ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ঢাকায় ছুটছেন নেতাকর্মীরা, ব্যানার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে রাজধানী

তারেক রহমান দেশে আসছেন কাল

  • আপডেট সময় : ০১:০২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

বিশেষ সংবাদদাতা: যুক্তরাজ্যের লন্ডনে দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাসজীবন কাটিয়ে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে রাজধানী।

বর্তমানে বিএনপির উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা তাদের শীর্ষ নেতাকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে ঢাকাজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। নেতাকর্মীরা নগরীর প্রধান সড়ক, অলি-গলি ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ঝুলিয়েছেন ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও বিলবোর্ড। এতে বড় অক্ষরে লেখা- ‘লিডার আসছে’, ‘হে বিজয়ী বীর, তোমাকে স্বাগত’ ইত্যাদি স্লোগান।

আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সংবর্ধনা দিতে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় বিশাল মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছে দলটি।

গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্বরোডে পূর্বাচলমুখী ৩০০ ফিট সড়কের একটি অংশজুড়ে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। পরদিন বিএনপি নেতারা বলেন, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছে ৩০০ ফিট এলাকায় আসবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেখানে আয়োজিত মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেবেন।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টন, মৎস্য ভবন মোড়, কাকরাইল, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, মহাখালী, গুলশান, বাড্ডাসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে লাগানো এসব ব্যানার-বিলবোর্ডে বড় আকারে শোভা পেয়েছে তারেক রহমানের ছবি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবেই নগরজুড়ে এই প্রচারমূলক কার্যক্রম চলছে।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন পর দলের শীর্ষ নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন তাদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। এই প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দলীয় রাজনীতিতে নতুন গতি আসবে।
প্রসঙ্গত, তারেক রহমান তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে কারাগার থেকে বেরিয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। ২০১২ সালে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন এবং এক বছরের মধ্যে সেটি গৃহীত হয়। তারপর আর দেশে ফেরা হয়নি তার। তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান প্রয়োজনে কয়েকবার দেশে আসতে পারলেও তিনি পারেননি।
অবশেষে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সব প্রশ্নের অবসান ঘটতে যাচ্ছে ২৫ ডিসেম্বর। দেশে ফিরছেন তারেক রহমান।

ঢাকায় ছুটছেন নেতাকর্মীরা: দীর্ঘ দেড়যুগ পর দেশে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য ঢাকার ৩০০ ফিটে গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে দলটি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৬৩ জেলা থেকেই ঢাকায় রওয়ানা দিচ্ছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বিভিন্ন পরিবহনে করে ঢাকায় ছুটছেন তারা। দলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ট্রেনও রিজার্ভ করা হয়েছে। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর-

খুলনা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা বিএনপি। মহানগর ও জেলা শাখার পক্ষ থেকে প্রায় ১২-১৪ হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবেন। খুলনা মহানগর থেকে শতাধিক এবং জেলা থেকে ৫০টির বেশি বাসে করে তারা রওয়ানা দেবেন। একটি বিশেষ ট্রেন চেয়ে রেল সচিবের কাছে আবেদন করেছেন দলটির নেতারা।

মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলা থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন জানান, জেলার তিনটি উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ঢাকায় যাবেন। পাশাপাশি অনেক নেতাকর্মী নিজ নিজ সুবিধাজনক সময় ও উপায়ে এরইমধ্যে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। অনেকে সেখানে পৌঁছেছেন।

নওগাঁ: নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢাকায় যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০০টি বাস ভাড়া করেছে নওগাঁ জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, দেশনায়ককে বরণ করে নিতে জেলা বিএনপি অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে। নেতাকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০০টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। প্রতিটি বাসে ৬০-৬৫ জন করে যেতে পারবেন। এখন পর্যন্ত আমাদের ধারণা, প্রায় সাত হাজার নেতা কর্মী নওগাঁ থেকে ঢাকায় যাবে। তবে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

সাতক্ষীরা: ঢাকায় আয়োজিত প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সাতক্ষীরা জেলা থেকে ১০-১২ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন বলে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরিবহন সংকটের কারণে অনেক নেতাকর্মী ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কেউ আগেভাগেই ঢাকায় পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনের বাসা কিংবা হোটেলে অবস্থান করছেন। সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, ‘সদর আসন থেকে ৩০টি বাস এবং ৩০টি মাইক্রোবাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি আসনের মনোনীত প্রার্থীকে আলাদাভাবে ২০-৩০টি গাড়ি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে শতাধিক যানবাহন ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হবে।’

