নিজস্ব প্রতিবেদক : গত কয়েকদিন থেকে অনিয়মিত ও বিচ্ছিন্নভাবে দেশে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা পূর্ববর্তী সময়ে এটাকে স্বাভাবিক বলছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্ষার আগ মুহূর্তে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বজ্র ও কালবৈশাখী ঝড় এ সময়ের বৃষ্টির বৈশিষ্ট্য। তবে আগামী ৩ দিন বৈশিষ্ট্যগুলো প্রবল আকারে হতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আগামী ৩ দিন অর্থাৎ শুক্র থেকে রোববার দেশের সব বিভাগেই দুয়েক জায়গায় (২৫ শতাংশ এলাকা) ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। তবে এটি দীর্ঘক্ষণ হবে না। বিক্ষিপ্ত ভাবে হবে। তিনি বলেন, আগামী রোববারের পর থেকে ঝড় কমে যাবে। তখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। গরমের অনুভূতি বেড়ে যাবে। এদিকে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, আগামী ২২ ও ২৩ শে মার্চ পুরো দেশের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি অতিক্রমের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। তিনি জানান, আগামী শনি ও রোববার পুরো দেশের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি অতিক্রমের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ২৩ শে মার্চ কালবৈশাখী ঝড় তেতুলিয়া দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করে টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও ২৩ মার্চ শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত অতিক্রম করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষ মারা যাওয়ারও আশঙ্কা করা যাচ্ছে। তিনি কৃষকদের জন্য নির্দেশনা দিয়ে বলেন, সংবাদে দেখা যাচ্ছে যে উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আলু চাষিরা হিমাগারে আলু প্রবেশ করা নিয়ে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। আলু ভর্তি যে ট্রাকগুলো বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজের সামনে অপেক্ষারত সেই আলুগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে যদি কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ভিজে যায়। এই আলুগুলো পুরোপুরি পচে যাবে। এমনকি কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা এসব ট্রাকের আলু হিমাগারে ঢুকাতে রাজি নাও হতে পারে।