ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

কালো টাকা সাদা করার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে সরকার

  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন বা সাদা করার সুযোগের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
গতকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ জিনিসটি আমরা পর্যালোচনা করছি। শুধু যে কালো টাকা নিয়ে তা নয়, গোটা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই পর্যালোচনা চলছে। তিনি বলেন, এই পর্যালোচনায় প্রাথমিক যে লক্ষণ দেখছি তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, আমরা বর্তমান যে অর্থনৈতিক সংকট পরিস্থিতি তা কাটিয়ে উন্নয়নের দিকে ফিরতে শুরু করেছি। আরও কিছুদিন গেলে আমরা পুরোপুরি একটি পিকচার পাবো। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করছি। নীলফামারী-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিকের এক সম্পূরক প্রশ্নে উল্লেখ করেন, সরকারি ও বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আমরা পর্যালোচনা করছি। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি, একটা উন্নতির ছাপ দেখতে পাচ্ছি। আরও অনেক কাজ করতে হবে। সেগুলো করার পর আমরা একটি আইডিয়া দিতে পারবো।
এদিন সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। তবে কর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২৩ হাজার ২২৭ দশমিক ১৯ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর (২০২৩-২৪) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অংশ) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ (অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রা) ১৩ হাজার ৬১৭ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৪৩ হাজার ৬১৭ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) কর রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অংশ) এক লাখ ৬৫ হাজার ৬২৯ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা এবং স্ট্যাম্প ডিউটি খাতে এক হাজার ৬২৬ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে।
সংকট আছে, আমরা ওভারকাম করছি: বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নতি করছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশে সংকট আছে কিন্তু আমরা ওভারকাম করছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ এখন ঊর্ধ্বমুখীর দিকে। বাংলাদেশ যে সম্ভাবনার দেশ সেই ট্রেকেই ফিরে এসেছি।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রতিনিধি, ফ্রান্স সরকারের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন ক্রোজা ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইএফডি) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নড হেমলিয়ারসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট বা আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন হতবিলের (আইএফডি) প্রজেক্ট কার্যক্রম চালু আছে। সেখানে তারা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসছে সেগুলো নিয়েই আলোচনা হচ্ছে।
নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে ফোকাসের কথা বলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে রকম কিছু নেই। তবে তারা ধীরে ধীরে উন্নয়ন করে। প্রতি বছরই আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়। চলতি বছর ইনোভেশন (উদ্ভাবনী) বিষয়ে বাংলাদেশসহ অন্য সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আইএফডি বলেছে তারা আরও কো-অপারেশন চায়, সেদিক থেকে আমাদের প্রত্যাশাটা কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সবাই তাদের আইডিয়ার কথা বলে, আপনারা চিন্তা করেন কী করা যায়। বাংলাদেশে এখন অনেক ধরনের সমস্যা আছে। এর মধ্যে মার্কেটিং একটা সমস্যা। কৃষকের কাছ থেকে পণ্য ঢাকায় আসতে আসতে এটা মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে চলে যায়। এটা একটা বড় সমস্যা। আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি কীভাবে এটা পরিবর্তন করা যায়। আইএফডি এখানে সবসময় আমাদেন সাহায্য করে। শুধু তারা একা নয়, আমাদের অনেক পার্টনার আছে, যেমন জাপান, এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এছাড়া আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার আছে তারা বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসে। তারপর মিলেমিশে আমরা একটা রাস্তা বের করে যেতে শুরু করি। তিনি বলেন, আমরা কোনো নির্দিষ্ট দেশের ওপর নির্ভরশীল না। কিন্তু আমরা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করি, আইডিয়া গ্রহণ করি, বড় করি। আর্থিকভাবে বিভিন্ন পার্টনার সহায়তা করে। এডিবি ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেখানে কী আলোচনা হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেখা যাক বাংলাদেশ তো এখন ভালো করছে। তবে আমরা সমস্যা থেকে একেবারে বের হয়ে গেছি তা নয়। কিন্তু জিসিনটা তো চলছে। এডিবি নতুন কোনো কমিটমেন্ট করেছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই করেছে, তারা তো বাংলাদেশকে সাহায্য করছে। এটা চলমান, চলতে থাকবে। তাহলে একটা কথা অনেকেই বলে বাংলাদেশ কী দেউলিয়া হয়ে গেলো। না বাংলাদেশ কোথায় দেউলিয়া। এত বড় একটা দেশ দেউলিয়া হতে পারে না। আমাদের রিজার্ভ উন্নতি করছে। দেশের সংকট কি কেটে যাচ্ছে বলা যায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, হ্যাঁ, সংকট অন গোয়িং। সংকট আছে কিন্তু আমরা ওভারকাম করছি। ধীরে ধীরে আমরা উন্নতি করছি। একদিনে যদি ধারণা করে থাকেন, নতুন মন্ত্রিসভা হলো কালকে সব ঠিক হয়ে যাবে। এ রকম হবে না। কিন্তু অন দি ওয়ে, ধীরে ধীরে করতে হবে। আমরা ট্রেকে ফিরলাম কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ আমরা ট্রেকে ফিরলাম। অবশ্যই, আমি এটা আগেও বলেছি। বাংলাদেশ এখন ঊর্ধ্বমুখী, সম্ভাবনার বাংলাদেশ সেই ট্রেকেই ফিরে এসেছি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কালো টাকা সাদা করার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে সরকার

