ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

কারো শূন্যতা অনুভব করানো

  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ‘আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই/কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক…’Ñ নির্মলেন্দু গুণের এই কবিতার মতো করে হয়তো অনেকেই ভাবেন, কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক। আর অপেক্ষা করার একটাই কারণ থাকতে পারে, নিজের শূন্যতা অনুভব করানো। কিন্তু হুট করেই তো আর কেউ কারো শূন্যতা অনুভব করে না। কাউকে নিজের শূন্যতা অনুভব করানো সহজও নয়। তবে মনস্তাত্ত্বিক কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানলে বুঝবেন ব্যাপারটা অতটা কঠিনও নয়! তা হলোÑ
পারফিউমে নিজস্বতা তৈরি: পারফিউমের কারণেও কেউ কাউকে মিস করে। পারফিউম আমাদের জীবনের কোনো না কোনো স্মরণীয় অভিজ্ঞতা ও আবেগের সঙ্গে বেশ গভীরভাবে জড়িয়ে থাকে। তাই এমন একটি পারফিউম বেছে নিনÑ যাতে বিশেষ মানুষটি বিমোহিত হন। বিশেষ মানুষটির সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় যখন সেটি ব্যবহার করবেন, আপনি চলে আসার পরও এর রেশ রয়ে যাবে। মানুষটি আপনার উপস্থিতি ও শূন্যতা বেশি করে অনুভব করবেন।
জিগারনিক ইফেক্ট অনুসরণ: আমরা সাধারণত যে কাজ সম্পন্ন করে ফেলি, সেটির কথা খুব একটা মনে রাখি না। কিন্তু অসম্পন্ন কাজের ব্যাপারে কী করি? সেটা সহজে ভুলে যেতে পারি না। মনস্তত্ত্ববিদ্যায় একে বলে ‘জিগারনিক ইফেক্ট’। এর নামকরণ হয়েছে লিথুনিয়ান-সোভিয়েত মনোবিদ ব্লুমা জিগারনিকের নামানুসারে। জিগারনিক ইফেক্ট কেমন? এই যেমন ধরুন, প্রিয়জনের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা হচ্ছে। সেটা এমন পর্যায়ে আছে, পরের অংশটুকু শোনার জন্য আপনার প্রিয়জন উদ্গ্রীব হয়ে আছেন। কিন্তু আপনি কথাটি শেষ না করে পরে বাকিটুকু আলাপ করবেন বলে চলে আসতে পারেন। এতে করে হবে কি, মানুষটি আপনাদের অসম্পূর্ণ আলাপ নিয়ে একধরনের ভাবনায় ডুবে থাকবেন।
কিছু ফেলে আসা: খুব ক্ষুদ্র কিন্তু আপনার দরকারিÑ এমন কিছু একটা প্রিয় মানুষের কাছে রেখে আসতে পারেন। সেটি একটি নোটবুক, একটি বই কিংবা চুলের ব্যান্ডও হতে পারে। প্রিয় মানুষের হাতে যখন জিনিসটি পড়বে, তখন তিনি বুঝতে পারবেন যে সেটি আপনার দরকারি। এতে তার মধ্যে একধরনের নস্টালজিয়া তৈরি হতে পারে। আপনাকে নিয়ে তখন হয়তো বেশি বেশি ভাববেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থিত থাকা: নিজেকে উপস্থাপনের একটি অন্যতম উপায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সেখানে নিয়মিত আপনার খবরাখবর পোস্ট করতে পারেন। আপনি কী করছেন, কী ভাবছেন—এসব আরকি। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সেটি যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়। প্রিয়জন যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার খবরাখবর দেখবেন, তখন আপনাকে নিয়ে নিশ্চয়ই তিনি ভাববেন।
স্মৃতিময় মুহূর্ত তৈরি: প্রিয়জনের কাছে নিজের শূন্যতা অনুভব করানোর সহজ; কিন্তু শক্তিশালী একটি উপায় হচ্ছে স্মৃতিময় মুহূর্তের জন্ম দেওয়া। দুজন মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, রাস্তার পাশে কোথাও গাড়ি থামিয়ে একান্তে গল্প করা কিংবা কফি শপে বসে কফি খাওয়ার মতো স্মৃতিময় কিছু মুহূর্ত তৈরি করতে পারেন। দেখা যাবে, আপনার অনুপস্থিতিতে সেসব মুহূর্তের কথাই হয়তো প্রিয়জনের মনে বেশি করে বেজে উঠছে।
তথ্য সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিয়ম না মেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১৫ গাড়িচালকের নামে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ

