর্ণ হলো টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। নিজেদের মাটিতে পরপর দু’টি টেস্ট সিরিজ জিততে ব্যর্থ হলো তারা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করেছিল কিউইরা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা পিছিয়ে পড়েও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায়। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২৬ রানের। চতুর্থ দিনের শেষে নিউজিল্যান্ড তাদের শেষ ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৯৪ রান তোলে। ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন ডেভন কনওয়ে। ১ রানে ছিলেন টম ব্লান্ডেল। সেখান থেকেই শুরু করেন কিউইরা। শেষ পর্যন্ত তারা ২২৭ রানে। কনওয়ে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। তিনি আউট হন ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮৮ বলে ৯২ রান করে। ব্লান্ডেল করেছিলেন ৪৪ রান। এছাড়া শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টম ব্লান্ডেল, ড্যারিল মিচেল ২৪, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ১৮, কাইল জেমিসন ১২, টিম সাউদি ১৭ ও নেইল ওয়াগনার অপরাজিত ১০ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসে দখল করেন ৩টি উইকেট। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মারকো জানসেন ও কেশব মহারাজও। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৫৩ রান করে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন রাবাদা। দুই ম্যাচে ৫৮ রান ও ১৪টি উইকেট সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ম্যাট হেনরি।
উল্লেখ্য, ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৬৪ রান তোলে। সারেল এরউই ১০৮ রান করেন। ৪টি উইকেট নেন ওয়াগনার। নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৯৩ রানে। গ্র্যান্ডহোম করেন ১২০ রান। রাবাদা ৫টি ও জানসেন ৪টি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে ৩৫৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। কাইল ভেরেইন ১৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ২২৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।