ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৭৭, বন্দি ৭০ হাজার

কারাগারে বিপুল পরিমাণ মোবাইল-মাদক-টাকা

  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

সোমবার ঢাকার বকশীবাজারে কারা সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন- ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন কৌশলে শরীরের ভেতরে করে কারাগারের অভ্যন্তরে মোবাইল ফোন প্রবেশ করানো হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ঝটিকা অভিযানে বিপুল পরিমাণ মোবাইল, মাদক ও নগদ টাকা পাওয়া গেছে।
এদিকে ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৭৭ বন্দির, কিন্তু সোমবার (১০ মার্চ) পর্যন্ত ৭০ হাজার ৬৫ জন সারাদেশের কারাগারে বন্দি আছেন বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘কারাগারকে মাদক এবং মোবাইল মুক্ত করার জন্য গত তিন মাসে শুধু কেরানীগঞ্জ কারাগারেই ২৭৫টি ঝটিকা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে কারা অভ্যন্তর থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছোট বাটন ফোন এবং মাদক উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’

বর্তমানে কত জন ডিভিশনে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৫১ জন এখন ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এমপি ও সরকারি কর্মকর্তা এমন ২৪ জন আছেন যারা বিভিন্ন কারণে ডিভিশন পাননি। সুবিধা পাচ্ছেন ৩০ জন। সাবেক সংসদ সদস্য আছেন ৩৮ জন। সরকারি কর্মকর্তা আছেন ৭০ জন এবং অন্যান্য আছেন ১৩ জন।’

সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বন্দিরা বাসার খাবার খাচ্ছেন- এমন তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি কোনো বন্দি বাসার খাবার খাচ্ছেন না। কারাগারের ভেতরে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি। কিন্তু রিমান্ডে অথবা আদালতে তোলার সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তখন তারা নানা কিছু করতে পারে।’

৫ আগস্টের পর পলাতকদের বিষয়ে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘এখনো ৭০০ বন্দি পলাতক আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও জঙ্গি ৭০ জন পলাতকের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৬৯ জন পলাতক আছে। যাদের মধ্যে ৬ জন জঙ্গি, বাকি ৬৩ জন মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি।’

সারা দেশের কারাগারে ৪২ হাজার ৮৭৭ জন বন্দির ধারণক্ষমতা আছে। আজকে পর্যন্ত বন্দি আছে ৭০ হাজার ৬৫ জন বলেও জানান তিনি।

জেলে আটক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে, তিনি স্বাভাবিকভাবেই বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘বিষয়টা আমাদের নজরে আসার পরে আমরা তদন্ত করেছি। আমরা ওনার সঙ্গে কথা বলেছি। ওনার ভাষ্য আমাদের কাছে আছে। তিনি আদালতে এসে চিরকুটটা লিখেছেন। পরে প্রিজন ভ্যানে যাওয়ার সময় কোনো না কোনোভাবে কারও উদ্দেশে ছুড়ে মেরেছেন। এছাড়া ওনারা এক সপ্তাহ পর পর মোবাইলের মাধ্যমে ফোন করার সুবিধা পান। পরিবার অথবা উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’

সাত মাসে ১২ জন চাকরিচ্যুত, শাস্তি পেয়েছে ২৭০: কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেছেন, গত সাত মাসে কারা অধিদপ্তরের ১২ জনকে চাকরিচ্যুত, ৬ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর, ৮৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, ২৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি, ২৬০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, ২৯ জনকে কৈফিয়ত তলব, ২১ জনকে চূড়ান্ত সতর্ক, ৩৯ জনকে তাৎক্ষণিক বদলি এবং ১০২ জনকে প্রশাসনিক কারণে বিভাগের বাইরে বদলি করা হয়েছে।

আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কারা অধিদপ্তরে নিয়ম ভঙ্গকারী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের অতি দ্রুততার সঙ্গে জাবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কারা সদর দপ্তর নিশ্চিত করছে, বর্তমান প্রশাসন প্রমাণসহ যেকোনো ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিন্দুমাত্র বিলম্ব করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোবল বৃদ্ধিসহ তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও নানা পদক্ষপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন ব্যতিত সৎ, যোগ্য, কর্ম উদ্যোমী ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং স্থাপনায় পদায়ন।

এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে-জনবল সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে নতুন ১৮৯৯টি পদ সৃষ্টি করা, দীর্ঘ ১৪ বছর পর সিনিয়র কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জট খোলা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্জিত ছুটি নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রত্যাশা অ্যাপসের মাধ্যমে সর্স্তরের মতামত প্রকাশের ব্যবস্থাকরণ, একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত থেকে অনিয়মের সিন্ডিকেটকারীদের পোস্টিংয়ের আওতায় আনা, সব পদবীর জন্য নতুন প্রশিক্ষণ নীতিমালা প্রণয়ন, সবার মতামত গ্রহণ করে নতুন নিয়োগবিধির খসড়া চূড়ান্তকরণ, স্বাস্থ্য স্কিমের আওতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্ধিত সহায়তা প্রদান, পরিবার নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় আনুতোষিক বৃদ্ধি, টিম ট্র্যাকারের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ।

এছাড়া বাংলাদেশ প্রিজনস অ্যান্ড কারেকশন সার্ভিসেস অ্যাক্টসের খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে জানান আইজি প্রিজন। বলেন, কারা গোয়েন্দা ইউনিটকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া কারা কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে কারা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তা কার্যক্রম বৃদ্ধির উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৭৭, বন্দি ৭০ হাজার

