ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫

কাবুলে নতুন সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠনে ঐক্যমত

  • আপডেট সময় : ১১:১২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নতুন সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠনে ‘ঐক্যমতে’ পৌঁছেছে তালেবান ও অন্যান্য আফগান নেতারা। তালেবানের শীর্ষ নেতাকে সর্বোচ্চ আসনে রেখে তার অধীনে এই সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলে এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মার্কিনিসহ, বিদেশি নাগরিক ও সহযোগী আফগানদেরকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে গোপনে অন্যান্য আফগান নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে নেয় তালেবান। এরপর সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যাপারে সবাই একমত হলেও এই ঘোষণা দিতে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত বিদায়ের অপেক্ষায় ছিল গোষ্ঠীটি।
জ্যেষ্ঠ ওই আফগান কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্লুমবার্গকে এই তথ্য দেন। কারণ কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়েছিল তালেবান।
এদিকে আগামী দু’দিনের মধ্যে আফগানিস্তানে তালেবানের সরকার ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসলামি সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর নেতা শের আব্বাস স্তানিকজাই। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি পশতুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান। স্তানিকজাই কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের উপ-প্রধান।
বিবিসিকে তিনি বলেন, আগামী দু’দিনের মধ্যে তালেবানের সরকার ঘোষণা করা হতে পারে— এটি হবে সবার অংশগ্রহণে ঐকমত্যের সরকার। এই সরকারের নিচু স্তরে নারীদের ভূমিকা থাকবে, তবে উচ্চ পর্যায়ে তাদের দেখা যাবে না।
শের আব্বাস স্তানিকজাই বলেন, গত দুই দশকে যারা সরকারে কাজ করেছেন, নতুন সরকারে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। তিনি বলেন, সম্প্রতি কাবুল বিমানবন্দরে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যবস্থাপনা দায়ী এবং বিমানবন্দর মেরামতের জন্য বর্তমানে ৩ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার আফগানিস্তানের স্থানীয় সময় মধ্যরাতে চূড়ান্তভাবে কাবুল ত্যাগ করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। আর এর মাধ্যমেই সমাপ্তি হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের একটি যুদ্ধের।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হবে

কাবুলে নতুন সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠনে ঐক্যমত

আপডেট সময় : ১১:১২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নতুন সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠনে ‘ঐক্যমতে’ পৌঁছেছে তালেবান ও অন্যান্য আফগান নেতারা। তালেবানের শীর্ষ নেতাকে সর্বোচ্চ আসনে রেখে তার অধীনে এই সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলে এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মার্কিনিসহ, বিদেশি নাগরিক ও সহযোগী আফগানদেরকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে গোপনে অন্যান্য আফগান নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে নেয় তালেবান। এরপর সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যাপারে সবাই একমত হলেও এই ঘোষণা দিতে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত বিদায়ের অপেক্ষায় ছিল গোষ্ঠীটি।
জ্যেষ্ঠ ওই আফগান কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্লুমবার্গকে এই তথ্য দেন। কারণ কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়েছিল তালেবান।
এদিকে আগামী দু’দিনের মধ্যে আফগানিস্তানে তালেবানের সরকার ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসলামি সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর নেতা শের আব্বাস স্তানিকজাই। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি পশতুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান। স্তানিকজাই কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের উপ-প্রধান।
বিবিসিকে তিনি বলেন, আগামী দু’দিনের মধ্যে তালেবানের সরকার ঘোষণা করা হতে পারে— এটি হবে সবার অংশগ্রহণে ঐকমত্যের সরকার। এই সরকারের নিচু স্তরে নারীদের ভূমিকা থাকবে, তবে উচ্চ পর্যায়ে তাদের দেখা যাবে না।
শের আব্বাস স্তানিকজাই বলেন, গত দুই দশকে যারা সরকারে কাজ করেছেন, নতুন সরকারে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। তিনি বলেন, সম্প্রতি কাবুল বিমানবন্দরে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যবস্থাপনা দায়ী এবং বিমানবন্দর মেরামতের জন্য বর্তমানে ৩ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার আফগানিস্তানের স্থানীয় সময় মধ্যরাতে চূড়ান্তভাবে কাবুল ত্যাগ করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। আর এর মাধ্যমেই সমাপ্তি হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের একটি যুদ্ধের।