আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দেশটির নাগরিকদের বহনকারী ফ্লাইট নামতে দিতে অস্বীকার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ফ্লাইটের আয়োজকরা জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনা শতাধিক মার্কিন নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী ব্যক্তিকে বহন করছিল ভাড়া করা ওই উড়োজাহাজটি।
অলাভজনক গোষ্ঠী প্রজেক্ট ডায়নামোর প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান স্টার্ন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রটেকশন সংস্থার বিষয়ে বলেন, “তারা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে থাকা একটি ভাড়া বিমানকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে প্রবেশের অনুমোদন দেবে না।” আফগানিস্তানের বেসরকারি এয়ারলাইন কাম এয়ার থেকে তার সংস্থার ভাড়া করা একটি বিমান থেকে স্টার্ন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি জানান, কাবুল থেকে ৫৯টি শিশুসহ ১১৭ জন লোককে নিয়ে আবু ধাবি বিমানবন্দরে আসার পর থেকে ১৪ ঘণ্টা ধরে তিনি সেখানে বসে আছেন। গত মাসে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লোকজনকে সরিয়ে আনার সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর অভিজ্ঞরা, বর্তমান, সাবেক যেসব কর্মকর্তা ও অন্যরা এগিয়ে এসেছিলেন তাদের তৈরি তাৎক্ষণিক নেটওয়ার্কের একটি হল স্টার্নের প্রজেক্ট ডায়নামো গোষ্ঠী। কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতিকে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ও সরিয়ে আনার ওই পরিকল্পনা দুর্বল ছিল বলে মনে করেন তারা।
স্টার্ন জানান, কাম এয়ারের ফ্লাইটে ২৮ জন মার্কিন, ৮৩ জন গ্রিন কার্ডধারী ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসন ভিসা পাওয়া ছয় আফগান ছিলেন। এদের ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের যুক্তরাষ্ট্রগামী ভাড়া করা একটি উড়োজাহাজে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্লাইটটিকে নিউ ইয়র্ক শহরের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার অনুমতি দিয়েছিল কাস্টমস। কিন্তু এরপর ওই অনুমতি পরিবর্তন করে ওয়াশিংটনের কাছে ডলাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার অনুমতি দেয় আর তারপর উড়োজাহাজটির যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও নামার অধিকার অস্বীকার করে কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রটেকশন।
“আমার কাছে বড়, সুন্দর, বিশাল, প্রকা- একটি বোয়িং ৭৮৭ আছে যা আমাদের সমানে দাঁড়িয়েছে আছে। আমার সঙ্গে ক্রু আছে, খাবার আছে,” বলেন স্টার্ন।
তিনি জানান, কাবুল বিমানবন্দর থেকে এই যাত্রীদের সরিয়ে আনতে একটি ভাড়া বিমান পাঠানোর জন্য তালেবান পরিচালিত আফগান সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সংগ্রহ করে দিয়েছেন সেখানকার মধ্যস্থতাকারীরা।
স্টার্নের অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ডিএইচএসের কাছে রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন, তারা এই ঘটনার বিষয়ে জানেন না, কিন্তু কোনো ভাড়া উড়োজাহাজকে যুক্তরাষ্ট্রে নামার অনুমতি দেওয়ার আগে ফ্লাইটের যাত্রী, ক্রু ও মালামাল যাচাই করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সাধারণত সময় নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন জানিয়েছে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সরিয়ে আনা অভিযানে যারা আফগানিস্তান ছাড়তে পারেননি সেইসব মার্কিন নাগরিক ও গ্রিন কার্ডধারীদের ফিরিয়ে আনাকে শীর্ষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে তারা।
কাবুল থেকে নাগরিকদের নিয়ে আসা ফ্লাইটকে ‘যুক্তরাষ্ট্রে নামতে বাধা’
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