ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

কাবুলে পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি

  • আপডেট সময় : ১২:০৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পাকিস্তানবিরোধী সমাবেশে জড়ো হওয়া জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে দেশটির সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী তালেবান। গত মাসের মাঝের দিকে দেশটির শাসন ক্ষমতা তালেবানের দখলে যাওয়ার পর পাকিস্তানের বিরোধিতায় এই প্রথম আফগানিস্তানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তালেবান এখনও সরকার ঘোষণা না করলেও দেশটির কট্টরপন্থী এই গোষ্ঠীর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের নৃশংস শাসনের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন আফগানরা। এর মাঝেই দেশটির রাজধানী কাবুল, হেরাত এবং মাজার-ই-শরিফে বিক্ষিপ্ত এবং ছোটখাট বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার কমপক্ষে ৭০ জন বিক্ষোভকারী; যাদের বেশিরভাগই নারী— পাকিস্তানি দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার হাতে নিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি আফগানিস্তানে ইসলামাবাদের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় স্লোগান দেন। তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলছে বলে অভিযোগ করেন তারা। কয়েক দিন আগে কাবুল সফর করেছেন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান ফাইজ হামিদ। দেশটিতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত তাকে আফগানিস্তান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান। তবে তালেবানের নেতাদের সঙ্গেও পাক এই গোয়েন্দা প্রধান সাক্ষাৎ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিনিধিরা কাবুলে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তালেবানের সদস্যদের ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। সোমবারও দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফে একদল নারী তাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
গত সপ্তাহে দেশটির হেরাত শহরে একদল নারী বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় আফগানিস্তানের নতুন সরকারে নারীদের অংশগ্রহণের দাবি জানান তারা।
তালেবান সারা দেশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি জানানোর পরদিন মঙ্গলবার কাবুলে ওই বিক্ষোভ হয়েছে। সোমবার তালেবান জানায়, তারা পাঞ্জশির উপত্যকার লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট তালেবান রাজধানী কাবুল দখলে নেওয়ার পর দেশটির সর্বশেষ এই প্রদেশ তালেবানবিরোধিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাবুলে পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি

আপডেট সময় : ১২:০৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পাকিস্তানবিরোধী সমাবেশে জড়ো হওয়া জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে দেশটির সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী তালেবান। গত মাসের মাঝের দিকে দেশটির শাসন ক্ষমতা তালেবানের দখলে যাওয়ার পর পাকিস্তানের বিরোধিতায় এই প্রথম আফগানিস্তানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তালেবান এখনও সরকার ঘোষণা না করলেও দেশটির কট্টরপন্থী এই গোষ্ঠীর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের নৃশংস শাসনের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন আফগানরা। এর মাঝেই দেশটির রাজধানী কাবুল, হেরাত এবং মাজার-ই-শরিফে বিক্ষিপ্ত এবং ছোটখাট বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার কমপক্ষে ৭০ জন বিক্ষোভকারী; যাদের বেশিরভাগই নারী— পাকিস্তানি দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার হাতে নিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি আফগানিস্তানে ইসলামাবাদের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় স্লোগান দেন। তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলছে বলে অভিযোগ করেন তারা। কয়েক দিন আগে কাবুল সফর করেছেন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান ফাইজ হামিদ। দেশটিতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত তাকে আফগানিস্তান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান। তবে তালেবানের নেতাদের সঙ্গেও পাক এই গোয়েন্দা প্রধান সাক্ষাৎ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিনিধিরা কাবুলে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তালেবানের সদস্যদের ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। সোমবারও দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফে একদল নারী তাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
গত সপ্তাহে দেশটির হেরাত শহরে একদল নারী বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় আফগানিস্তানের নতুন সরকারে নারীদের অংশগ্রহণের দাবি জানান তারা।
তালেবান সারা দেশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি জানানোর পরদিন মঙ্গলবার কাবুলে ওই বিক্ষোভ হয়েছে। সোমবার তালেবান জানায়, তারা পাঞ্জশির উপত্যকার লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট তালেবান রাজধানী কাবুল দখলে নেওয়ার পর দেশটির সর্বশেষ এই প্রদেশ তালেবানবিরোধিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।