নিজস্ব প্রতিবেদক : কারারক্ষী পদে বদলি ও নিয়োগে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। কারা মহাপরিদর্শককে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে বিষয়টি জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিট মামলার প্রথমিক শুনানি করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাই কোর্ট বেঞ্চে গতকাল বুধবার এ আদেশ দেয়। একইসাথে রুল জারি করে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছে। আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। সাথে ছিলেন মো. আবুল কালাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। ‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরি ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত!’ শিরোনামে দৈনিক যায়যায়দিনের একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে এই রিট আবেদন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর তিনি জানতে পারেন, প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। পরে তদন্তে ওই জালিয়াতির সত্যতাও পাওয়া যায়। সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে বলে যায়যায়দিনের প্রতিবেদনে জানানো হয়। মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানিতে আরো একাধিক সংবাদ প্রতিবেদনের সারবস্তু উঠে আসে। এ রকম একটি প্রতিবেদনে ২০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হয়। আলোচনায় আসে কারা কর্তৃপক্ষের একটি তদন্তও, সেখানে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়। বুধবার আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন,রিটকারী তার চাকরি ফেরত চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন করেছিলেন। দুই মাসের মধ্যে সেটি নিষ্পত্তি করতে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
কারারক্ষী পদে নিয়োগে অনিয়মে কী ব্যবস্থা: হাই কোর্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