ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
কালপুরুষ নীহারিকায় কয়েক শ রহস্যজনক বস্তু

কালপুরুষ নীহারিকায় কয়েক শ রহস্যজনক বস্তু

  • আপডেট সময় : ১০:০০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : কালপুরুষ নীহারিকায় কয়েক শ রহস্যজনক বস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব বস্তুর আকার অনেকটা গ্রহের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এসব বস্তু দেখা গেছে। এ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানে যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন এক অধ্যায়।
স¤প্রতি আবিষ্কৃত অজানা এসব বস্তু এত ছোট যে সেগুলোকে নক্ষত্র বলা যায় না। আবার গ্রহের প্রচলিত সংজ্ঞার মধ্যেও পড়ে না। কারণ, নির্দিষ্ট একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে না এই বস্তুগুলো। এসব বস্তুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুপিটার মাস বাইনারি অবেজেক্ট’। সংক্ষেপে বলা হচ্ছে জাম্বোস। কালপুরুষে গ্রহের মতো বস্তুর খোঁজ পাওয়ার এ ঘটনা বলছে, গ্রহ ও নক্ষত্রমÐলী নিয়ে আমাদের মধ্যে বিদ্যমান ধ্যানধারণা ও তত্ত¡ ভ্রান্ত হতে পারে। কারণ, এতে বোঝা যাচ্ছে, কোনো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতি গ্রহের মতো বস্তু গঠিত হওয়া সম্ভব নয়। এসব বস্তু আগে থেকেই সেখানে ছিল। ইউরোপের ২২টি দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক মার্ক ম্যাকুগ্রেন। তিনি বলছেন, প্রথমে ভ‚মিতে থাকা টেলিস্কোপের মাধ্যমে রহস্যজনক কিছু বস্তুর উপস্থিতির কথা জানা যায়। পরে তার খোঁজে গিয়ে আবিষ্কৃত হয় এসব বস্তু। বৃহদাকার, অতি উষ্ণ, গ্যাসীয় এসব বস্তুর গঠন দেখে সেগুলোকে গ্রহের মতো বলে মনে হয়। তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর বায়ুমÐলে বাষ্প ও মিথেন গ্যাসও রয়েছে। কিন্তু এগুলোকে সরাসরি গ্রহ বলা যাচ্ছে না। জাম্বোস নামের কারণ এর মধ্যে কয়েক ডজন জোড় অবস্থায় রয়েছে। অধ্যাপক মার্ক ম্যাকুগ্রেন বলছেন, ‘কোনটা গ্রহ আর কোনটা গ্রহ নয়—এই বিতর্ক নিয়ে উপসংহারে যাওয়ার মতো সময় আমাদের কারোর নেই। কারণ, এটা এমন বিষয়, যার উপসংহার টানা যায় না।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, স¤প্রতি আবিষ্কৃত রহস্যজনক এসব বস্তুর (জাম্বোস) বয়স হতে পারে প্রায় ১০ লাখ বছর। জ্যোতির্বিজ্ঞানের জায়গা থেকে বিবেচনা করতে গেলে অবশ্য এসব বস্তু শিশুর বয়সী। এর পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস, যাকে ‘নারকীয়’ বলছেন বিজ্ঞানীরা।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কালপুরুষ নীহারিকায় কয়েক শ রহস্যজনক বস্তু

কালপুরুষ নীহারিকায় কয়েক শ রহস্যজনক বস্তু

আপডেট সময় : ১০:০০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : কালপুরুষ নীহারিকায় কয়েক শ রহস্যজনক বস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব বস্তুর আকার অনেকটা গ্রহের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এসব বস্তু দেখা গেছে। এ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানে যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন এক অধ্যায়।
স¤প্রতি আবিষ্কৃত অজানা এসব বস্তু এত ছোট যে সেগুলোকে নক্ষত্র বলা যায় না। আবার গ্রহের প্রচলিত সংজ্ঞার মধ্যেও পড়ে না। কারণ, নির্দিষ্ট একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে না এই বস্তুগুলো। এসব বস্তুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুপিটার মাস বাইনারি অবেজেক্ট’। সংক্ষেপে বলা হচ্ছে জাম্বোস। কালপুরুষে গ্রহের মতো বস্তুর খোঁজ পাওয়ার এ ঘটনা বলছে, গ্রহ ও নক্ষত্রমÐলী নিয়ে আমাদের মধ্যে বিদ্যমান ধ্যানধারণা ও তত্ত¡ ভ্রান্ত হতে পারে। কারণ, এতে বোঝা যাচ্ছে, কোনো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতি গ্রহের মতো বস্তু গঠিত হওয়া সম্ভব নয়। এসব বস্তু আগে থেকেই সেখানে ছিল। ইউরোপের ২২টি দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক মার্ক ম্যাকুগ্রেন। তিনি বলছেন, প্রথমে ভ‚মিতে থাকা টেলিস্কোপের মাধ্যমে রহস্যজনক কিছু বস্তুর উপস্থিতির কথা জানা যায়। পরে তার খোঁজে গিয়ে আবিষ্কৃত হয় এসব বস্তু। বৃহদাকার, অতি উষ্ণ, গ্যাসীয় এসব বস্তুর গঠন দেখে সেগুলোকে গ্রহের মতো বলে মনে হয়। তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর বায়ুমÐলে বাষ্প ও মিথেন গ্যাসও রয়েছে। কিন্তু এগুলোকে সরাসরি গ্রহ বলা যাচ্ছে না। জাম্বোস নামের কারণ এর মধ্যে কয়েক ডজন জোড় অবস্থায় রয়েছে। অধ্যাপক মার্ক ম্যাকুগ্রেন বলছেন, ‘কোনটা গ্রহ আর কোনটা গ্রহ নয়—এই বিতর্ক নিয়ে উপসংহারে যাওয়ার মতো সময় আমাদের কারোর নেই। কারণ, এটা এমন বিষয়, যার উপসংহার টানা যায় না।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, স¤প্রতি আবিষ্কৃত রহস্যজনক এসব বস্তুর (জাম্বোস) বয়স হতে পারে প্রায় ১০ লাখ বছর। জ্যোতির্বিজ্ঞানের জায়গা থেকে বিবেচনা করতে গেলে অবশ্য এসব বস্তু শিশুর বয়সী। এর পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস, যাকে ‘নারকীয়’ বলছেন বিজ্ঞানীরা।