কারাগারে বিপুল পরিমাণ মোবাইল-মাদক-টাকা

আপডেট সময় : ০৫:৫১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন কৌশলে শরীরের ভেতরে করে কারাগারের অভ্যন্তরে মোবাইল ফোন প্রবেশ করানো হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ঝটিকা অভিযানে বিপুল পরিমাণ মোবাইল, মাদক ও নগদ টাকা পাওয়া গেছে।
এদিকে ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৭৭ বন্দির, কিন্তু সোমবার (১০ মার্চ) পর্যন্ত ৭০ হাজার ৬৫ জন সারাদেশের কারাগারে বন্দি আছেন বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘কারাগারকে মাদক এবং মোবাইল মুক্ত করার জন্য গত তিন মাসে শুধু কেরানীগঞ্জ কারাগারেই ২৭৫টি ঝটিকা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে কারা অভ্যন্তর থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছোট বাটন ফোন এবং মাদক উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’

বর্তমানে কত জন ডিভিশনে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৫১ জন এখন ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এমপি ও সরকারি কর্মকর্তা এমন ২৪ জন আছেন যারা বিভিন্ন কারণে ডিভিশন পাননি। সুবিধা পাচ্ছেন ৩০ জন। সাবেক সংসদ সদস্য আছেন ৩৮ জন। সরকারি কর্মকর্তা আছেন ৭০ জন এবং অন্যান্য আছেন ১৩ জন।’

সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বন্দিরা বাসার খাবার খাচ্ছেন- এমন তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি কোনো বন্দি বাসার খাবার খাচ্ছেন না। কারাগারের ভেতরে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি। কিন্তু রিমান্ডে অথবা আদালতে তোলার সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তখন তারা নানা কিছু করতে পারে।’

৫ আগস্টের পর পলাতকদের বিষয়ে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘এখনো ৭০০ বন্দি পলাতক আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও জঙ্গি ৭০ জন পলাতকের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৬৯ জন পলাতক আছে। যাদের মধ্যে ৬ জন জঙ্গি, বাকি ৬৩ জন মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি।’

সারা দেশের কারাগারে ৪২ হাজার ৮৭৭ জন বন্দির ধারণক্ষমতা আছে। আজকে পর্যন্ত বন্দি আছে ৭০ হাজার ৬৫ জন বলেও জানান তিনি।

জেলে আটক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে, তিনি স্বাভাবিকভাবেই বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘বিষয়টা আমাদের নজরে আসার পরে আমরা তদন্ত করেছি। আমরা ওনার সঙ্গে কথা বলেছি। ওনার ভাষ্য আমাদের কাছে আছে। তিনি আদালতে এসে চিরকুটটা লিখেছেন। পরে প্রিজন ভ্যানে যাওয়ার সময় কোনো না কোনোভাবে কারও উদ্দেশে ছুড়ে মেরেছেন। এছাড়া ওনারা এক সপ্তাহ পর পর মোবাইলের মাধ্যমে ফোন করার সুবিধা পান। পরিবার অথবা উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’

সাত মাসে ১২ জন চাকরিচ্যুত, শাস্তি পেয়েছে ২৭০: কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেছেন, গত সাত মাসে কারা অধিদপ্তরের ১২ জনকে চাকরিচ্যুত, ৬ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর, ৮৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, ২৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি, ২৬০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, ২৯ জনকে কৈফিয়ত তলব, ২১ জনকে চূড়ান্ত সতর্ক, ৩৯ জনকে তাৎক্ষণিক বদলি এবং ১০২ জনকে প্রশাসনিক কারণে বিভাগের বাইরে বদলি করা হয়েছে।

আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কারা অধিদপ্তরে নিয়ম ভঙ্গকারী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের অতি দ্রুততার সঙ্গে জাবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কারা সদর দপ্তর নিশ্চিত করছে, বর্তমান প্রশাসন প্রমাণসহ যেকোনো ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিন্দুমাত্র বিলম্ব করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোবল বৃদ্ধিসহ তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও নানা পদক্ষপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন ব্যতিত সৎ, যোগ্য, কর্ম উদ্যোমী ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং স্থাপনায় পদায়ন।

এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে-জনবল সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে নতুন ১৮৯৯টি পদ সৃষ্টি করা, দীর্ঘ ১৪ বছর পর সিনিয়র কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জট খোলা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্জিত ছুটি নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রত্যাশা অ্যাপসের মাধ্যমে সর্স্তরের মতামত প্রকাশের ব্যবস্থাকরণ, একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত থেকে অনিয়মের সিন্ডিকেটকারীদের পোস্টিংয়ের আওতায় আনা, সব পদবীর জন্য নতুন প্রশিক্ষণ নীতিমালা প্রণয়ন, সবার মতামত গ্রহণ করে নতুন নিয়োগবিধির খসড়া চূড়ান্তকরণ, স্বাস্থ্য স্কিমের আওতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্ধিত সহায়তা প্রদান, পরিবার নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় আনুতোষিক বৃদ্ধি, টিম ট্র্যাকারের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ।

এছাড়া বাংলাদেশ প্রিজনস অ্যান্ড কারেকশন সার্ভিসেস অ্যাক্টসের খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে জানান আইজি প্রিজন। বলেন, কারা গোয়েন্দা ইউনিটকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া কারা কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে কারা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তা কার্যক্রম বৃদ্ধির উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।