ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

কার্বন নিসঃরণে টনে ক্ষতিপূরণ ৭৫ ডলারঃ আইএমএফ

  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড ছড়ানোর বিনিময়ে মূল্য পরিশোধ করা উচিত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় হিসেবে উচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি টন কার্বন ডাই-অক্সাইডের জন্য ৭৫ ডলার করে দেওয়া উচিত। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, যেসব শিল্পকারখানা তাদের পণ্য উৎপাদনের সময় যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ছড়াবে, সে হিসেবে তাদের অর্থ দিতে হবে। তবেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য সহজে অর্জিত হতে পারে। কার্বন নিঃসরণের জন্য এই অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থাকে ‘কার্বন প্রাইসিং সিস্টেম’ বলা হয়। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো মূল্য নির্ধারণ করা নেই।
জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইএমএফ বলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর তাদের দেশের কার্বন নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ উপায় হচ্ছে এটি।
২০১৫ সালে হওয়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা দেড় থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে। আইএমএফ বলছে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি টন নিঃসরিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের জন্য ৭৫ ডলার করে সংগ্রহ করতে হবে।
শত কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করেছে চীন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীন এ পর্যন্ত শত কোটি ডোজ করোনাভাইরাস টিকা বিতরণ করেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এসব টিকার এক তৃতীয়াংশের বেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
দেশটির কর্তৃপক্ষগুলো সাফল্যজনকভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার পর টিকাদান শুরু করলেও গতি ধীর ছিল। কিন্তু টিকা দিলে বিনামূল্যে ডিম দেওয়া হবে এমন প্রস্তাব ও অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর টিকাদান কর্মসূচী গতি পেয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, চীনের কর্তৃপক্ষগুলো জুলাইয়ের মধ্যে দেশটির ১৪০ কোটি লোকের মধ্যে ৪০ শতাংশকে পুরোপুরি টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে।
চীনের জনগণকে নিজেদের তৈরি টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক অন্যতম। উভয় টিকারই দুটি করে ডোজ নিতে হয়। কঠোর লকডাউন ও ব্যাপক পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার পর চীনের অনেক নাগরিকই টিকা নেওয়ার তেমন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। পূর্ববর্তী টিকা কেলেঙ্কারির কারণেও কিছু লোক সতর্ক ছিলেন।
যাইহোক, এখন টিকা কর্মসূচীর গতি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, সর্বশেষ ১০ কোটি টিকা দিতে তাদের মাত্র পাঁচ দিন লেগেছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের প্রাদুর্ভাবের ঘটনাও অনেক চীনাকে টিকা নিতে প্রভাবিত করেছে। প্রদেশটির প্রধান শহর গুয়াংঝুর চিকিৎসকরা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, নতুন এই ধরনটিকে অন্যরকম মনে হচ্ছে এবং এটি উহানে সংক্রমণ ছড়ানো ভাইরাসের ধরনটির চেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
সংবাদপত্রটিতে দেওয়া উদ্ধৃতিতে গুয়াংঝুর নিকটবর্তী শহর শেনঝেনের এক বাসিন্দা বলেছেন, সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা চিন্তা করে তিনি প্রথমে টিকা নিতে চাননি কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। ২৭ বছর বয়সী এই লোক বলেন, “আমি টিকা নিতে চাচ্ছি, কিন্তু এখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেছে।”
এখন টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে প্রণোদনা হিসেবে আর বিনামূলে ডিম বা ফ্রি রাইডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে অন্যান্য অঞ্চলে এখনও কিছু উপহার দেওয়া হচ্ছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ আনহুইতে টিকা নেওয়া লোকজনে বিনামূল্যে ডিম দেওয়া হচ্ছে আর বেইজিংয়ের অনেক বাসিন্দা উপহার হিসেবে শপিং ভাউচার পেয়েছেন।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে দেশটির ৭০ শতাংশ লোককে পুরোপুরি টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে তারা।
চীন এ পর্যন্ত নিজেদের তৈরি তিনটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুটি, সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেয়েছে।
এই টিকা দুটি চীন ছাড়াও ফিলিপিন্স, চিলি, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড ও তুরস্কে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কার্বন নিসঃরণে টনে ক্ষতিপূরণ ৭৫ ডলারঃ আইএমএফ

