ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

কানাডায় রাতভর প্রবল বর্ষণ, গাড়িতে আটকা ২৭৫ জন

  • আপডেট সময় : ১১:২০:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলীয় শহর আগাসিজ, অ্যাবটসফোর্ডে গত সোমবার রাতভর প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিধসের ফলে কাদা ও পাথরের স্তুপ ছড়িয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ সড়ক। অনেক জায়গায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ সেতু। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভূমিধসের ফলে কাদা ও পাথরের স্তুপ ছড়িয়ে সড়কের সম্মুখ ও পেছনভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগাসিজের একটি মহাসড়কে গত সোমবার রাত থেকে গাড়িতে আটকা আছেন অন্তত ২৭৫ জন মানুষ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের জননিরাপত্তামন্ত্রী মাইক ফ্র্যানওয়ার্থ এএফপিকে জানান, প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে হাইওয়ে সেভেন নামের ওই মহাসড়কটিতে গত সোমবার রাত থেকে আটকা পড়েছে অন্তত ৮০ থেকে ১০০ টি গাড়ি। সেসব গাড়িতে অবস্থান করা প্রায় ২৭৫ জন মানুষ খাবার ও পানি ছাড়া পার করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
‘আমাদের উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা ইতোমধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছে। প্রয়োজনে উদ্ধার কাজে উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হবে’- এএফপিকে বলেন ফ্র্যানওয়ার্থ। এছাড়া, শহরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে ইতোমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে আগাসিজের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ধারকারী বাহিনী।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার জরুরি স্বাস্থ্য সেবা সংস্থার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে আহত হয়ে আগাসিজের ৯ ব্যক্তি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভর্তি হয়েছেন। এদিকে, অ্যাবোটসফোর্ডের অবস্থাও সঙ্গীণ। প্রবল বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও ভূমিধসের কারণে শহরের বেশিরভাগ এলাকার বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর। অ্যাবোটস ফোর্ড থেকেও কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন জননিরাপত্তামন্ত্রী। অ্যাবোটসফোর্ড নিবাসী কানাডার আবহাওয়াবিদ টেইলর হ্যামিল্টন গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত প্রায় ১৪০ দিন ব্যাপক তাপ প্রবাহ সহ্য করার পর এবার প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধস দেখছে শহরের লোকজন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কানাডায় রাতভর প্রবল বর্ষণ, গাড়িতে আটকা ২৭৫ জন

আপডেট সময় : ১১:২০:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলীয় শহর আগাসিজ, অ্যাবটসফোর্ডে গত সোমবার রাতভর প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিধসের ফলে কাদা ও পাথরের স্তুপ ছড়িয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ সড়ক। অনেক জায়গায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ সেতু। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভূমিধসের ফলে কাদা ও পাথরের স্তুপ ছড়িয়ে সড়কের সম্মুখ ও পেছনভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগাসিজের একটি মহাসড়কে গত সোমবার রাত থেকে গাড়িতে আটকা আছেন অন্তত ২৭৫ জন মানুষ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের জননিরাপত্তামন্ত্রী মাইক ফ্র্যানওয়ার্থ এএফপিকে জানান, প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে হাইওয়ে সেভেন নামের ওই মহাসড়কটিতে গত সোমবার রাত থেকে আটকা পড়েছে অন্তত ৮০ থেকে ১০০ টি গাড়ি। সেসব গাড়িতে অবস্থান করা প্রায় ২৭৫ জন মানুষ খাবার ও পানি ছাড়া পার করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
‘আমাদের উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা ইতোমধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছে। প্রয়োজনে উদ্ধার কাজে উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হবে’- এএফপিকে বলেন ফ্র্যানওয়ার্থ। এছাড়া, শহরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে ইতোমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে আগাসিজের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ধারকারী বাহিনী।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার জরুরি স্বাস্থ্য সেবা সংস্থার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে আহত হয়ে আগাসিজের ৯ ব্যক্তি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভর্তি হয়েছেন। এদিকে, অ্যাবোটসফোর্ডের অবস্থাও সঙ্গীণ। প্রবল বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও ভূমিধসের কারণে শহরের বেশিরভাগ এলাকার বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর। অ্যাবোটস ফোর্ড থেকেও কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন জননিরাপত্তামন্ত্রী। অ্যাবোটসফোর্ড নিবাসী কানাডার আবহাওয়াবিদ টেইলর হ্যামিল্টন গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত প্রায় ১৪০ দিন ব্যাপক তাপ প্রবাহ সহ্য করার পর এবার প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধস দেখছে শহরের লোকজন।