ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্মে ‘বাঙালি বিলাস’

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক শাখা মার্শে দ্যু ফিল্মে যাচ্ছে এবাদুর রহমানের সিনেমা ‘বাঙালি বিলাস’। আগামী ১৮ মে সিনেমাটি মার্শে দ্যু ফিল্ম বিভাগে দেখানো হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন তিনি। এবাদুর রহমান জানিয়েছেন, ১৩ থেকে ২৫ মে তিনি ‘বাঙালি বিলাস’ সিনেমাটি নিয়ে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত থাকবেন।

 

‘বাঙালি বিলাস’ সিনেমাটির আন্তর্জাতিক নাম ‘ট্র্যাকটাস বেঙ্গালিয়াম’। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় নির্মিত ১৯০ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটির গল্প গড়ে উঠেছে নারীবাদ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাজনীতিকে কেন্দ্র করে। সিনেমায় অভিনয় করেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী ঋ সেন। যিনি ভারতীয় নির্মাতা কিউ-এর ‘গান্ডু’-তে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছিলেন।

আরো অভিনয় করেছেন ফারহানা হামিদ, নাঈমা তাসনিম, শতাব্দী ওয়াদুদ, আজাদ আবুল কালামসহ অনেকে।

সিনেমাটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন রাওয়ান সায়েমা ও মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান। সম্পাদনা করেছেন বার্লিনের অস্কার লোসার এবং ঢাকার ইকবাল কবির জুয়েল। শব্দ পরিকল্পনা করেছেন ফিনল্যান্ডের মিকা নিনিমা। নির্মাতা এবাদুর রহমান বলেন, “‘বাঙালি বিলাস’ শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া।

 

এখানে নারী, শরীর ও বিশ্বাসের প্রশ্নকে নতুনভাবে হাজির করার চেষ্টা করেছি, যেখানে প্রথাগত ‘বাঙালি ছবি’র কাঠামোকে সচেতনভাবেই ভেঙে ফেলা হয়েছে।”

বিশ্বের বড় চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর একটি করে বাণিজ্যিক শাখা থাকে, যেখানে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক ও কলাকুশলীরা যোগ দেন। সিনেমা প্রদর্শনের পাশাপাশি সিনেমার প্রযোজনা, পরিবেশনা ও নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করেন।

মার্শে দ্যু ফিল্ম হল কান চলচ্চিত্র উৎসবের তেমনই এক বাণিজ্যিক শাখা। এটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আনুষ্ঠানিক কোনো শাখা নয়; আবার কানের বাইরেও নয়। মার্শে দ্যু ফিল্ম মূলত একটি ফিল্ম মার্কেট; এখানে যে কেউ সিনেমা দেখাতে পারেন। বিভিন্ন দেশের পরিবেশক ও প্রযোজকদের নিয়ে সিনেমার প্রচার চালাতে পারেন।

চলচ্চিত্র সমালোচক ও ২০০২ সালের কান উৎসবের ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট বিভাগের বিচারক আহমেদ মুজতবা জামাল  বলেছিলেন, কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগ ও প্যারালাল বিভাগে নির্দিষ্ট সংখ্যক সিনেমা নির্বাচন করে কান কর্তৃপক্ষ; এর বাইরে বিশ্বের হাজারও সিনেমা প্রদর্শনের জন্য মার্শে দ্যু ফিল্ম রয়েছে।

“এটা কান চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ; কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়া আর মার্শে দ্যু ফিল্মে যাওয়া একই বিষয় না। মার্শে দ্যু ফিল্ম একটি বাজার। সেই বাজারে যে কেউ অংশ নিতে পারে।

পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই আসুক না কেন, তার ছবি নিয়ে অংশ নিতে পারবে। এটা চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সেগমেন্ট না। আবার এটা একদম বাইরেও কিছু না। কানের ভেন্যুর মধ্যেই, তারা এটাকে অ্যালাও করে। বাইরের মানুষ যাতে সেখানে আসতে পারে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্মে ‘বাঙালি বিলাস’