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড ছড়ানোর বিনিময়ে মূল্য পরিশোধ করা উচিত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় হিসেবে উচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি টন কার্বন ডাই-অক্সাইডের জন্য ৭৫ ডলার করে দেওয়া উচিত। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, যেসব শিল্পকারখানা তাদের পণ্য উৎপাদনের সময় যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ছড়াবে, সে হিসেবে তাদের অর্থ দিতে হবে। তবেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য সহজে অর্জিত হতে পারে। কার্বন নিঃসরণের জন্য এই অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থাকে ‘কার্বন প্রাইসিং সিস্টেম’ বলা হয়। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো মূল্য নির্ধারণ করা নেই।
জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইএমএফ বলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর তাদের দেশের কার্বন নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ উপায় হচ্ছে এটি।
২০১৫ সালে হওয়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা দেড় থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে। আইএমএফ বলছে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি টন নিঃসরিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের জন্য ৭৫ ডলার করে সংগ্রহ করতে হবে।
শত কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করেছে চীন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীন এ পর্যন্ত শত কোটি ডোজ করোনাভাইরাস টিকা বিতরণ করেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এসব টিকার এক তৃতীয়াংশের বেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
দেশটির কর্তৃপক্ষগুলো সাফল্যজনকভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার পর টিকাদান শুরু করলেও গতি ধীর ছিল। কিন্তু টিকা দিলে বিনামূল্যে ডিম দেওয়া হবে এমন প্রস্তাব ও অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর টিকাদান কর্মসূচী গতি পেয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, চীনের কর্তৃপক্ষগুলো জুলাইয়ের মধ্যে দেশটির ১৪০ কোটি লোকের মধ্যে ৪০ শতাংশকে পুরোপুরি টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে।
চীনের জনগণকে নিজেদের তৈরি টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক অন্যতম। উভয় টিকারই দুটি করে ডোজ নিতে হয়। কঠোর লকডাউন ও ব্যাপক পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার পর চীনের অনেক নাগরিকই টিকা নেওয়ার তেমন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। পূর্ববর্তী টিকা কেলেঙ্কারির কারণেও কিছু লোক সতর্ক ছিলেন।
যাইহোক, এখন টিকা কর্মসূচীর গতি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, সর্বশেষ ১০ কোটি টিকা দিতে তাদের মাত্র পাঁচ দিন লেগেছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের প্রাদুর্ভাবের ঘটনাও অনেক চীনাকে টিকা নিতে প্রভাবিত করেছে। প্রদেশটির প্রধান শহর গুয়াংঝুর চিকিৎসকরা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, নতুন এই ধরনটিকে অন্যরকম মনে হচ্ছে এবং এটি উহানে সংক্রমণ ছড়ানো ভাইরাসের ধরনটির চেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
সংবাদপত্রটিতে দেওয়া উদ্ধৃতিতে গুয়াংঝুর নিকটবর্তী শহর শেনঝেনের এক বাসিন্দা বলেছেন, সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা চিন্তা করে তিনি প্রথমে টিকা নিতে চাননি কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। ২৭ বছর বয়সী এই লোক বলেন, “আমি টিকা নিতে চাচ্ছি, কিন্তু এখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেছে।”
এখন টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে প্রণোদনা হিসেবে আর বিনামূলে ডিম বা ফ্রি রাইডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে অন্যান্য অঞ্চলে এখনও কিছু উপহার দেওয়া হচ্ছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ আনহুইতে টিকা নেওয়া লোকজনে বিনামূল্যে ডিম দেওয়া হচ্ছে আর বেইজিংয়ের অনেক বাসিন্দা উপহার হিসেবে শপিং ভাউচার পেয়েছেন।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে দেশটির ৭০ শতাংশ লোককে পুরোপুরি টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে তারা।
চীন এ পর্যন্ত নিজেদের তৈরি তিনটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুটি, সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেয়েছে।
এই টিকা দুটি চীন ছাড়াও ফিলিপিন্স, চিলি, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড ও তুরস্কে ব্যবহৃত হচ্ছে।