প্রযুক্তি ডেস্ক : সৌদি আরব ২০৬০ নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে সৃষ্ট গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ ‘নেট জিরো’তে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, – সম্প্রতি জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সে হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত সময়সীমার দশ বছর পর লক্ষ্য নির্ধারণ করলো বিশ্বের শীর্ষ এই তেল রপ্তানীকারক দেশটি। এ ছাড়াও ২০৩০ সাল নাগাদ নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রাকেও দ্বিগুণ করছে সৌদি আরব।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ নেট জিরো অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিঃসরণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এ তালিকার প্রথমে রয়েছে চীন এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ওই দুটি দেশের কোনোটিই এখনও এ সময়সীমা মেনে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তবে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে সৌদি আরব ভূমিকা রাখবে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির ‘ক্রাউন প্রিন্স’ মোহাম্মদ বিন সালমান ও সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী। এর পাশাপাশি তারা হাইড্রোকার্বনের অব্যাহত গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। সিওপি২৬কে সামনে রেখে সৌদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভ (এসজ্আিই)- এ বক্তব্য রাখেন তারা।
রেকর্ড করা বক্তব্যে যুবরাজ মোহাম্মদ উল্লেখ করেন, “দৃঢ় সুরক্ষা ও বৈশ্বিক তেল বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রেখেই” নিজস্ব কার্বন অর্থনীতি কর্মসূচীর অধীনে ২০৬০ নাগাদ নেট জিরোতে পৌঁছাবে সৌদি আরব। এ ছাড়াও তিনি বলেন, সৌদি আরব বৈশ্বিক উদ্যোগে সাড়া দিয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ ২০২০ সালের তুলনায় ৩০ শতাংশ মিথেন নিঃসরণ কমাবে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এ বিষয়টি নিয়ে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই। এ মাসের শেষেই গ্লাসগো’তে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন সিওপি২৬-এর।
এদিকে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর প্রধান নির্বাহী আমিন নাসের জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান ‘দানব’ হাইড্রোকার্বনের বিপরীতে কাজ করছে। পাশাপাশি তিনি জানান, আরামকো ২০৫০ সাল নাগাদ নিজ কর্মকা-ে নেট জিরো নিঃসরণ অর্জনের পাশাপাশি নিজ তেল ও গ্যাসের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যও হাতে নিয়েছে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত অপরিশোধিত তেল সরবরাহ নিশ্চিতে আরও বৈশ্বিক বিনিয়োগের আহ্বান জানান আরামকো প্রধান। সৌদি আরবের গণমাধ্যম বলছে, নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ প্রশ্নে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ’কে এক ফোন কলে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।