ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

কিইভ অঞ্চল পুরোপুরি রুশ দখলমুক্ত, দাবি ইউক্রেইনের

  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ বাহিনী পিছু হটার পর ইউক্রেইনের সৈন্যরা রাজধানী কিইভের আশপাশের পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, রাজধানী কিইভ এবং এর আশপাশের শহর ও গ্রামগুলোর দখল ফিরে পেতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে আসছিল ইউক্রেইনীয় সেনারা।
শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে সম্প্রতি কিইভ থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাশিয়া। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা কার্যত থমকে গিয়েছিল।
ইউক্রেইনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার শনিবার রাতে এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “কিইভ এখন পুরোপুরি ইউক্রেইনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।”
রুশ বাহিনী বুচা ছেড়ে যাওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ছবি রয়টার্সরুশ বাহিনী বুচা ছেড়ে যাওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ছবি রয়টার্সগত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর কয়েক দিনের মধ্যেই রাজধানী কিইভের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল।
কিইভ থেকে সামান্য উত্তর-পশ্চিমের শহর ইরপিনে এই পুরো সময়ে অন্তত ২০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে ইউক্রেইনের কর্মকর্তাদের ভাষ্য।
ওই শহরের ৭০ হাজার বাসিন্দার অধিকাংশই গত এক মাসে রুশ বাহিনীর গোলা থেকে বাঁচতে পালিয়ে গেছেন।
আগ্রাসন শুরুর দুই বা তিন দিনের মধ্যে কিইভের কাছে বুচা শহরে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। এ শহরটিও ফের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইউক্রেইনীয় বাহিনী।
গত এক মাসের বেশি সময় ওই শহরের পরিস্থিতি জানার কোনো উপায় ছিল না। এখন শহরের রাস্তায় দেখা যাচ্ছে ধ্বংস হওয়া ট্যাংক আর লাশের সারি।
বিবিসি জানিয়েছে, শহরের কেবল একটি সড়কেই অন্তত ২০টি লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। শহরের মেয়র বলেছেন, পুরো শহরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লাশ। অন্তত ২৮০ জনের লাশ জড়ে করে গণকবর দেওয়া হয়েছে।
হস্টোমেল বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ার গোলায় ধ্বংস হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবহন বিমান আন্তোনভ আন-২২৫ ‘ম্রিয়া’। ছবি রয়টার্সহস্টোমেল বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ার গোলায় ধ্বংস হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবহন বিমান আন্তোনভ আন-২২৫ ‘ম্রিয়া’। ছবি রয়টার্সকিইভের কাছের আরেক শহর হস্টোমেলে যুদ্ধের একেবারে শুরুর দিকেই তুমুল লড়াই শুরু হয়েছিল একটি বিমানঘাঁটির দখল নেওয়ার জন্য। সেখানেই রাখা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবহন বিমান আন্তোনভ আন-২২৫ ‘ম্রিয়া’। রাশিয়ার গোলায় বিমানটি ধ্বংস হয়ে যায়।
বিবিসি জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাদের একজন প্রতিবেদক ওই বিমানঘাঁটি ঘুরে দেখেছে। সেখানে হ্যাঙ্গারে এখনও আন্তোনভ উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেস পড়ে আছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কিইভ অঞ্চল পুরোপুরি রুশ দখলমুক্ত, দাবি ইউক্রেইনের

আপডেট সময় : ১০:৩৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ বাহিনী পিছু হটার পর ইউক্রেইনের সৈন্যরা রাজধানী কিইভের আশপাশের পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, রাজধানী কিইভ এবং এর আশপাশের শহর ও গ্রামগুলোর দখল ফিরে পেতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে আসছিল ইউক্রেইনীয় সেনারা।
শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে সম্প্রতি কিইভ থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাশিয়া। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা কার্যত থমকে গিয়েছিল।
ইউক্রেইনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার শনিবার রাতে এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “কিইভ এখন পুরোপুরি ইউক্রেইনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।”
রুশ বাহিনী বুচা ছেড়ে যাওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ছবি রয়টার্সরুশ বাহিনী বুচা ছেড়ে যাওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ছবি রয়টার্সগত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর কয়েক দিনের মধ্যেই রাজধানী কিইভের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল।
কিইভ থেকে সামান্য উত্তর-পশ্চিমের শহর ইরপিনে এই পুরো সময়ে অন্তত ২০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে ইউক্রেইনের কর্মকর্তাদের ভাষ্য।
ওই শহরের ৭০ হাজার বাসিন্দার অধিকাংশই গত এক মাসে রুশ বাহিনীর গোলা থেকে বাঁচতে পালিয়ে গেছেন।
আগ্রাসন শুরুর দুই বা তিন দিনের মধ্যে কিইভের কাছে বুচা শহরে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। এ শহরটিও ফের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইউক্রেইনীয় বাহিনী।
গত এক মাসের বেশি সময় ওই শহরের পরিস্থিতি জানার কোনো উপায় ছিল না। এখন শহরের রাস্তায় দেখা যাচ্ছে ধ্বংস হওয়া ট্যাংক আর লাশের সারি।
বিবিসি জানিয়েছে, শহরের কেবল একটি সড়কেই অন্তত ২০টি লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। শহরের মেয়র বলেছেন, পুরো শহরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লাশ। অন্তত ২৮০ জনের লাশ জড়ে করে গণকবর দেওয়া হয়েছে।
হস্টোমেল বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ার গোলায় ধ্বংস হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবহন বিমান আন্তোনভ আন-২২৫ ‘ম্রিয়া’। ছবি রয়টার্সহস্টোমেল বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ার গোলায় ধ্বংস হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবহন বিমান আন্তোনভ আন-২২৫ ‘ম্রিয়া’। ছবি রয়টার্সকিইভের কাছের আরেক শহর হস্টোমেলে যুদ্ধের একেবারে শুরুর দিকেই তুমুল লড়াই শুরু হয়েছিল একটি বিমানঘাঁটির দখল নেওয়ার জন্য। সেখানেই রাখা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবহন বিমান আন্তোনভ আন-২২৫ ‘ম্রিয়া’। রাশিয়ার গোলায় বিমানটি ধ্বংস হয়ে যায়।
বিবিসি জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাদের একজন প্রতিবেদক ওই বিমানঘাঁটি ঘুরে দেখেছে। সেখানে হ্যাঙ্গারে এখনও আন্তোনভ উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেস পড়ে আছে।