ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

কারাবন্দি জেএমবি নেতা মন্তেজার রহমানের মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

সংবাদদাতা : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বাসিন্দা কারাবন্দি জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৪) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল বুধবার (১৫ মে) ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জয়পুরহাটের জেল সুপার রীতেশ চাকমা জানান, জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান ২০০৭ সাল থেকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মন্তেজার রহমান কারাবন্দি অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, কিডনির সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত সোমবার তিনি কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। ১৪ মে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গতকাল বুধবার দুপুরে মন্তেজারের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনরা তাকে দাফনের জন্য কবরস্থান প্রস্তুত করছেন। এ সময় বিভিন্ন স্থান থেকে পরিচিত জনরা এসেছেন তাকে দেখতে। তবে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মন্তেজার রহমানের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়নি। পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামে জঙ্গি নেতা মন্তেজারের বাড়িতে জেএমবির শীর্ষ নেতারা গোপনে বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে রাতেই বাড়িটি ঘেরাও করে জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জেএমবির সদস্যরা হামলা চালিয়ে সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তিনটি শর্টগান, ৪৫টি গুলি ও একটি ওয়াকি-টকি ছিনিয়ে নেন তারা। পরে ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ১৯ জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। এজাহারে অস্ত্র লুট, পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশে জখম ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩ আসামি ২০০৪ সালের বিভিন্ন সময়ে আদালত থেকে জামিন পান। এর পর থেকেই তারা পলাতক। তবে ২০০৭ সাল থেকে মন্তেজার রহমান কারাগারে ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

কারাবন্দি জেএমবি নেতা মন্তেজার রহমানের মৃত্যু

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

সংবাদদাতা : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বাসিন্দা কারাবন্দি জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৪) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল বুধবার (১৫ মে) ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জয়পুরহাটের জেল সুপার রীতেশ চাকমা জানান, জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান ২০০৭ সাল থেকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মন্তেজার রহমান কারাবন্দি অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, কিডনির সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত সোমবার তিনি কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। ১৪ মে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গতকাল বুধবার দুপুরে মন্তেজারের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনরা তাকে দাফনের জন্য কবরস্থান প্রস্তুত করছেন। এ সময় বিভিন্ন স্থান থেকে পরিচিত জনরা এসেছেন তাকে দেখতে। তবে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মন্তেজার রহমানের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়নি। পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামে জঙ্গি নেতা মন্তেজারের বাড়িতে জেএমবির শীর্ষ নেতারা গোপনে বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে রাতেই বাড়িটি ঘেরাও করে জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জেএমবির সদস্যরা হামলা চালিয়ে সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তিনটি শর্টগান, ৪৫টি গুলি ও একটি ওয়াকি-টকি ছিনিয়ে নেন তারা। পরে ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ১৯ জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। এজাহারে অস্ত্র লুট, পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশে জখম ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩ আসামি ২০০৪ সালের বিভিন্ন সময়ে আদালত থেকে জামিন পান। এর পর থেকেই তারা পলাতক। তবে ২০০৭ সাল থেকে মন্তেজার রহমান কারাগারে ছিলেন।