ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

কাবুল বিমানবন্দরে হামলায় নিহত বেড়ে ১১০

  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান প্রদেশ শাখার ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাবুল বিমানবন্দরের আবে ফটকে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটে। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও তাদের আফগান মিত্রদের ‘লক্ষ্যবস্তু’ বানিয়ে তারা আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটেছে বিমানবন্দর লাগোয়া ব্যারন ক্যাম্পের ভেতরের জটলা থেকে। যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছেন, তারাই ব্যারন ক্যাম্পে জড়ো হয়েছিলেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউজে ব্রিফিংকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলাকারীদের খুঁজে বের করার হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের কাছে হার মানবে না। আমরা তোমাদের ক্ষমা করবো না। আমরা (এ ঘটনা) ভুলে যাবো না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবোই এবং তোমাদের এর মূল্য দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ১৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত লাখের বেশি মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। কাবুল বিমানবন্দর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে এখনও।
কাবুল বিস্ফোরণে তালেবানের মৃত্যু নিয়ে দুই রকম খবর : কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে তালেবানের কেউ আছে কি না, সে বিষয়ে দুই রকম খবর এসেছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ শুক্রবার বিবিসি পশতুকে বলেছেন, তাদের কেউ ওই ঘটনায় নিহত হননি। যেখানে ওই বোমা হামলা হয়েছে, সেটা মার্কিন বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকা। অথচ এর কয়েক ঘণ্টা আগে তালেবানের আরেক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, তাদের অন্তত ২৮ জন রয়েছেন বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে। ‘আমেরিকানদের চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে আমাদের,’ বলেছিলেন ওই আফগান কর্মকর্তা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ওই হামলায় অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫০ জন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। তালেবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো তাদের সৈন্যদের পাশাপাশি নিজেদের বেসামরিক নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। হাজার হাজার আফগানও দেশ ছাড়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে অপেক্ষা করছেন প্রতিদিন। ফলে সেখানে এক নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের বাইরে পরপর দুটি বড় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সৈন্যরা বিমানবন্দরের ভেতরের অংশ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আর তালেবান যোদ্ধারা বিমানবন্দরের বাইরের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। বৃহস্পতিবারও তারা বলেছিল, কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষারত হাজার হাজার মানুষকে নিরাপত্তা দিতে তারা প্রস্তুত।
কাবুলে হামলাকারী কারা এ আইএস ক? ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে ভয়াবহ বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১১০ জন। আহত আরও দেড় শতাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে। কিন্তু কারা আসলে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস-কে? তাদের হামলার উদ্দেশ্য বা কি ছিল?
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আফগানিস্তানের কাবুলে হামলা চালানো আইএস-কে সংগঠনটির পূর্ণ নাম ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান। জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর আঞ্চলিক সহযোগী শাখা হিসেবে কাজ করছে তারা। বর্তমান আফগানিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ে প্রাচীন আমলে যে অঞ্চল সেটিই খোরাসান নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে আইএস-কে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে। কয়েক বছর ধরে সহিংস ঘটনার পেছনে এই গোষ্ঠীটি দায়ী বলে অভিযোগ পাওয়া যায় এর আগে। বিশেষ করে তারা স্কুলছাত্রীদের ওপর হামলা এমনকি হাসপাতালে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছিল। এখন তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটাও ধারণা করা হয় যে, আইএস-কে’র তালেবানের তৃতীয় পক্ষ হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে তালেবানের সঙ্গে তাদের বড় পার্থক্যও বিদ্যমান। তারা অভিযোগ করে গোপন চুক্তির অংশ হিসেবে আমেরিকানরা আফগানিস্তানকে তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আইএস এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটি আগামী তালেবান সরকারের জন্যও অশনিসংকেত। ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলে নেওয়ার পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি পালিয়ে যাওয়ার কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তালেবান সরকার গঠনের কাজ শুরু করলেও আঞ্চলিক কয়েকটি সংগঠন তালেবানের বিরোধীতা শুরু করে। তালেবানের পূর্বের শাসনকাল নিয়ে জনমনে এক ধরনের অস্বস্তি তো আছেই। এর মাঝেই বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিলো আইএস-কে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাবুল বিমানবন্দরে হামলায় নিহত বেড়ে ১১০