বাগেরহাট: জেলার ৯টি উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ উপলক্ষে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ভাড়া করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, বাগেরহাট থেকে চারটি ও কচুয়া থেকে ছয়টি বাসসহ প্রতিটি উপজেলা থেকে বিভিন্ন পরিবহন ভাড়া করা হয়েছে।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা থেকে বিএনপি-অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাত উপজেলার ৮১টি ইউনিয়ন এবং চারটি পৌরসভার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সবগুলো ইউনিটের নেতাকর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। পাঁচ শতাধিক পরিবহন, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ভাড়া করা হয়েছে। অনেকে বিভিন্নভাবে গতকাল থেকে ব্যক্তিগতভাবে ও ট্রেনে করে ঢাকায় যাচ্ছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জের দুই উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ৩০০ গাড়িবহরে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হবেন বলে জানানো হয়েছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের জেলা বিএনপির উদ্যোগে শত শত গাড়ি যাবে। তবে গাড়ির সংখ্যা এখনো বলতে পারছি না। আমরা আজ প্রতিটি ইউনিট নিয়ে আলোচনায় বসবো। মূলত আলাদা আলাদা প্রার্থীরা নিজ আসনের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হবেন।’

নেত্রকোনা: ঢাকায় নেতাকে স্বাগত জানাতে নেত্রকোনা বিএনপির ৫০ হাজার নেতাকর্মী প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। ওই দিনে আমাদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে। নেতাকে স্বাগত জানাতে বিএনপির পক্ষ থেকেই প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এজন্য বাস, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাড়া নেওয়া হয়েছে।’

রাজশাহী: রাজশাহী থেকে ৩৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকায় যাবেন বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ট্রেন, বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় যাবেন তারা। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, রাজশাহী-৬ আসন থেকে ৪-৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। সবচেয়ে বেশি এই আসন থেকে যাবেন। এছাড়া রাজশাহীর সব উপজেলা থেকে সবমিলিয়ে ২২-২৫ হাজার নেতাকর্মী যাবেন।

রংপুর: রংপুর থেকে অন্তত ৫০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জানান, রংপুর থেকে ৫০ হাজার মানুষ ঢাকা যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) অনেকেই রাজধানীতে পৌঁছে গেছেন। বাকিরা বুধবার রিজার্ভ গাড়িসহ বিভিন্নভাবে ঢাকা পোঁছে যাবেন।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সড়ক ও নদীপথে তারা ঢাকা যাবেন। এরইমধ্যে অনেকে পৌঁছে গেছেন। বাকিরা বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতের মধ্যে পৌঁছে যাবেন। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান জানান, তারেক রহমানকে দেখতে লক্ষ্মীপুর থেকে বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দলের পক্ষ থেকে শতাধিক বাস দেওয়া হয়েছে। তবে বেশিরভাগই ব্যক্তিগত উদ্যোগ-খরচে ঢাকায় যাচ্ছেন।

প্রস্তুত দৌলতদিয়া ঘাট: আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যানবাহনের বাড়তি চাপ সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর বা তার আগে ও পরে আমরা আশা করছি দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন পারাপারে কোনো সমস্যা হবে না। বহরে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি থাকলেও বর্তমানে যানবাহনের চাপ কম থাকায় ১০টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ বিবেচনায় বহরে থাকা সবগুলো ফেরি চালানোর প্রস্তুতিও রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে তিনটি ঘাট সচল রয়েছে। ফলে আশা করছি যানবাহনের বাড়তি চাপ হলেও কোনো সমস্যা হবে না।

এদিকে ফেরি ঘাটের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটেও বাড়তি চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট ম্যানেজার নূরুল আনোয়ার মিলন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নিয়মিত ১৬ থেকে ১৭টি লঞ্চ চলাচল করছে এবং সবগুলো লঞ্চের ফিটনেস রয়েছে। বর্তমানে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। দিনে এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ যাত্রী পারাপার হয়। তবে দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী পারাপারের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। ফলে ২৫ ডিসেম্বর যাত্রীর চাপ বাড়লেও কোনো সমস্যা হবে না। অপরদিকে তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর বা তার আগে ও পরে রাজবাড়ীসহ দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যানবাহনে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকামুখী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সানা/ওআ/আপ্র/২৪/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় ছুটছেন নেতাকর্মীরা, ব্যানার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে রাজধানী

