ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি

  • আপডেট সময় : ০৯:০৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : কাশ্মীরের বিদ্যমান সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা চতুর্থ রাতে গোলাগুলি বিনিময় হয়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারত সোমবার জানিয়েছে, ওই সীমান্তে পাকিস্তানি সেনারা ‘বিনা উস্কানিতে’ গুলিবর্ষণ করার পর তারা পাল্টা জবাব দিয়েছে। কাশ্মীরে ২২ এপ্রিলের ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এই হামলার তিন সন্দেহভাজনের মধ্যে দুই জনকে পাকিস্তানি হিসেবে শনাক্ত করেছে ভারত। তবে এ ঘটনায় তাদের কোনো ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করে পাকিস্তান একটি নিরপক্ষে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। কাশ্মীরের এই হামলা ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও শোকের কারণ হয়েছে।

অনেকেই এ ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তান কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদে তহবিল যোগাচ্ছে ও উৎসাহিত করছে বলে অভিযোগ ভারতের। উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজের ভূখ-ের অংশ বলে দাবি করে আসছে এবং এ নিয়ে অন্তত তিনবার তারা যুদ্ধে জড়িয়েছে। কাশ্মীরের হামলার জেরে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে, অপরদিকে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রোববার মধ্যরাতের দিকে কাশ্মীরের ভারতীয় ও পাকিস্তানি এলাকাকে পৃথক করা বিদ্যমান ৭৪০ কিলোমিটার সীমান্তের অপর পাশের পাকিস্তানি সেনা চৌকিগুলো থেকে ‘বিনা উস্কানিকে’ হালকা অস্ত্রের গুলিবর্ষণ করা হলে তারা জবাব দেয়।

কিন্তু ভারতীয় বাহিনী আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি এবং গোলাগুলিতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে খবর হয়নি, লিখেছে রয়টার্স। এ ঘটনার বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সাড়া দেয়নি। কাশ্মীর হামলার পর থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি সামরিক অনুশীলন শুরু করেছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ অনুশীলন বলে ভারতের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সোমবার স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলার পর থেকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রায় এক হাজার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০০ জনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পাশাপাশি হামলাকারীদের ধরতে কাশ্মীরের বনগুলোতেও অভিযান চালাচ্ছে তারা।

তল্লাশি চলাকালে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে শনাক্ত নয়জনের বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের এসব পদক্ষেপে নিরীহ লোকজন যেন ক্ষতির শিকার না হন তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা। কাশ্মীর রেজিট্যান্স, যারা দ্য রেজিট্যান্স ফ্রন্ট নামেও পরিচিত, সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে জানিয়েছে যে তারা গত সপ্তাহের কাশ্মীর হামলার সঙ্গে জড়িত নয় বলে ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে’ দাবি করছে। এর আগে সামাজি মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তারা এ হামলার দায় স্বীকার করেছিল। কাশ্মীর রেজিট্যান্স বলেছে, হামলার দায় স্বীকার করে তাদের নামে দেওয়া ওই বিবৃতিটি ‘সাইবার অনুপ্রবেশের’ মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে।

দিল্লিভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাংক এই গোষ্ঠীটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার দলছুট একটি অংশ বলে মনে করে। এদিকে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ পর্যটকের প্রাণহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই আজ বুধবার ভারতের মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি (সিসিএস)-সহ চার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর আক্রমণের পর সিসিএস-এর বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। তারপর আবার সিসিএস-এর বৈঠক হবে।

সিসিএস হলো ভারতের সুরক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংস্থা। শুধু সিসিএস নয়, রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিপিএ), অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকও বুধবার সকালে হওয়ার কথা আছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য অবিলম্বে সংসদের জরুরি অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী। পহেলগামের ঘটনার পর সিসিএসের বৈঠক হলেও মন্ত্রিসভার বৈঠক এই প্রথমবার হবে। পহেলগামের পর থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাবেক সেনা ও কূটনীতিকরা বারবার বলছেন, ভারত আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কংগ্রেস সাংসদ ও সাবেক কুটনীতিক শশী থারুর ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘উরির পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে। পুলওয়ামার পর বালাকোটে বিমান হামলা হয়েছে।

আমার মনে হয়, আমরা এবার তার থেকেও বেশি কিছু দেখব। এটা স্পষ্ট যে আমাদের সামনে একগুচ্ছ বিকল্প আছে, কূটনৈতিক, আর্থিক, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, গোপন ও প্রকাশ্য অ্যাকশন। কিছু প্রকাশ্য সামরিক প্রতিক্রিয়া এড়ানো যাবে না বলেই মনে হয়। পুরো দেশ এটাই চাইছে ও দাবি করছে।’ ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা বলেছেন, ‘পহেলগামের ঘটনার পর সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই পারে। গোটা দেশ সেই প্রত্যাশা করছে। তবে কবে হবে, কীভাবে সেটা সরকার ঠিক করবে।’ সূত্র: পিটিআই, ডয়চে ভেলে