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক শাখা মার্শে দ্যু ফিল্মে যাচ্ছে এবাদুর রহমানের সিনেমা ‘বাঙালি বিলাস’। আগামী ১৮ মে সিনেমাটি মার্শে দ্যু ফিল্ম বিভাগে দেখানো হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন তিনি। এবাদুর রহমান জানিয়েছেন, ১৩ থেকে ২৫ মে তিনি ‘বাঙালি বিলাস’ সিনেমাটি নিয়ে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত থাকবেন।

 

‘বাঙালি বিলাস’ সিনেমাটির আন্তর্জাতিক নাম ‘ট্র্যাকটাস বেঙ্গালিয়াম’। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় নির্মিত ১৯০ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটির গল্প গড়ে উঠেছে নারীবাদ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাজনীতিকে কেন্দ্র করে। সিনেমায় অভিনয় করেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী ঋ সেন। যিনি ভারতীয় নির্মাতা কিউ-এর ‘গান্ডু’-তে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছিলেন।

আরো অভিনয় করেছেন ফারহানা হামিদ, নাঈমা তাসনিম, শতাব্দী ওয়াদুদ, আজাদ আবুল কালামসহ অনেকে।

সিনেমাটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন রাওয়ান সায়েমা ও মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান। সম্পাদনা করেছেন বার্লিনের অস্কার লোসার এবং ঢাকার ইকবাল কবির জুয়েল। শব্দ পরিকল্পনা করেছেন ফিনল্যান্ডের মিকা নিনিমা। নির্মাতা এবাদুর রহমান বলেন, “‘বাঙালি বিলাস’ শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া।

 

এখানে নারী, শরীর ও বিশ্বাসের প্রশ্নকে নতুনভাবে হাজির করার চেষ্টা করেছি, যেখানে প্রথাগত ‘বাঙালি ছবি’র কাঠামোকে সচেতনভাবেই ভেঙে ফেলা হয়েছে।”

বিশ্বের বড় চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর একটি করে বাণিজ্যিক শাখা থাকে, যেখানে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক ও কলাকুশলীরা যোগ দেন। সিনেমা প্রদর্শনের পাশাপাশি সিনেমার প্রযোজনা, পরিবেশনা ও নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করেন।

মার্শে দ্যু ফিল্ম হল কান চলচ্চিত্র উৎসবের তেমনই এক বাণিজ্যিক শাখা। এটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আনুষ্ঠানিক কোনো শাখা নয়; আবার কানের বাইরেও নয়। মার্শে দ্যু ফিল্ম মূলত একটি ফিল্ম মার্কেট; এখানে যে কেউ সিনেমা দেখাতে পারেন। বিভিন্ন দেশের পরিবেশক ও প্রযোজকদের নিয়ে সিনেমার প্রচার চালাতে পারেন।

চলচ্চিত্র সমালোচক ও ২০০২ সালের কান উৎসবের ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট বিভাগের বিচারক আহমেদ মুজতবা জামাল  বলেছিলেন, কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগ ও প্যারালাল বিভাগে নির্দিষ্ট সংখ্যক সিনেমা নির্বাচন করে কান কর্তৃপক্ষ; এর বাইরে বিশ্বের হাজারও সিনেমা প্রদর্শনের জন্য মার্শে দ্যু ফিল্ম রয়েছে।

“এটা কান চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ; কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়া আর মার্শে দ্যু ফিল্মে যাওয়া একই বিষয় না। মার্শে দ্যু ফিল্ম একটি বাজার। সেই বাজারে যে কেউ অংশ নিতে পারে।

পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই আসুক না কেন, তার ছবি নিয়ে অংশ নিতে পারবে। এটা চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সেগমেন্ট না। আবার এটা একদম বাইরেও কিছু না। কানের ভেন্যুর মধ্যেই, তারা এটাকে অ্যালাও করে। বাইরের মানুষ যাতে সেখানে আসতে পারে।”