আপডেট সময় : ০৮:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান প্রদেশ শাখার ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাবুল বিমানবন্দরের আবে ফটকে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটে। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও তাদের আফগান মিত্রদের ‘লক্ষ্যবস্তু’ বানিয়ে তারা আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটেছে বিমানবন্দর লাগোয়া ব্যারন ক্যাম্পের ভেতরের জটলা থেকে। যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছেন, তারাই ব্যারন ক্যাম্পে জড়ো হয়েছিলেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউজে ব্রিফিংকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলাকারীদের খুঁজে বের করার হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের কাছে হার মানবে না। আমরা তোমাদের ক্ষমা করবো না। আমরা (এ ঘটনা) ভুলে যাবো না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবোই এবং তোমাদের এর মূল্য দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ১৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত লাখের বেশি মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। কাবুল বিমানবন্দর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে এখনও।
কাবুল বিস্ফোরণে তালেবানের মৃত্যু নিয়ে দুই রকম খবর : কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে তালেবানের কেউ আছে কি না, সে বিষয়ে দুই রকম খবর এসেছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ শুক্রবার বিবিসি পশতুকে বলেছেন, তাদের কেউ ওই ঘটনায় নিহত হননি। যেখানে ওই বোমা হামলা হয়েছে, সেটা মার্কিন বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকা। অথচ এর কয়েক ঘণ্টা আগে তালেবানের আরেক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, তাদের অন্তত ২৮ জন রয়েছেন বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে। ‘আমেরিকানদের চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে আমাদের,’ বলেছিলেন ওই আফগান কর্মকর্তা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ওই হামলায় অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫০ জন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। তালেবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো তাদের সৈন্যদের পাশাপাশি নিজেদের বেসামরিক নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। হাজার হাজার আফগানও দেশ ছাড়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে অপেক্ষা করছেন প্রতিদিন। ফলে সেখানে এক নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের বাইরে পরপর দুটি বড় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সৈন্যরা বিমানবন্দরের ভেতরের অংশ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আর তালেবান যোদ্ধারা বিমানবন্দরের বাইরের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। বৃহস্পতিবারও তারা বলেছিল, কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষারত হাজার হাজার মানুষকে নিরাপত্তা দিতে তারা প্রস্তুত।
কাবুলে হামলাকারী কারা এ আইএস ক? ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে ভয়াবহ বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১১০ জন। আহত আরও দেড় শতাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে। কিন্তু কারা আসলে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস-কে? তাদের হামলার উদ্দেশ্য বা কি ছিল?
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আফগানিস্তানের কাবুলে হামলা চালানো আইএস-কে সংগঠনটির পূর্ণ নাম ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান। জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর আঞ্চলিক সহযোগী শাখা হিসেবে কাজ করছে তারা। বর্তমান আফগানিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ে প্রাচীন আমলে যে অঞ্চল সেটিই খোরাসান নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে আইএস-কে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে। কয়েক বছর ধরে সহিংস ঘটনার পেছনে এই গোষ্ঠীটি দায়ী বলে অভিযোগ পাওয়া যায় এর আগে। বিশেষ করে তারা স্কুলছাত্রীদের ওপর হামলা এমনকি হাসপাতালে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছিল। এখন তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটাও ধারণা করা হয় যে, আইএস-কে’র তালেবানের তৃতীয় পক্ষ হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে তালেবানের সঙ্গে তাদের বড় পার্থক্যও বিদ্যমান। তারা অভিযোগ করে গোপন চুক্তির অংশ হিসেবে আমেরিকানরা আফগানিস্তানকে তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আইএস এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটি আগামী তালেবান সরকারের জন্যও অশনিসংকেত। ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলে নেওয়ার পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি পালিয়ে যাওয়ার কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তালেবান সরকার গঠনের কাজ শুরু করলেও আঞ্চলিক কয়েকটি সংগঠন তালেবানের বিরোধীতা শুরু করে। তালেবানের পূর্বের শাসনকাল নিয়ে জনমনে এক ধরনের অস্বস্তি তো আছেই। এর মাঝেই বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিলো আইএস-কে।