কারো শূন্যতা অনুভব করানো

আপডেট সময় : ১০:৩৩:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ‘আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই/কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক…’Ñ নির্মলেন্দু গুণের এই কবিতার মতো করে হয়তো অনেকেই ভাবেন, কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক। আর অপেক্ষা করার একটাই কারণ থাকতে পারে, নিজের শূন্যতা অনুভব করানো। কিন্তু হুট করেই তো আর কেউ কারো শূন্যতা অনুভব করে না। কাউকে নিজের শূন্যতা অনুভব করানো সহজও নয়। তবে মনস্তাত্ত্বিক কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানলে বুঝবেন ব্যাপারটা অতটা কঠিনও নয়! তা হলোÑ
পারফিউমে নিজস্বতা তৈরি: পারফিউমের কারণেও কেউ কাউকে মিস করে। পারফিউম আমাদের জীবনের কোনো না কোনো স্মরণীয় অভিজ্ঞতা ও আবেগের সঙ্গে বেশ গভীরভাবে জড়িয়ে থাকে। তাই এমন একটি পারফিউম বেছে নিনÑ যাতে বিশেষ মানুষটি বিমোহিত হন। বিশেষ মানুষটির সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় যখন সেটি ব্যবহার করবেন, আপনি চলে আসার পরও এর রেশ রয়ে যাবে। মানুষটি আপনার উপস্থিতি ও শূন্যতা বেশি করে অনুভব করবেন।
জিগারনিক ইফেক্ট অনুসরণ: আমরা সাধারণত যে কাজ সম্পন্ন করে ফেলি, সেটির কথা খুব একটা মনে রাখি না। কিন্তু অসম্পন্ন কাজের ব্যাপারে কী করি? সেটা সহজে ভুলে যেতে পারি না। মনস্তত্ত্ববিদ্যায় একে বলে ‘জিগারনিক ইফেক্ট’। এর নামকরণ হয়েছে লিথুনিয়ান-সোভিয়েত মনোবিদ ব্লুমা জিগারনিকের নামানুসারে। জিগারনিক ইফেক্ট কেমন? এই যেমন ধরুন, প্রিয়জনের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা হচ্ছে। সেটা এমন পর্যায়ে আছে, পরের অংশটুকু শোনার জন্য আপনার প্রিয়জন উদ্গ্রীব হয়ে আছেন। কিন্তু আপনি কথাটি শেষ না করে পরে বাকিটুকু আলাপ করবেন বলে চলে আসতে পারেন। এতে করে হবে কি, মানুষটি আপনাদের অসম্পূর্ণ আলাপ নিয়ে একধরনের ভাবনায় ডুবে থাকবেন।
কিছু ফেলে আসা: খুব ক্ষুদ্র কিন্তু আপনার দরকারিÑ এমন কিছু একটা প্রিয় মানুষের কাছে রেখে আসতে পারেন। সেটি একটি নোটবুক, একটি বই কিংবা চুলের ব্যান্ডও হতে পারে। প্রিয় মানুষের হাতে যখন জিনিসটি পড়বে, তখন তিনি বুঝতে পারবেন যে সেটি আপনার দরকারি। এতে তার মধ্যে একধরনের নস্টালজিয়া তৈরি হতে পারে। আপনাকে নিয়ে তখন হয়তো বেশি বেশি ভাববেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থিত থাকা: নিজেকে উপস্থাপনের একটি অন্যতম উপায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সেখানে নিয়মিত আপনার খবরাখবর পোস্ট করতে পারেন। আপনি কী করছেন, কী ভাবছেন—এসব আরকি। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সেটি যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়। প্রিয়জন যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার খবরাখবর দেখবেন, তখন আপনাকে নিয়ে নিশ্চয়ই তিনি ভাববেন।
স্মৃতিময় মুহূর্ত তৈরি: প্রিয়জনের কাছে নিজের শূন্যতা অনুভব করানোর সহজ; কিন্তু শক্তিশালী একটি উপায় হচ্ছে স্মৃতিময় মুহূর্তের জন্ম দেওয়া। দুজন মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, রাস্তার পাশে কোথাও গাড়ি থামিয়ে একান্তে গল্প করা কিংবা কফি শপে বসে কফি খাওয়ার মতো স্মৃতিময় কিছু মুহূর্ত তৈরি করতে পারেন। দেখা যাবে, আপনার অনুপস্থিতিতে সেসব মুহূর্তের কথাই হয়তো প্রিয়জনের মনে বেশি করে বেজে উঠছে।
তথ্য সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া