ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

কারখানা খুলে দেওয়ার শর্তে মহাসড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা

  • আপডেট সময় : ০৬:১৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর সংবাদদাতা : কারখানা খুলে দেওয়ার শর্তে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছেড়েছেন গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী-কাশিমপুর জোনের সরকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার কারখানা খুলে দেওয়ার শর্তে গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান শ্রমিকরা। পুলিশ, কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসী জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেলে শ্রমিকদের সাথে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে- এমন শর্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়।

কিন্তু শ্রমিকরা তা মেনে নেয়নি। পরে সোমবার সকালে কারখানা দুটির শ্রমিকরা পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শ্রমিকরা বিনা শর্তে কারখানা খুলে দেওয়া ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পরে কর্তৃপক্ষ ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। গত ৩ নভেম্বর শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আঘাত করেন শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে মালিকপক্ষ নিঃশর্তভাবে দাবি মেনে নিলে দুপুরে মহাসড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। আজ থেকে তারা কাজে যোগ দেবেন।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

কারখানা খুলে দেওয়ার শর্তে মহাসড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা

আপডেট সময় : ০৬:১৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজীপুর সংবাদদাতা : কারখানা খুলে দেওয়ার শর্তে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছেড়েছেন গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী-কাশিমপুর জোনের সরকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার কারখানা খুলে দেওয়ার শর্তে গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান শ্রমিকরা। পুলিশ, কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসী জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেলে শ্রমিকদের সাথে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে- এমন শর্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়।

কিন্তু শ্রমিকরা তা মেনে নেয়নি। পরে সোমবার সকালে কারখানা দুটির শ্রমিকরা পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শ্রমিকরা বিনা শর্তে কারখানা খুলে দেওয়া ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পরে কর্তৃপক্ষ ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। গত ৩ নভেম্বর শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আঘাত করেন শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে মালিকপক্ষ নিঃশর্তভাবে দাবি মেনে নিলে দুপুরে মহাসড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। আজ থেকে তারা কাজে যোগ দেবেন।