ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কার্ডিওলজিস্ট হওয়ার ইচ্ছে মেডিকেলে প্রথম হওয়া সর্বার

  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা। রাজধানীর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। ভবিষ্যতে একজন কার্ডিওলজিস্ট হতে চান বলে জানিয়েছেন সর্বা। গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে এ ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন তিনি। তানজিম মুনতাকা সর্বা বলেন, আমার সফলতার পেছনে বাবা-মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা আমাকে অনেক বেশি সহযোগিতা করেছেন। এক কথায় যদি বলি আমার ব্যক্তিগত জীবনে আব্বু-আমুই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। এমন কোনো বিষয় নেই, যা নিয়ে আমি বাবা-মায়ের সহযোগিতা পাইনি। মেডিকেল প্রিপারেশনের সময় অনেক হতাশায় থাকতাম, কিন্তু আব্বু-আম্মু এমনভাবে পাশে থাকতেন যে, এগুলো সব ভুলে যেতাম। বাবা-মায়ের সহযোগিতা না পেলে কখনো মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সম্ভব ছিল না।
ভালো ফল অর্জনে শিক্ষকদের ভূমিকা প্রসঙ্গে এই শিক্ষার্থী বলেন, আমার সফলতার পেছনে শিক্ষকদের কথা বললে শেষ হবে না। ফুলটাইম তারা আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। হলিক্রসে যেভাবে পরীক্ষা নিতেন, যেভাবে পড়াশোনা করাতেন, দেখা গেল যে টেস্ট পরীক্ষার আগেই সিলেবাস শেষ। এমনটা যদি না হতো, তাহলে প্রস্তুতিটা ভালোভাবে সম্পন্ন হতো না। ভিকারুননিসা স্কুলও আমার জন্য অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিল। শিক্ষকরা সবসময় আমাকে উৎসাহিত করতেন। ডাক্তার হওয়ার ভাবনাটা কীভাবে এলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাক্তার হওয়ার জন্য শিক্ষকরাই বেশি মোটিভেশন দিতেন। তাদের জন্যই আমি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। আরেকটা বিষয় হলো যে, আমাদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে আমি প্রথম ডাক্তার হতে চলেছি। তার আগে কেউই ডাক্তার ছিল না। ডাক্তার হতে চাওয়ার এটাও অন্যতম একটি কারণ।
কী বিষয়ে চিকিৎসক হতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে সর্বা বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো ওভাবে ভাবিনি। তবে, কিছুদিন যাবৎ কার্ডিওলজিস্ট হওয়ার ইচ্ছা জেগেছে। যদিও এর আগে অন্য ভাবনা ছিল। দেখা যাক, এমবিবিএস শেষ হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। যারা ভবিষ্যতে এমবিবিএস পরীক্ষা দেবে, তাদের জন্য কোনো পরামর্শ আছে কি না, জানতে চাইলে প্রথম হওয়া এই শিক্ষার্থী বলেন, ভবিষ্যতে যারা পরীক্ষা দেবে, এসএসসি প্রিপারেশনটা পুরোপুরি নিতে হবে। ওটা কমপ্লিট থাকলে পরবর্তী প্রিপারেশন অনেক বেশি সহজ হবে। আরেকটা বিষয় হলো পড়াশোনাটা রেগুলার করতে হবে। একইসঙ্গে একটা গাইডলাইনও খুব জরুরি। আর প্রিপারেশন চলাকালে বেশি বেশি পরীক্ষা দিতে হবে। আমি অনেক বেশি পরীক্ষা দিয়েছি, যার কারণেই আমি মনে হয় এগিয়ে আছি। জানা গেছে, প্রথম হওয়া তানজিম মুনতাকা সর্বা সর্বমোট ৯২.৫ নম্বর পেয়েছেন। রাজধানীর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে, রাজধানীর ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করেন সর্বা। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। বসবাস করেন রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কার্ডিওলজিস্ট হওয়ার ইচ্ছে মেডিকেলে প্রথম হওয়া সর্বার

