নিজস্ব প্রতিবেদক : ৭ জানুয়ারি কোনও নির্বাচন হয়নি। এই নির্বাচনে তিনশ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে কারা নির্বাচিত হবেন তা নির্ধারণ হয়েছে ঢাকার একটি সর্বোচ্চ টেবিলে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ‘৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচনের বিষয়ে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আাবদুল মঈন খান বলেন, সবচেয়ে লজ্জা এবং দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এতদিন সরকার গোপনে ভোট চুরি করলেও এই নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করেছে প্রকাশ্যে, ওপেনে। তারা দিনের আলোতে প্রকাশ্যে আলোচনা করেছে, সিট ভাগাভাগি করেছে কে কোন আসন পাবে। বিশ্বে আ.লীগকে অগণতান্ত্রিক হিসেবে তুলে ধরা বিএনপির উদ্দেশ্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ, জনগণ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে এটা প্রমাণ করা যে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সরকার যেটাতে বিশ্বাস করে সেটা হচ্ছে একদলীয় বাকশালীয় কায়দায় শাসন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টাইমস ম্যাগাজিন বাংলাদেশ সরকারকে নাম দিয়েছে ‘বাকশাল-টু’।
বিএনপি সরকারের নির্বাচনের নানা কর্মকা-ের ২৫০টি ঘটনার ওপর প্রমাণসহ একটি বই বের করেছে জানিয়ে মঈন খান বলেন, একসঙ্গে ভিডিও ক্লিপও রয়েছে। এ ধরনের আরেকটি ভলিয়ম আমরা অল্প কিছু দিনের ভেতর জনগণের সামনে আবার উপস্থাপন করবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।