আন্তার্জাতিক ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ছাসোটি গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে হড়কা বানে মৃত্যু বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। এদিকে, এ ঘটনায় প্রায় ৫০০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা বা মাটিচাপা পড়া মানুষদের বের করে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, এখনো অন্তত ৫০০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। কিছু কর্মকর্তার ধারণা, এই সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে, মর্মান্তিক এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দেন।
ওমর আবদুল্লাহ বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস আগেই জানা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তার ভাষায়, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতো, তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে ও এজন্য আমাদের জবাবদিহি থাকতে হবে।
এর আগে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দুর্ঘটনার বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেছেন। এক্সে দেওয়া পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আমার সরকার ও এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা কেন্দ্র সরকারের সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।
উদ্ধারকাজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নিচ্ছেন। তাছাড়া রাজ্য প্রশাসন গুলাবগড় পাদ্দারে (ছাসোটি গ্রাম থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে) দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও তীর্থযাত্রীদের সহায়তার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম ও হেল্প ডেস্ক চালু করেছে।
সূত্র: এনডিটিভি
ওআ/