প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে পেহেলগাম হত্যাকাণ্ড ঘটানোর অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে, সেই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে (টিআরএফ)’ ‘বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’ বলে মেনে নিল যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) [ভারতীয় সময় শুক্রবার (১৮ জুলাই) ভোরে] যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টিআরএফকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও ‘বিশেষ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ ও পেহেগামের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের আশ্বাসকে সুনিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নেতৃত্ব ও উদ্যোগ ভারত স্বীকার করে। এ সিদ্ধান্ত খুবই সময়োচিত। এর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতারই প্রতিফলন ঘটেছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর–ই–তৈয়বারই ছায়া সংগঠন এই টিআরএফ। গত ২২ এপ্রিল জম্মু–কাম্মীরের পেহেলগামের নৃশংস হত্যাকাণ্ড তাদেরই কাজ। দুবার তারা ওই অপকর্মের দায় স্বীকার করেছে। টিআরএফ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত। সন্ত্রাসবাদ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতি ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। লস্কর-ই-তৈয়বা যুক্তরাষ্ট্রে অনেক দিন আগে থেকেই ওই দুই তালিকায় নথিবদ্ধ। এবার টিআরএফকেও তারা ওই দুই তালিকায় নিয় এল।