ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

কাবুলে স্কুলে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৫৫

  • আপডেট সময় : ১২:৩০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পশ্চিমে একটি শিয়া জেলার স্কুলের পাশে বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই তরুণ স্কুল ছাত্র। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দেড় শতাধিক মানুষ। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান জানিয়েছেন, শনিবারের দাস্ত-ই-বারচির শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ পাড়ার সৈয়দ আল-শাহদা বিদ্যালয়ের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। হামলার কারণ কিংবা এর লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হতাহতের বেশিরভাগই সৈয়দ উল শুহাদা স্কুল থেকে বেরিয়ে আসা শিক্ষার্থী। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। টিভি চ্যানেল টলোনিউজের ফুটেজে বিশৃঙ্খলার দৃশ্য দেখানো হয়েছিল, সেখানে দেখা গেছে- বিস্ফোরণস্থলে রাস্তা জুড়ে রক্ত, বই ও স্কুল ব্যাগ। বাসিন্দারা হতাহতদের সহায়তার জন্য ছোটাছুটি করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ছিল যা স্কুল প্রবেশের সামনে ঘটেছিল। নিহতদের মধ্যে সাত বা আটজন ছাড়া সকলেই স্কুল শিক্ষার্থী, তারা স্কুল শেষ করে বাড়ি যাচ্ছিল।’
কাবুল থেকে আল জাজিরার রিপোর্টার ফিলিও কন্টাফোরি জানান, আফগানিস্তানের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে হামলার এই ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। শত শত স্কুল শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত ছিল বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আল জাজিরার রিপোর্টার জানান, পর পর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। স্কুল থেকে ফেরা বালিকারা ভয়ে চিৎকার করছিল এবং দৌঁড়াচ্ছিল। অন্যরা আহতদের হাসপাতালে নিতে সাহায্য করছিল। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কাবুল। আফগান কর্মকর্তারা বলছেন, এরপর থেকে তালেবান হামলার সংখ্যা বাড়িয়েছে। তবে শনিবারের এই হামলার দায় তালেবান কিংবা কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তালেবান বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে। হামলাটি হয়েছে কাবুল থেকে পশ্চিমে শিয়া অধ্যূষিত একটি এলাকায়। যেখানে ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রায়শই হামলা চালায়। তবে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এই হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাবুলে স্কুলে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৫৫

আপডেট সময় : ১২:৩০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পশ্চিমে একটি শিয়া জেলার স্কুলের পাশে বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই তরুণ স্কুল ছাত্র। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দেড় শতাধিক মানুষ। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান জানিয়েছেন, শনিবারের দাস্ত-ই-বারচির শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ পাড়ার সৈয়দ আল-শাহদা বিদ্যালয়ের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। হামলার কারণ কিংবা এর লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হতাহতের বেশিরভাগই সৈয়দ উল শুহাদা স্কুল থেকে বেরিয়ে আসা শিক্ষার্থী। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। টিভি চ্যানেল টলোনিউজের ফুটেজে বিশৃঙ্খলার দৃশ্য দেখানো হয়েছিল, সেখানে দেখা গেছে- বিস্ফোরণস্থলে রাস্তা জুড়ে রক্ত, বই ও স্কুল ব্যাগ। বাসিন্দারা হতাহতদের সহায়তার জন্য ছোটাছুটি করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ছিল যা স্কুল প্রবেশের সামনে ঘটেছিল। নিহতদের মধ্যে সাত বা আটজন ছাড়া সকলেই স্কুল শিক্ষার্থী, তারা স্কুল শেষ করে বাড়ি যাচ্ছিল।’
কাবুল থেকে আল জাজিরার রিপোর্টার ফিলিও কন্টাফোরি জানান, আফগানিস্তানের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে হামলার এই ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। শত শত স্কুল শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত ছিল বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আল জাজিরার রিপোর্টার জানান, পর পর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। স্কুল থেকে ফেরা বালিকারা ভয়ে চিৎকার করছিল এবং দৌঁড়াচ্ছিল। অন্যরা আহতদের হাসপাতালে নিতে সাহায্য করছিল। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কাবুল। আফগান কর্মকর্তারা বলছেন, এরপর থেকে তালেবান হামলার সংখ্যা বাড়িয়েছে। তবে শনিবারের এই হামলার দায় তালেবান কিংবা কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তালেবান বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে। হামলাটি হয়েছে কাবুল থেকে পশ্চিমে শিয়া অধ্যূষিত একটি এলাকায়। যেখানে ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রায়শই হামলা চালায়। তবে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এই হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করেছেন।