ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কালুরঘাট সেতু আপাতত টোলমুক্ত

  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১৪ মাস পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এদিকে, সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় বোয়ালখালী তথা সেতু ব্যবহারকারী দক্ষিণ চট্টগ্রামের অনেক মানুষের দুর্ভোগ কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, ‘৯০ বছরের পুরোনো কালুরঘাট সেতুটি বুয়েট বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সংস্কার করার পর আজ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেতু সংস্কারে সময় লেগেছে প্রায় ১৪ মাস। যানবাহন চলাচলে আপাতত টোল থাকছে না। সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৮ ফুট উচ্চতার সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে ট্রাক-বাসের মতো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।’
বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা মো. আলী বলেন, ‘একটি সেতুর কারণে বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। গত ১৪ মাস ফেরি দিয়ে লোকজন যাতায়াত করছিল। আমরা কর্ণফুলীর ওপর নতুন সেতুর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। বর্তমান সরকার দ্রুত এর বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা আশা করছি।’
২০২৩ সালের ১ আগস্ট জরাজীর্ণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ কালুরঘাট সেতু দিয়ে ভারী ট্রেন চলাচলের জন্য সংস্কার শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আট মাসে সেতুটির সার্বিক সংস্কারকাজের দায়িত্ব পায় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। গত বছরের ১৮ জুন চুক্তি সইয়ের তিন মাসের মধ্যে সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী এবং আট মাসের মধ্যে জনসাধারণসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে তা শেষে করতে পারেনি। ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করে।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আজ থেকে কালুরঘাট থেকে দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এ সেতু দিয়ে ৮ ফুট উচ্চতার যেকোনও যানবাহন চলাচল করতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এ সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন থেকে কোনও ধরনের টোল আদায় করা হবে না। শিগগিরই টোল আদায়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর ঠিকাদারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে।’
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যমান ৬৩৮ দশমিক ৫ মিটার দৈর্ঘ্যের কালুরঘাট সেতুটি ১৯৬২ সালে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ৯৩ বছরের পুরোনো এ কালুরঘাট সেতুতে সর্বশেষ ২০০৪ সালে ভারী সংস্কারকাজ হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে হালকা সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়। স্টিলের কাঠামোর কালুরঘাট সেতু দিয়ে ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল করছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পরিবারভিত্তিক ব্যবসা

কালুরঘাট সেতু আপাতত টোলমুক্ত

আপডেট সময় : ০৭:৫১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১৪ মাস পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এদিকে, সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় বোয়ালখালী তথা সেতু ব্যবহারকারী দক্ষিণ চট্টগ্রামের অনেক মানুষের দুর্ভোগ কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, ‘৯০ বছরের পুরোনো কালুরঘাট সেতুটি বুয়েট বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সংস্কার করার পর আজ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেতু সংস্কারে সময় লেগেছে প্রায় ১৪ মাস। যানবাহন চলাচলে আপাতত টোল থাকছে না। সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৮ ফুট উচ্চতার সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে ট্রাক-বাসের মতো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।’
বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা মো. আলী বলেন, ‘একটি সেতুর কারণে বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। গত ১৪ মাস ফেরি দিয়ে লোকজন যাতায়াত করছিল। আমরা কর্ণফুলীর ওপর নতুন সেতুর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। বর্তমান সরকার দ্রুত এর বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা আশা করছি।’
২০২৩ সালের ১ আগস্ট জরাজীর্ণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ কালুরঘাট সেতু দিয়ে ভারী ট্রেন চলাচলের জন্য সংস্কার শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আট মাসে সেতুটির সার্বিক সংস্কারকাজের দায়িত্ব পায় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। গত বছরের ১৮ জুন চুক্তি সইয়ের তিন মাসের মধ্যে সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী এবং আট মাসের মধ্যে জনসাধারণসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে তা শেষে করতে পারেনি। ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করে।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আজ থেকে কালুরঘাট থেকে দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এ সেতু দিয়ে ৮ ফুট উচ্চতার যেকোনও যানবাহন চলাচল করতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এ সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন থেকে কোনও ধরনের টোল আদায় করা হবে না। শিগগিরই টোল আদায়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর ঠিকাদারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে।’
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যমান ৬৩৮ দশমিক ৫ মিটার দৈর্ঘ্যের কালুরঘাট সেতুটি ১৯৬২ সালে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ৯৩ বছরের পুরোনো এ কালুরঘাট সেতুতে সর্বশেষ ২০০৪ সালে ভারী সংস্কারকাজ হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে হালকা সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়। স্টিলের কাঠামোর কালুরঘাট সেতু দিয়ে ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল করছে।