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি

আপডেট সময় : ০৯:০৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : কাশ্মীরের বিদ্যমান সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা চতুর্থ রাতে গোলাগুলি বিনিময় হয়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারত সোমবার জানিয়েছে, ওই সীমান্তে পাকিস্তানি সেনারা ‘বিনা উস্কানিতে’ গুলিবর্ষণ করার পর তারা পাল্টা জবাব দিয়েছে। কাশ্মীরে ২২ এপ্রিলের ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এই হামলার তিন সন্দেহভাজনের মধ্যে দুই জনকে পাকিস্তানি হিসেবে শনাক্ত করেছে ভারত। তবে এ ঘটনায় তাদের কোনো ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করে পাকিস্তান একটি নিরপক্ষে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। কাশ্মীরের এই হামলা ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও শোকের কারণ হয়েছে।

অনেকেই এ ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তান কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদে তহবিল যোগাচ্ছে ও উৎসাহিত করছে বলে অভিযোগ ভারতের। উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজের ভূখ-ের অংশ বলে দাবি করে আসছে এবং এ নিয়ে অন্তত তিনবার তারা যুদ্ধে জড়িয়েছে। কাশ্মীরের হামলার জেরে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে, অপরদিকে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রোববার মধ্যরাতের দিকে কাশ্মীরের ভারতীয় ও পাকিস্তানি এলাকাকে পৃথক করা বিদ্যমান ৭৪০ কিলোমিটার সীমান্তের অপর পাশের পাকিস্তানি সেনা চৌকিগুলো থেকে ‘বিনা উস্কানিকে’ হালকা অস্ত্রের গুলিবর্ষণ করা হলে তারা জবাব দেয়।

কিন্তু ভারতীয় বাহিনী আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি এবং গোলাগুলিতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে খবর হয়নি, লিখেছে রয়টার্স। এ ঘটনার বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সাড়া দেয়নি। কাশ্মীর হামলার পর থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি সামরিক অনুশীলন শুরু করেছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ অনুশীলন বলে ভারতের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সোমবার স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলার পর থেকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রায় এক হাজার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০০ জনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পাশাপাশি হামলাকারীদের ধরতে কাশ্মীরের বনগুলোতেও অভিযান চালাচ্ছে তারা।

তল্লাশি চলাকালে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে শনাক্ত নয়জনের বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের এসব পদক্ষেপে নিরীহ লোকজন যেন ক্ষতির শিকার না হন তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা। কাশ্মীর রেজিট্যান্স, যারা দ্য রেজিট্যান্স ফ্রন্ট নামেও পরিচিত, সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে জানিয়েছে যে তারা গত সপ্তাহের কাশ্মীর হামলার সঙ্গে জড়িত নয় বলে ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে’ দাবি করছে। এর আগে সামাজি মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তারা এ হামলার দায় স্বীকার করেছিল। কাশ্মীর রেজিট্যান্স বলেছে, হামলার দায় স্বীকার করে তাদের নামে দেওয়া ওই বিবৃতিটি ‘সাইবার অনুপ্রবেশের’ মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে।

দিল্লিভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাংক এই গোষ্ঠীটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার দলছুট একটি অংশ বলে মনে করে। এদিকে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ পর্যটকের প্রাণহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই আজ বুধবার ভারতের মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি (সিসিএস)-সহ চার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর আক্রমণের পর সিসিএস-এর বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। তারপর আবার সিসিএস-এর বৈঠক হবে।

সিসিএস হলো ভারতের সুরক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংস্থা। শুধু সিসিএস নয়, রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিপিএ), অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকও বুধবার সকালে হওয়ার কথা আছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য অবিলম্বে সংসদের জরুরি অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী। পহেলগামের ঘটনার পর সিসিএসের বৈঠক হলেও মন্ত্রিসভার বৈঠক এই প্রথমবার হবে। পহেলগামের পর থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাবেক সেনা ও কূটনীতিকরা বারবার বলছেন, ভারত আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কংগ্রেস সাংসদ ও সাবেক কুটনীতিক শশী থারুর ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘উরির পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে। পুলওয়ামার পর বালাকোটে বিমান হামলা হয়েছে।

আমার মনে হয়, আমরা এবার তার থেকেও বেশি কিছু দেখব। এটা স্পষ্ট যে আমাদের সামনে একগুচ্ছ বিকল্প আছে, কূটনৈতিক, আর্থিক, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, গোপন ও প্রকাশ্য অ্যাকশন। কিছু প্রকাশ্য সামরিক প্রতিক্রিয়া এড়ানো যাবে না বলেই মনে হয়। পুরো দেশ এটাই চাইছে ও দাবি করছে।’ ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা বলেছেন, ‘পহেলগামের ঘটনার পর সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই পারে। গোটা দেশ সেই প্রত্যাশা করছে। তবে কবে হবে, কীভাবে সেটা সরকার ঠিক করবে।’ সূত্র: পিটিআই, ডয়চে ভেলে