আপডেট সময় : ০২:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন বা সাদা করার সুযোগের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
গতকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ জিনিসটি আমরা পর্যালোচনা করছি। শুধু যে কালো টাকা নিয়ে তা নয়, গোটা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই পর্যালোচনা চলছে। তিনি বলেন, এই পর্যালোচনায় প্রাথমিক যে লক্ষণ দেখছি তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, আমরা বর্তমান যে অর্থনৈতিক সংকট পরিস্থিতি তা কাটিয়ে উন্নয়নের দিকে ফিরতে শুরু করেছি। আরও কিছুদিন গেলে আমরা পুরোপুরি একটি পিকচার পাবো। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করছি। নীলফামারী-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিকের এক সম্পূরক প্রশ্নে উল্লেখ করেন, সরকারি ও বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আমরা পর্যালোচনা করছি। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি, একটা উন্নতির ছাপ দেখতে পাচ্ছি। আরও অনেক কাজ করতে হবে। সেগুলো করার পর আমরা একটি আইডিয়া দিতে পারবো।
এদিন সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। তবে কর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২৩ হাজার ২২৭ দশমিক ১৯ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর (২০২৩-২৪) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অংশ) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ (অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রা) ১৩ হাজার ৬১৭ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৪৩ হাজার ৬১৭ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) কর রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অংশ) এক লাখ ৬৫ হাজার ৬২৯ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা এবং স্ট্যাম্প ডিউটি খাতে এক হাজার ৬২৬ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে।
সংকট আছে, আমরা ওভারকাম করছি: বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নতি করছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশে সংকট আছে কিন্তু আমরা ওভারকাম করছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ এখন ঊর্ধ্বমুখীর দিকে। বাংলাদেশ যে সম্ভাবনার দেশ সেই ট্রেকেই ফিরে এসেছি।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রতিনিধি, ফ্রান্স সরকারের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন ক্রোজা ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইএফডি) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নড হেমলিয়ারসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট বা আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন হতবিলের (আইএফডি) প্রজেক্ট কার্যক্রম চালু আছে। সেখানে তারা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসছে সেগুলো নিয়েই আলোচনা হচ্ছে।
নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে ফোকাসের কথা বলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে রকম কিছু নেই। তবে তারা ধীরে ধীরে উন্নয়ন করে। প্রতি বছরই আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়। চলতি বছর ইনোভেশন (উদ্ভাবনী) বিষয়ে বাংলাদেশসহ অন্য সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আইএফডি বলেছে তারা আরও কো-অপারেশন চায়, সেদিক থেকে আমাদের প্রত্যাশাটা কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সবাই তাদের আইডিয়ার কথা বলে, আপনারা চিন্তা করেন কী করা যায়। বাংলাদেশে এখন অনেক ধরনের সমস্যা আছে। এর মধ্যে মার্কেটিং একটা সমস্যা। কৃষকের কাছ থেকে পণ্য ঢাকায় আসতে আসতে এটা মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে চলে যায়। এটা একটা বড় সমস্যা। আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি কীভাবে এটা পরিবর্তন করা যায়। আইএফডি এখানে সবসময় আমাদেন সাহায্য করে। শুধু তারা একা নয়, আমাদের অনেক পার্টনার আছে, যেমন জাপান, এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এছাড়া আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার আছে তারা বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসে। তারপর মিলেমিশে আমরা একটা রাস্তা বের করে যেতে শুরু করি। তিনি বলেন, আমরা কোনো নির্দিষ্ট দেশের ওপর নির্ভরশীল না। কিন্তু আমরা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করি, আইডিয়া গ্রহণ করি, বড় করি। আর্থিকভাবে বিভিন্ন পার্টনার সহায়তা করে। এডিবি ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেখানে কী আলোচনা হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেখা যাক বাংলাদেশ তো এখন ভালো করছে। তবে আমরা সমস্যা থেকে একেবারে বের হয়ে গেছি তা নয়। কিন্তু জিসিনটা তো চলছে। এডিবি নতুন কোনো কমিটমেন্ট করেছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই করেছে, তারা তো বাংলাদেশকে সাহায্য করছে। এটা চলমান, চলতে থাকবে। তাহলে একটা কথা অনেকেই বলে বাংলাদেশ কী দেউলিয়া হয়ে গেলো। না বাংলাদেশ কোথায় দেউলিয়া। এত বড় একটা দেশ দেউলিয়া হতে পারে না। আমাদের রিজার্ভ উন্নতি করছে। দেশের সংকট কি কেটে যাচ্ছে বলা যায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, হ্যাঁ, সংকট অন গোয়িং। সংকট আছে কিন্তু আমরা ওভারকাম করছি। ধীরে ধীরে আমরা উন্নতি করছি। একদিনে যদি ধারণা করে থাকেন, নতুন মন্ত্রিসভা হলো কালকে সব ঠিক হয়ে যাবে। এ রকম হবে না। কিন্তু অন দি ওয়ে, ধীরে ধীরে করতে হবে। আমরা ট্রেকে ফিরলাম কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ আমরা ট্রেকে ফিরলাম। অবশ্যই, আমি এটা আগেও বলেছি। বাংলাদেশ এখন ঊর্ধ্বমুখী, সম্ভাবনার বাংলাদেশ সেই ট্রেকেই ফিরে এসেছি।