নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম হ্রদ ‘কাপ্তাই হ্রদ’ অবৈধভাবে দখল বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদে আর যেন কোন মাটি ভরাট বা স্থাপনা নির্মাণ না করা হয় সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং পুলিশ সুপার (এসপি)সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি অপর এক আদেশে কাপ্তাই হ্রদের জরিপ করে অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মঈদুল হাসান। এর আগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত কাপ্তাই হ্রদ দখল করে ভরাট/স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত খবর যুক্ত করে গতকাল (১৬ অক্টোবর) জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘‘হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ’’ হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করে। বন ও পরিবেশ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), রাঙ্গামাটির ডিসি, এসপি, রাঙ্গামাটি সদরের ইউএনও, এসি ল্যান্ড, রাঙ্গামাটির মেয়রসহ ১২ জনকে বিবাদী করা হয়।
রিটে কাপ্তাই হ্রদের অবৈধ দখল বন্ধ, জরিপ করে হ্রদের সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত রুলসহ দুই সপ্তাহের মধ্যে রাঙ্গামাটির ডিসি এবং এসপিসহ স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন হাইকোর্ট। যাতে কাপ্তাই হ্রদে আর কোন মাটি ভরাট বা স্থাপনা নির্মাণ না হয়। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত অপর এক আদেশে বিবাদীদের কাপ্তাই হ্রদের জরিপ করে অবৈধ দখলদারদের তালিকা ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।