লাইফস্টাইল ডেস্ক: সিনেমা-নাটকে নায়কের জ্যাকেট খুলে নায়িকার শীত নিবারণের দৃশ্য আমরা সবাই দেখেছি। বেশ রোমান্টিক একটি মুহূর্ত। তবে জানেন কি এর পেছনে আছে বিজ্ঞান? নারীদের ঠান্ডা লাগার অনুভূতি প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষের চেয়ে বেশি। কিন্তু কেন?
১. কম মাংসপেশি, কম উষ্ণতা
পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের মাংসপেশি কম থাকে, আর মাংসপেশি কাজের সময় উষ্ণতা তৈরি করে। তাই মেয়েরা কম পেশি থাকার কারণে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়। ফলে হাত ও পা আগে আগেই ঠান্ডা হয়ে যায়।
২. চর্বি বেশি থাকলেও হাত-পা ঠান্ডা
মেয়েদের শরীরে তুলনামূলকভাবে চর্বি বেশি থাকে, যা মূলত শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে উষ্ণ রাখে। কিন্তু এটি ত্বককে গরম করতে পারে না, তাই হাত-পা ঠান্ডা অনুভূত হয়।
৩. ধীর মেটাবলিজম
মেয়েদের মেটাবলিজম তুলনামূলকভাবে ধীর। অর্থাৎ শরীরের অভ্যন্তরীণ ‘ইঞ্জিন’ ধীর গতিতে কাজ করে, তাই কম উষ্ণতা তৈরি হয়। সেই কারণেই যে ঘর একজন পুরুষের জন্য আরামদায়ক, তা নারীর জন্য ঠান্ডা মনে হতে পারে।
৪. রক্তসঞ্চালন ও হরমোন
মেয়েদের শরীর শীতকালে প্রথমে জরুরি অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে, ফলে হাত-পা পর্যন্ত রক্ত পৌঁছায় কম। এর সঙ্গে হরমোন যেমন এস্ট্রোজেনও যুক্ত থাকে, যা রক্তনালী সংকুচিত করতে পারে। তাই ঠান্ডা আরও বেশি লাগে।
৫. ঠান্ডা মানে দুর্বলতা নয়
মেয়েরা সহজে ঠান্ডা অনুভব করে তা মানে শরীর দুর্বল বা কম শক্তিশালী নয়। বরং এটি শরীরের প্রাকৃতিক রক্ষাকৌশল — এভাবে নারীর শরীর শক্তি সংরক্ষণ করে এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে। এটাই নারীর বায়োলজি।
সূত্র: ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়, লাইভ সায়েন্স, এবিসি নিউজ
এসি/আপ্র/০২/১১/২০২৫
























