ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

কারাগারে পড়ার জন্য আইনের বই চাইলেন পলক

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

সোমবার সকালে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, জুনাইদ আহ্মেদ পলক ও শাহে আলম মুরাদকে (বাঁ থেকে) আদালতে নেওয়ার সময়ের ছবিটি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাগারে বই পড়ে সময় কাটছে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের। আইনবিষয়ক বই তিনি পড়তে চেয়েছেন। তাঁর আইনজীবীদের কাছে পাঁচটি বই চেয়েছেন।

সোমবার (২৬ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের কাঠগড়ায় নিজের আইনজীবীদের এসব কথা জানান পলক। তিনি সোমবার আদালতে নেওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ বই ছাড়া যেকোনো ধরনের বই কারাবন্দীরা কারাগারে নিয়ে আসতে পারেন। তবে সরবরাহের আগে কারা কর্তৃপক্ষ সেসব বই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। সবকিছু যাচাইয়ের পর বইগুলো সংশ্লিষ্ট কারাবন্দীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রায় ৯ মাস কারাগারে রয়েছেন পলক। যখনই তিনি আদালতে এসেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে সোমবার ছিল ব্যতিক্রম। এদিন তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।

কেন আইনের বই চেয়েছেন: সকাল সাড়ে ১০টার পর পলককে আদালতের এজলাসে তোলা হয়। তাঁর সামনে দুজন আইনজীবী দাঁড়িয়েছিলেন। একজন তরিকুল ইসলাম, অন্যজন ফারজানা ইয়াসমিন। পলক ফারজানা ইয়াসমিনকে ডেকে বলেন, ‘আমাকে কারাগারে কয়েকটি বই পৌঁছে দেবে।’ তখন ফারজানা পলককে বলেন, ‘কী কী বই আপনাকে দিতে হবে।’

পলক ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি), দেওয়ানি কার্যবিধি (সিপিসি), দণ্ডবিধি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে উন্নয়নের দর্শন এবং জাতীয় সংসদে জুনাইদ আহ্মেদ পলক-এই পাঁচ বই চান।

পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জুনাইদ আহ্মেদ পলক এখন আইনের বই পড়ছেন। তিনি পেশায় আইনজীবী। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি উচ্চ আদালত এবং জজ কোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকেই তাঁর আইনচর্চা কমে যায়। কারাগারে যাওয়ার পর তিনি আবার আইনের বই পড়া শুরু করেছেন।’

একই কারাগারে২৬ ভিআইপি কারাবন্দী: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গত বছরের ১৪ আগস্ট গ্রেফতার হন পলক। এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেবল হাই সিকিউরিটি কারাগারে পলকের মতো ২৬ জন ভিআইপি কারাবন্দী রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রথম শ্রেণির কারাবন্দীর মর্যাদা ভোগ করছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আমির হোসেন আমু, হাজী সেলিম।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক (সিনিয়র জেল সুপার) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার কারাগারে জুনাইদ আহ্মেদ পলকসহ ২৬ জন ভিআইপি কারাবন্দী রয়েছেন। জেল কোড অনুযায়ী, একজন প্রথম শ্রেণির কারাবন্দী একটি বিশেষ কক্ষে থাকার সুযোগ পান। সেখানে একটি খাট আছে, একটি টেবিল ও চেয়ার আছে। আরো আছে টিভি এবং একটি জাতীয় পত্রিকা।’

কারা তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, ‘একজন প্রথম শ্রেণির কারাবন্দীর খাবারের মেনুতে থাকে মাছ কিংবা মাংস। আবার কেউ চাইলে কারাগারের ক্যানটিন থেকেও খাবার কিনে খেতে পারেন। খাবারের সুবিধার পাশাপাশি আমাদের কারাগারে একটি লাইব্রেরিও আছে। আমাদের লাইব্রেরিতে দুই হাজারের বেশি বই আছে।’

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জানান, কারাবিধি অনুযায়ী, সূর্যোদয়ের পর কারাবন্দীদের সেলগুলো খুলে দেওয়া হয়। তখন বন্দীরা যে যাঁর কাজে যুক্ত হন। ভিআইপি বন্দীদের সেলও সূর্যোদয়ের পর খোলা হয়। তখন ভিআইপি বন্দীরাও নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলার সুযোগ পান।

মুরাদ কেমন আছেন, জিজ্ঞাসা আনিসুলের: প্রায় ৯ মাস আগে গ্রেফতার হওয়া আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হয়। যখন তাঁদের আদালতে তোলা হয়, তখন দুজনই মাথা নিচু করে ছিলেন। একাধিক গণমাধ্যমকর্মী আনিসুল হকের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি।

আনিসুল ও সালমান কাঠগড়ায় তাঁদের নিজ নিজ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কতগুলো ও কী কী মামলা হয়েছে, সেসব তথ্য তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন। সালমান এফ রহমান তাঁর চশমাটি পরিবর্তন করে দেওয়ার কথা বলেন। শুনানির একপর্যায়ে আনিসুল হক কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদকে দেখে কাছে ডাকেন। তিনি কেমন আছেন, জানতে চান। মুরাদ জানান, তিনি ভালো আছেন। পলকও মুরাদের সঙ্গে একান্তে কিছুক্ষণ কথা বলেন। প্রায় ৩০ মিনিট শুনানি শেষ হওয়ার পর তাঁদের কাঠগড়া থেকে আবার হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সোমবার সালমান এফ রহমানসহ চারজনকে আরো নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া নিউমার্কেট থানায় করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কারাগারে পড়ার জন্য আইনের বই চাইলেন পলক