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নারী ও শিশু ডেস্ক: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা। রাজধানীর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। ভবিষ্যতে একজন কার্ডিওলজিস্ট হতে চান বলে জানিয়েছেন সর্বা। গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে এ ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন তিনি। তানজিম মুনতাকা সর্বা বলেন, আমার সফলতার পেছনে বাবা-মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা আমাকে অনেক বেশি সহযোগিতা করেছেন। এক কথায় যদি বলি আমার ব্যক্তিগত জীবনে আব্বু-আমুই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। এমন কোনো বিষয় নেই, যা নিয়ে আমি বাবা-মায়ের সহযোগিতা পাইনি। মেডিকেল প্রিপারেশনের সময় অনেক হতাশায় থাকতাম, কিন্তু আব্বু-আম্মু এমনভাবে পাশে থাকতেন যে, এগুলো সব ভুলে যেতাম। বাবা-মায়ের সহযোগিতা না পেলে কখনো মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সম্ভব ছিল না।
ভালো ফল অর্জনে শিক্ষকদের ভূমিকা প্রসঙ্গে এই শিক্ষার্থী বলেন, আমার সফলতার পেছনে শিক্ষকদের কথা বললে শেষ হবে না। ফুলটাইম তারা আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। হলিক্রসে যেভাবে পরীক্ষা নিতেন, যেভাবে পড়াশোনা করাতেন, দেখা গেল যে টেস্ট পরীক্ষার আগেই সিলেবাস শেষ। এমনটা যদি না হতো, তাহলে প্রস্তুতিটা ভালোভাবে সম্পন্ন হতো না। ভিকারুননিসা স্কুলও আমার জন্য অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিল। শিক্ষকরা সবসময় আমাকে উৎসাহিত করতেন। ডাক্তার হওয়ার ভাবনাটা কীভাবে এলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাক্তার হওয়ার জন্য শিক্ষকরাই বেশি মোটিভেশন দিতেন। তাদের জন্যই আমি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। আরেকটা বিষয় হলো যে, আমাদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে আমি প্রথম ডাক্তার হতে চলেছি। তার আগে কেউই ডাক্তার ছিল না। ডাক্তার হতে চাওয়ার এটাও অন্যতম একটি কারণ।
কী বিষয়ে চিকিৎসক হতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে সর্বা বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো ওভাবে ভাবিনি। তবে, কিছুদিন যাবৎ কার্ডিওলজিস্ট হওয়ার ইচ্ছা জেগেছে। যদিও এর আগে অন্য ভাবনা ছিল। দেখা যাক, এমবিবিএস শেষ হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। যারা ভবিষ্যতে এমবিবিএস পরীক্ষা দেবে, তাদের জন্য কোনো পরামর্শ আছে কি না, জানতে চাইলে প্রথম হওয়া এই শিক্ষার্থী বলেন, ভবিষ্যতে যারা পরীক্ষা দেবে, এসএসসি প্রিপারেশনটা পুরোপুরি নিতে হবে। ওটা কমপ্লিট থাকলে পরবর্তী প্রিপারেশন অনেক বেশি সহজ হবে। আরেকটা বিষয় হলো পড়াশোনাটা রেগুলার করতে হবে। একইসঙ্গে একটা গাইডলাইনও খুব জরুরি। আর প্রিপারেশন চলাকালে বেশি বেশি পরীক্ষা দিতে হবে। আমি অনেক বেশি পরীক্ষা দিয়েছি, যার কারণেই আমি মনে হয় এগিয়ে আছি। জানা গেছে, প্রথম হওয়া তানজিম মুনতাকা সর্বা সর্বমোট ৯২.৫ নম্বর পেয়েছেন। রাজধানীর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে, রাজধানীর ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করেন সর্বা। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। বসবাস করেন রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায়।