ঢাকা ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

কামরাঙ্গীরচরে বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার

  • আপডেট সময় : ০২:১৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁওয়ের তিন নম্বর ঘাট এলাকার একটি বাসা থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা হলেন ফুলবাসী দাস (৩৪) এবং তার ১১ বছরের মেয়ে সুমি দাস। এ ঘটনায় ফুলবাসীর স্বামী মোহন্দ্র চন্দ্র দাস এবং আরেক মেয়ে ঝুমা দাসকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ বলেছে, তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। ১০ বছর ধরে পরিবারটি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বসবাস করছে।
ফুলবাসীর স্বামী মোহন্দ্র চন্দ্র কখনো মাছ বিক্রি করেন, আবার কখনো দিনমজুরের কাজ করেন বলে জানান কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘তারা নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। একটি কক্ষেই পরিবারের সবাই থাকেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঝুমা দাস ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার বাবা মেঝেতে বসে আছেন। মা এবং বোনের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে।’ ঝুমা দাস জানিয়েছেন, রাতে তার বাবা মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে একটি রশি পাওয়া গেছে। দুজনের মরদেহের গলায় দাগ পাওয়া গেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, এখনই বলা সম্ভব নয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পরিবারটিতে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন ছিল। এ নিয়ে পারিবারিক কলহও ছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কামরাঙ্গীরচরে বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০২:১৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁওয়ের তিন নম্বর ঘাট এলাকার একটি বাসা থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা হলেন ফুলবাসী দাস (৩৪) এবং তার ১১ বছরের মেয়ে সুমি দাস। এ ঘটনায় ফুলবাসীর স্বামী মোহন্দ্র চন্দ্র দাস এবং আরেক মেয়ে ঝুমা দাসকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ বলেছে, তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। ১০ বছর ধরে পরিবারটি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বসবাস করছে।
ফুলবাসীর স্বামী মোহন্দ্র চন্দ্র কখনো মাছ বিক্রি করেন, আবার কখনো দিনমজুরের কাজ করেন বলে জানান কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘তারা নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। একটি কক্ষেই পরিবারের সবাই থাকেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঝুমা দাস ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার বাবা মেঝেতে বসে আছেন। মা এবং বোনের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে।’ ঝুমা দাস জানিয়েছেন, রাতে তার বাবা মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে একটি রশি পাওয়া গেছে। দুজনের মরদেহের গলায় দাগ পাওয়া গেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, এখনই বলা সম্ভব নয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পরিবারটিতে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন ছিল। এ নিয়ে পারিবারিক কলহও ছিল।