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাগারে বই পড়ে সময় কাটছে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের। আইনবিষয়ক বই তিনি পড়তে চেয়েছেন। তাঁর আইনজীবীদের কাছে পাঁচটি বই চেয়েছেন।

সোমবার (২৬ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের কাঠগড়ায় নিজের আইনজীবীদের এসব কথা জানান পলক। তিনি সোমবার আদালতে নেওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ বই ছাড়া যেকোনো ধরনের বই কারাবন্দীরা কারাগারে নিয়ে আসতে পারেন। তবে সরবরাহের আগে কারা কর্তৃপক্ষ সেসব বই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। সবকিছু যাচাইয়ের পর বইগুলো সংশ্লিষ্ট কারাবন্দীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রায় ৯ মাস কারাগারে রয়েছেন পলক। যখনই তিনি আদালতে এসেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে সোমবার ছিল ব্যতিক্রম। এদিন তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।

কেন আইনের বই চেয়েছেন: সকাল সাড়ে ১০টার পর পলককে আদালতের এজলাসে তোলা হয়। তাঁর সামনে দুজন আইনজীবী দাঁড়িয়েছিলেন। একজন তরিকুল ইসলাম, অন্যজন ফারজানা ইয়াসমিন। পলক ফারজানা ইয়াসমিনকে ডেকে বলেন, ‘আমাকে কারাগারে কয়েকটি বই পৌঁছে দেবে।’ তখন ফারজানা পলককে বলেন, ‘কী কী বই আপনাকে দিতে হবে।’

পলক ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি), দেওয়ানি কার্যবিধি (সিপিসি), দণ্ডবিধি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে উন্নয়নের দর্শন এবং জাতীয় সংসদে জুনাইদ আহ্মেদ পলক-এই পাঁচ বই চান।

পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জুনাইদ আহ্মেদ পলক এখন আইনের বই পড়ছেন। তিনি পেশায় আইনজীবী। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি উচ্চ আদালত এবং জজ কোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকেই তাঁর আইনচর্চা কমে যায়। কারাগারে যাওয়ার পর তিনি আবার আইনের বই পড়া শুরু করেছেন।’

একই কারাগারে২৬ ভিআইপি কারাবন্দী: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গত বছরের ১৪ আগস্ট গ্রেফতার হন পলক। এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেবল হাই সিকিউরিটি কারাগারে পলকের মতো ২৬ জন ভিআইপি কারাবন্দী রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রথম শ্রেণির কারাবন্দীর মর্যাদা ভোগ করছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আমির হোসেন আমু, হাজী সেলিম।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক (সিনিয়র জেল সুপার) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার কারাগারে জুনাইদ আহ্মেদ পলকসহ ২৬ জন ভিআইপি কারাবন্দী রয়েছেন। জেল কোড অনুযায়ী, একজন প্রথম শ্রেণির কারাবন্দী একটি বিশেষ কক্ষে থাকার সুযোগ পান। সেখানে একটি খাট আছে, একটি টেবিল ও চেয়ার আছে। আরো আছে টিভি এবং একটি জাতীয় পত্রিকা।’

কারা তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, ‘একজন প্রথম শ্রেণির কারাবন্দীর খাবারের মেনুতে থাকে মাছ কিংবা মাংস। আবার কেউ চাইলে কারাগারের ক্যানটিন থেকেও খাবার কিনে খেতে পারেন। খাবারের সুবিধার পাশাপাশি আমাদের কারাগারে একটি লাইব্রেরিও আছে। আমাদের লাইব্রেরিতে দুই হাজারের বেশি বই আছে।’

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জানান, কারাবিধি অনুযায়ী, সূর্যোদয়ের পর কারাবন্দীদের সেলগুলো খুলে দেওয়া হয়। তখন বন্দীরা যে যাঁর কাজে যুক্ত হন। ভিআইপি বন্দীদের সেলও সূর্যোদয়ের পর খোলা হয়। তখন ভিআইপি বন্দীরাও নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলার সুযোগ পান।

মুরাদ কেমন আছেন, জিজ্ঞাসা আনিসুলের: প্রায় ৯ মাস আগে গ্রেফতার হওয়া আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হয়। যখন তাঁদের আদালতে তোলা হয়, তখন দুজনই মাথা নিচু করে ছিলেন। একাধিক গণমাধ্যমকর্মী আনিসুল হকের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি।

আনিসুল ও সালমান কাঠগড়ায় তাঁদের নিজ নিজ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কতগুলো ও কী কী মামলা হয়েছে, সেসব তথ্য তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন। সালমান এফ রহমান তাঁর চশমাটি পরিবর্তন করে দেওয়ার কথা বলেন। শুনানির একপর্যায়ে আনিসুল হক কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদকে দেখে কাছে ডাকেন। তিনি কেমন আছেন, জানতে চান। মুরাদ জানান, তিনি ভালো আছেন। পলকও মুরাদের সঙ্গে একান্তে কিছুক্ষণ কথা বলেন। প্রায় ৩০ মিনিট শুনানি শেষ হওয়ার পর তাঁদের কাঠগড়া থেকে আবার হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সোমবার সালমান এফ রহমানসহ চারজনকে আরো নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া নিউমার্কেট থানায় করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।