তারেক রহমান দেশে আসছেন কাল

আপডেট সময় : ০১:০২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশেষ সংবাদদাতা: যুক্তরাজ্যের লন্ডনে দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাসজীবন কাটিয়ে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে রাজধানী।

বর্তমানে বিএনপির উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা তাদের শীর্ষ নেতাকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে ঢাকাজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। নেতাকর্মীরা নগরীর প্রধান সড়ক, অলি-গলি ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ঝুলিয়েছেন ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও বিলবোর্ড। এতে বড় অক্ষরে লেখা- ‘লিডার আসছে’, ‘হে বিজয়ী বীর, তোমাকে স্বাগত’ ইত্যাদি স্লোগান।

আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সংবর্ধনা দিতে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় বিশাল মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছে দলটি।

গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্বরোডে পূর্বাচলমুখী ৩০০ ফিট সড়কের একটি অংশজুড়ে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। পরদিন বিএনপি নেতারা বলেন, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছে ৩০০ ফিট এলাকায় আসবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেখানে আয়োজিত মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেবেন।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টন, মৎস্য ভবন মোড়, কাকরাইল, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, মহাখালী, গুলশান, বাড্ডাসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে লাগানো এসব ব্যানার-বিলবোর্ডে বড় আকারে শোভা পেয়েছে তারেক রহমানের ছবি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবেই নগরজুড়ে এই প্রচারমূলক কার্যক্রম চলছে।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন পর দলের শীর্ষ নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন তাদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। এই প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দলীয় রাজনীতিতে নতুন গতি আসবে।
প্রসঙ্গত, তারেক রহমান তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে কারাগার থেকে বেরিয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। ২০১২ সালে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন এবং এক বছরের মধ্যে সেটি গৃহীত হয়। তারপর আর দেশে ফেরা হয়নি তার। তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান প্রয়োজনে কয়েকবার দেশে আসতে পারলেও তিনি পারেননি।
অবশেষে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সব প্রশ্নের অবসান ঘটতে যাচ্ছে ২৫ ডিসেম্বর। দেশে ফিরছেন তারেক রহমান।

ঢাকায় ছুটছেন নেতাকর্মীরা: দীর্ঘ দেড়যুগ পর দেশে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য ঢাকার ৩০০ ফিটে গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে দলটি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৬৩ জেলা থেকেই ঢাকায় রওয়ানা দিচ্ছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বিভিন্ন পরিবহনে করে ঢাকায় ছুটছেন তারা। দলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ট্রেনও রিজার্ভ করা হয়েছে। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর-

খুলনা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা বিএনপি। মহানগর ও জেলা শাখার পক্ষ থেকে প্রায় ১২-১৪ হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবেন। খুলনা মহানগর থেকে শতাধিক এবং জেলা থেকে ৫০টির বেশি বাসে করে তারা রওয়ানা দেবেন। একটি বিশেষ ট্রেন চেয়ে রেল সচিবের কাছে আবেদন করেছেন দলটির নেতারা।

মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলা থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন জানান, জেলার তিনটি উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ঢাকায় যাবেন। পাশাপাশি অনেক নেতাকর্মী নিজ নিজ সুবিধাজনক সময় ও উপায়ে এরইমধ্যে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। অনেকে সেখানে পৌঁছেছেন।

নওগাঁ: নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢাকায় যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০০টি বাস ভাড়া করেছে নওগাঁ জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, দেশনায়ককে বরণ করে নিতে জেলা বিএনপি অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে। নেতাকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০০টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। প্রতিটি বাসে ৬০-৬৫ জন করে যেতে পারবেন। এখন পর্যন্ত আমাদের ধারণা, প্রায় সাত হাজার নেতা কর্মী নওগাঁ থেকে ঢাকায় যাবে। তবে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

সাতক্ষীরা: ঢাকায় আয়োজিত প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সাতক্ষীরা জেলা থেকে ১০-১২ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন বলে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরিবহন সংকটের কারণে অনেক নেতাকর্মী ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কেউ আগেভাগেই ঢাকায় পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনের বাসা কিংবা হোটেলে অবস্থান করছেন। সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, ‘সদর আসন থেকে ৩০টি বাস এবং ৩০টি মাইক্রোবাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি আসনের মনোনীত প্রার্থীকে আলাদাভাবে ২০-৩০টি গাড়ি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে শতাধিক যানবাহন ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হবে।’

