ঢাকা ০১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কাবুলে আইএসের হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

  • আপডেট সময় : ১২:২৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসের আফগান শাখার সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের সতর্ক করেছে। তাদের কাবুল বিমানবন্দর এড়াতে বলেছে। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্র একটি নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে। এ সতর্কতায় কাবুল বিমানবন্দরের ফটকগুলোর বাইরে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির কথা বলা হয়। এ কারণে আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সতর্কতায় বলা হয়, মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি যাদের কাবুল বিমানবন্দরে আসতে বলবেন, শুধু তাদেরই সেখানে আসা উচিত, অন্যদের নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। বিকল্প পথ খুঁজছেন। কাবুলে আইএসের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া এই জঙ্গিগোষ্ঠীও প্রকাশ্যে কাবুলে হামলার কোনো হুমকি দেয়নি।
কাবুল বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে এখনো চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত রোববার তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর দেশটির হাজারো মানুষ আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। অনেকেই জড়ো হয়েছে কাবুল বিমানবন্দরে। এমন প্রেক্ষাপটে কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সতর্কতা এল।
প্রতিদিনই কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে লোকজন জড়ো হচ্ছে। তাদের আশা, উড়োজাহাজে করে তারা দেশের বাইরে যেতে পারবে। বিশেষ করে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সহযোগিতা করেছেন, যাঁরা মানবাধিকারের মতো ইস্যুতে কাজ করেছেন, তাঁরা তালেবানের প্রতিশোধের শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এ জন্য তাঁরা দেশ ছাড়তে চান। কাবুল বিমানবন্দরের প্রবেশমুখসহ আশপাশের এলাকায় সশস্ত্র পাহারা বসিয়েছে তালেবান। ভ্রমণের বৈধ নথি না থাকা আফগানদের তারা ফিরিয়ে দিচ্ছে। কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে নিরাপত্তা দিচ্ছে মার্কিন বাহিনী।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কাবুল বিমানবন্দর থেকে মোট ১৭ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন মার্কিন নাগরিক রয়েছে। এদিকে, আফগানিস্তান থেকে প্রায় ১২ হাজার বিদেশি ও আফগানকে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ন্যাটো। আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার গতকাল কাবুলে পৌঁছেছেন। সম্ভাব্য সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
আসন্ন সরকারের প্রধান হিসেবে মোল্লা বারাদারের নামই শোনা যাচ্ছে। তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের রূপরেখা স্পষ্ট করা হবে। তবে কেউ কেউ বলছেন, ৩১ আগস্টের আগে এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেবে না তালেবান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

কাবুলে আইএসের হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ১২:২৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসের আফগান শাখার সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের সতর্ক করেছে। তাদের কাবুল বিমানবন্দর এড়াতে বলেছে। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্র একটি নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে। এ সতর্কতায় কাবুল বিমানবন্দরের ফটকগুলোর বাইরে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির কথা বলা হয়। এ কারণে আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সতর্কতায় বলা হয়, মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি যাদের কাবুল বিমানবন্দরে আসতে বলবেন, শুধু তাদেরই সেখানে আসা উচিত, অন্যদের নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। বিকল্প পথ খুঁজছেন। কাবুলে আইএসের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া এই জঙ্গিগোষ্ঠীও প্রকাশ্যে কাবুলে হামলার কোনো হুমকি দেয়নি।
কাবুল বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে এখনো চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত রোববার তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর দেশটির হাজারো মানুষ আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। অনেকেই জড়ো হয়েছে কাবুল বিমানবন্দরে। এমন প্রেক্ষাপটে কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সতর্কতা এল।
প্রতিদিনই কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে লোকজন জড়ো হচ্ছে। তাদের আশা, উড়োজাহাজে করে তারা দেশের বাইরে যেতে পারবে। বিশেষ করে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সহযোগিতা করেছেন, যাঁরা মানবাধিকারের মতো ইস্যুতে কাজ করেছেন, তাঁরা তালেবানের প্রতিশোধের শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এ জন্য তাঁরা দেশ ছাড়তে চান। কাবুল বিমানবন্দরের প্রবেশমুখসহ আশপাশের এলাকায় সশস্ত্র পাহারা বসিয়েছে তালেবান। ভ্রমণের বৈধ নথি না থাকা আফগানদের তারা ফিরিয়ে দিচ্ছে। কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে নিরাপত্তা দিচ্ছে মার্কিন বাহিনী।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কাবুল বিমানবন্দর থেকে মোট ১৭ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন মার্কিন নাগরিক রয়েছে। এদিকে, আফগানিস্তান থেকে প্রায় ১২ হাজার বিদেশি ও আফগানকে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ন্যাটো। আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার গতকাল কাবুলে পৌঁছেছেন। সম্ভাব্য সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
আসন্ন সরকারের প্রধান হিসেবে মোল্লা বারাদারের নামই শোনা যাচ্ছে। তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের রূপরেখা স্পষ্ট করা হবে। তবে কেউ কেউ বলছেন, ৩১ আগস্টের আগে এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেবে না তালেবান।