নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন কারাগারে গলায় ফাঁস দিয়েছেন বলে ভাষ্য কর্তৃপক্ষের।
রোববার (১৫ জুন) বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. ফারুক। সাইদুর রহমানে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি ছিলেন।
কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেন, সাইদুর রহমান সুজন সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে আরো দুই বন্দির সঙ্গে ছিলেন। (রোববার) সকালে সুজন নাস্তাও করেছেন। এরপর একজনের হাজিরা থাকায় আদালতে যায় এবং আরেকজন ঘুমাচ্ছিলেন। এই সুযোগে সুজন নিজের ব্যবহৃত গামছা দিয়ে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে আমরা দ্রুততম সময়েই তাকে উদ্ধার করে কারা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
সুজনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্ভবত অবসাদগ্রস্ত হয়ে তিনি এমন কাজ করতে পারেন। কিন্তু এটি অবশ্যই অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা তদন্ত কমিটি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরা থেকে সুজনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। সেদিন রাতেই তাকে সাভার থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর সাভারের রাজপথে গুলি চালানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সাইদুর রহমান সুজনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।
পটপরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে সাভার থানায় অন্তত ১৪টি মামলা করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও বিচার চলতে থাকা সুজন তখন থেকে কারাবন্দি ছিলেন। এর আগেও ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে সাইদুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।