বাগেরহাট: জেলার ৯টি উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ উপলক্ষে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ভাড়া করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, বাগেরহাট থেকে চারটি ও কচুয়া থেকে ছয়টি বাসসহ প্রতিটি উপজেলা থেকে বিভিন্ন পরিবহন ভাড়া করা হয়েছে।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা থেকে বিএনপি-অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাত উপজেলার ৮১টি ইউনিয়ন এবং চারটি পৌরসভার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সবগুলো ইউনিটের নেতাকর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। পাঁচ শতাধিক পরিবহন, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ভাড়া করা হয়েছে। অনেকে বিভিন্নভাবে গতকাল থেকে ব্যক্তিগতভাবে ও ট্রেনে করে ঢাকায় যাচ্ছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জের দুই উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ৩০০ গাড়িবহরে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হবেন বলে জানানো হয়েছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের জেলা বিএনপির উদ্যোগে শত শত গাড়ি যাবে। তবে গাড়ির সংখ্যা এখনো বলতে পারছি না। আমরা আজ প্রতিটি ইউনিট নিয়ে আলোচনায় বসবো। মূলত আলাদা আলাদা প্রার্থীরা নিজ আসনের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হবেন।’

নেত্রকোনা: ঢাকায় নেতাকে স্বাগত জানাতে নেত্রকোনা বিএনপির ৫০ হাজার নেতাকর্মী প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। ওই দিনে আমাদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে। নেতাকে স্বাগত জানাতে বিএনপির পক্ষ থেকেই প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এজন্য বাস, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাড়া নেওয়া হয়েছে।’

রাজশাহী: রাজশাহী থেকে ৩৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকায় যাবেন বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ট্রেন, বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় যাবেন তারা। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, রাজশাহী-৬ আসন থেকে ৪-৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। সবচেয়ে বেশি এই আসন থেকে যাবেন। এছাড়া রাজশাহীর সব উপজেলা থেকে সবমিলিয়ে ২২-২৫ হাজার নেতাকর্মী যাবেন।

রংপুর: রংপুর থেকে অন্তত ৫০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জানান, রংপুর থেকে ৫০ হাজার মানুষ ঢাকা যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) অনেকেই রাজধানীতে পৌঁছে গেছেন। বাকিরা বুধবার রিজার্ভ গাড়িসহ বিভিন্নভাবে ঢাকা পোঁছে যাবেন।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সড়ক ও নদীপথে তারা ঢাকা যাবেন। এরইমধ্যে অনেকে পৌঁছে গেছেন। বাকিরা বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতের মধ্যে পৌঁছে যাবেন। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান জানান, তারেক রহমানকে দেখতে লক্ষ্মীপুর থেকে বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দলের পক্ষ থেকে শতাধিক বাস দেওয়া হয়েছে। তবে বেশিরভাগই ব্যক্তিগত উদ্যোগ-খরচে ঢাকায় যাচ্ছেন।

প্রস্তুত দৌলতদিয়া ঘাট: আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যানবাহনের বাড়তি চাপ সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর বা তার আগে ও পরে আমরা আশা করছি দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন পারাপারে কোনো সমস্যা হবে না। বহরে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি থাকলেও বর্তমানে যানবাহনের চাপ কম থাকায় ১০টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ বিবেচনায় বহরে থাকা সবগুলো ফেরি চালানোর প্রস্তুতিও রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে তিনটি ঘাট সচল রয়েছে। ফলে আশা করছি যানবাহনের বাড়তি চাপ হলেও কোনো সমস্যা হবে না।

এদিকে ফেরি ঘাটের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটেও বাড়তি চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট ম্যানেজার নূরুল আনোয়ার মিলন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নিয়মিত ১৬ থেকে ১৭টি লঞ্চ চলাচল করছে এবং সবগুলো লঞ্চের ফিটনেস রয়েছে। বর্তমানে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। দিনে এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ যাত্রী পারাপার হয়। তবে দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী পারাপারের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। ফলে ২৫ ডিসেম্বর যাত্রীর চাপ বাড়লেও কোনো সমস্যা হবে না। অপরদিকে তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর বা তার আগে ও পরে রাজবাড়ীসহ দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যানবাহনে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকামুখী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সানা/ওআ/আপ্র/২৪/১২/২০২৫